যিয়ারাতে মদীনায় মুনাওয়্যারাহ ও তার রীতি-নীতি

 যিয়ারাতে মদীনায় মুনাওয়্যারাহ ও তার রীতি-নীতি  (দশম কর্তব্য)


        হুযুরে পাক (দঃ) এরশাদ করেছেনঃ

        মান যারানী বা'দা ওয়াফাতী ফা কাআন্নাম। যারানী ফী হায়াতী"

        অর্থাৎ যে ব্যক্তি আমার মৃত্যুর পর আমার যিয়ারাত করে, সে যেন আমাকে আমার জীবিতাবস্থায় দেখল।

        হুযুরে পাক (দঃ) আরও এরশাদ করেছেনঃ

        যে ব্যক্তির সামর্থ্য থাকা সত্তেও আমার নিকট আগমন না করে, সে যেন আমার প্রতি জুলুম করল।

        হুযুর (দঃ) আরও এরশাদ করেছেনঃ

        যে ব্যক্তি আমার সহিত সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে আগমন করে এবং আমার সহিত সাক্ষাত ব্যতীত মনে অন্য কোন খেয়াল না থাকে, আল্লাহর যিম্মায় তার পাওনা হয়ে যায় যে, আমি তার জন্য শাফায়াতকারী হয়ে যাই।

        উল্লিখিত হাদীসানুযায়ী যে ব্যক্তি মদীনায় মুনাওয়্যারাহ যিয়ারাতের ইচ্ছে করে, মদীনায় গমন পথে তার বেশী করে দরূদ পড়া চাই। যখন মদীনার প্রাচীর এবং বৃক্ষরাজি তার দৃষ্টি পথে ভেসে ওঠে, তখন সে এ দোয়াটি পাঠ করবে:

        "আল্লাহুম্মা হাযা হারামু রাসূলিকা ফাজআলহু লী বিদায়াতাম মিনান্নারি অ আমানাম মিনাল আযাবি অ সৃয়িল হিসাব"

        অর্থাৎ হে মাবুদ! এ তোমার রাসূলের হরম। অতএব তুমি একে আমার জন্য দোযখ থেকে নিরাপত্তা এবং বিপজ্জনক হিসেব নিকেশ থেকে মুক্তির উসিলা করে দাও।

        অতঃপর মদীনায় প্রবেশের পূর্বে উষ্ণ রূপে গোসল করবে এবং শরীরে সুগন্ধি লাগাবে ও উত্তম পোশাক পরিধান করবে। তারপর একান্ত তাজীম এবং পরম ভক্তিপূর্ণ সশ্রদ্ধ চিত্তে মদীনা শরীফে প্রবেশ করবে। এসময় এ দোয়াটি পাঠ করবেঃ

        বিসমিল্লাহি অ আলা মিল্লাতি রাসূলিল্লাহি ছাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম। রাব্বি আদখিলনী মুদখালা ছিদত্ত্বিও অ আখরিজনী মুখরাজা ছিদক্ওি অজআললী মিল্লাদুনকা সুলতানান নাছীরা" অর্থাৎ শুরু আল্লাহর নামে ও রাসূলে করীম (দঃ) এর ধর্মের রীতিতে। হে আমার প্রতিপালক! আমাকে সত্যের মধ্যে প্রবেশ করাও, সত্যের উপর বের করাও এবং আমার জন্য তোমারই পক্ষ থেকে সুদৃঢ় সাহায্য নির্ধারণ করে দাও।

        অতঃপর মসজিদের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করে গিয়ে মসজিদের অভ্যন্তরে প্রবেশ করবে এবং মিম্বরের কাছে দু' রাকাত নামায এভাবে আদায় করবে যে, মিম্বরের স্তম্ভ ডান কাঁধ বরাবর থাকে, আর মুখ থাকে সেই স্তম্ভের দিকে যার বরাবর সিন্দুক স্থাপিত আছে। আর যেন মসজিদের কিবলায় অবস্থিত বৃত্তটি চোখের সামনে থাকে। ঐ স্থানটি হুযুরে পাক (দঃ) এর কিয়াম-স্থান ছিল। মসজিদে পরিবর্তন সাধিত হলেও পরিবর্তনের পূর্বেকার আসল মসজিদে নামায পড়ার চেষ্টা করবে। অতঃপর হুযুরে পাক (দঃ) এর পবিত্র রওজায় চলে যাবে; এবং তার সম্মুখভাগের বাম দিকে এমন ভাবে দাঁড়াবে যে, খানায় কা'বার দিকে পিঠ থাকে ও রওজা শরীফের প্রাচীরের দিকে মুখ থাকে। উক্ত প্রাচীরের কোণের স্তম্ভ হতে চার হাত দূরে দাঁড়াবে। প্রাচীরে হাত লাগান বা তা' চুম্বন করা সুন্নত নয়; বরং তাজীমের সাথে একটু দূরে দাঁড়ালেই আদবের লক্ষণ। ওখানে দাঁড়িয়ে বলবে, সালাম তোমার প্রতি হে আল্লাহর রাসুল (দঃ)! সালাম তোমার প্রতি হে আল্লাহর নবী (দঃ)। সালাম তোমার প্রতি হে আল্লাহর বিশ্বাসী বন্ধু। সালাম তোমার প্রতি হে আল্লাহর সেরা বন্ধু। সালাম তোমার প্রতি হে আল্লাহর মনোনীত বান্দা! সালাম তোমার প্রতি হে আল্লাহর পছন্দনীয় বান্দা! সালাম তোমার প্রতি হে আহমদ মুজতবা। সালাম তোমার প্রতি হে মুহাম্মদ মুস্তফা (দঃ)! সালাম তোমার প্রতি হে আবুল কাসেম (দঃ)। সালাম তোমার প্রতি হে কুফর মোচনকারী। সালাম তোমার প্রতি হে শেষে আগমনকারী। সালাম তোমার প্রতি হে হাশরে গমনকারী। সালাম তোমার প্রতি হে সুসংবাদ দানকারী। সালাম তোমার প্রতি হে ভয়প্রর্দশনকারী। সালাম তোমার প্রতি হে পবিত্রতম। সালাম তোমার প্রতি হে পবিত্রকারী! সালাম তোমার প্রতি হে বনী আদমকুলের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ সম্মানী! সালাম তোমার প্রতি হে রাসূলদের সর্দার। সালাম তোমার প্রতি হে নবীদের শেষব্যক্তি! সালাম তোমার প্রতি হে বিশ্বপালকের রাসূল (দঃ)। সালাম তোমার প্রতি হে কল্যাণের নেতা! সালাম  তোমার প্রতি হে পুণে পুণ্যোদঘাটনকারী। সালাম তোমার প্রতি হে করুণার নবী (দঃ)। সালাম তোমার প্রতি যে উন্মতের হাদী (পথপ্রদর্শক)। সালাম তোমার প্রতি হে উজ্জ্বল জ্বল হাত পা বিশিষ্ট মুমিনদের নেতা। সালাম তোমার প্রতি ও তোমার পরিবারবর্গের প্রতি, যাদেরকে আল্লাহ অপবিত্রতা মুক্ত করেছেন এবং পাক-পবিত্র করেছেন। সালাম তোমার প্রতি ও তোমার পাক-পবিত্র সহচরদের এবং তোমার পূতঃপবিত্র সাধ্বী সহধর্মিনীদের প্রতি, যারা মুমিনদের জননী।

        আল্লাহ তোমাকে আমাদের পক্ষ থেকে এমন প্রতিদান দিন, যা কোন নবীকে তাঁর কওমের পক্ষ থেকে ও কোন রাসূলকে তাঁর উম্মতের পক্ষ থেকে প্রদত্ত প্রতিদান অপেক্ষা অনেক উত্তম। আল্লাহ তোমার প্রতি রহমত নাযিল করুন। যখনই স্মরণকারীরা তোমাকে স্মরণ করে এবং যখনই উদাসীনেরা তোমাথেকে উদাসীন হয়ে থাকে। আল্লাহ তোমার প্রতি এমন উত্তম, পরিপূর্ণ, উচ্চ ও মহান রহমত আবতীর্ণ করুন, যা তিনি কোন অগ্রবর্তী বা পাশ্চাদ্বতীদের উপর নাযিল করেন নি। আল্লাহ আমাদেরকে তোমার মাধ্যমেই ভ্রষ্টতা থেকে রক্ষা করেছেন। তোমার মাধ্যমেই আমাদেরকে অন্ধত্ব থেকে মুক্তি দিয়েছেন এবং মূর্খতা থেকে জ্ঞানের পথে নিয়ে এসেছেন। আমি সাক্ষ্য দান করছি যে, আল্লাহ ব্যতীত কেউ উপাস্য নেই। তিনি একক, তাঁর কোন অংশীদার নেই। আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তুমি তাঁর বান্দা, রাসূল, বিশ্বস্ত, মনোনীত, সৃষ্টির মধ্যে পছন্দনীয়। আমি সাক্ষ্য দান করছি যে তুমি আল্লাহর বাণী পৌছিয়েছ প্রদত্ত্ব আমানত যথাযথ ভাবে আদায় করেছ। উম্মতদেরকে উপদেশ দিয়েছ, দুশমনদের সাথে জিহাদ করেছ। উম্মত ও অনুসারীগণকে সৎপথে পরিচালিত করেছ। সারা জীবন ব্যাপী স্বীয় প্রভুর বন্দেগী করেছ। অতএব আল্লাহ তোমার প্রতি ও তোমার পবিত্র পরিবারবর্গের প্রতি রহমত নাযিল করুন, আর শান্তি, কল্যাণ, সম্মান, গৌরব এবং মাহাত্ম্য এনায়েত করুন। যদি তোমাকে কেউ তার পক্ষ থেকে নবীর (দঃ) প্রতি সালাম পৌছানোর অছিয়ত করে থাকে। তবে এ ভাবে বলবে যে. "আস্সালামু আলাইকা মিন ফলানিন"

        অর্থাৎ অমুকের পক্ষ থেকে তোমার উপর সালাম বর্ষিত হোক। অতঃপর সে স্থান থেকে এক হাত পরিমাণ সরে এসে হযরত আবুবকর (রাঃ) এর প্রতি সালাম জানাবে। তাঁর মাথা হুযুরে পাক(দঃ) এর কাঁধ বরাবর রয়েছে। হযরত ওমর (রাঃ) এর মাথা রয়েছে হযরত আবুবকর (রাঃ) কাঁধ বরাবর। অতএব আর একহাত পরিমাণ সরে এসে হযরত ওমর (রাঃ) এর প্রতিও সালাম জানাবে। অতঃপর এভাবে দোয়া করবেঃ

        সালাম তোমাদের উভয়ের প্রতি হে হুযুরে পাক (দঃ) এর উযীরদ্বয়। তাঁর জীবনভর দ্বীনের কাজে তাঁর সহায়কদ্বয় এবং তাঁর অবর্তমানে উম্মতদের মধ্যে দ্বীনের ব্যাপারে ব্যবস্থাপকদ্বয়। তোমরা এব্যাপারে তাঁরই হাদীসের অনুসরণ করেছ এবং তাঁর সুন্নত (রীতি নীতির) আমল করেছ। অতএব আল্লাহ তোমাদেরকে এমন প্রতিদান এনায়েত করুন যেমন উত্তম প্রতিদান আল্লাহ অন্য কোন নবী রাসূলদের উষীরকে দান করেন নি।

         অতঃপর হুযুরে পা রপাক (দঃ) এর মস্তকের কাছে রওজা মুবারক এবং অধুনা তৈরী স্তম্ভের মাঝখানে গিয়ে দাঁড়াবে; এবং আল্লাহর প্রশংসা ও পবিত্রতা বর্ণনা করবে আর হুযুরে পাক (দঃ) এর প্রতি দরূদ পাঠাবে গুরু লবেঃ তুমি বলেছ এবং তোমার হে মাবুদ! মোর বাক্য সত্য যেমনঃ 

"অলাও আল্লাহুম ইয জালামু আনফুসাহুম জায়ুকা ফাস্তাগফিরুল্লাহ।। অস্তাগফারা লাহুমুর রাসূলু তাওয়্যাবার রাহীমা"

         অর্থাৎ যদি তারা নিজেদের উপরে জুলুম করার পর তোমার নিকট আসে, তারপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে আর রাসূল (দঃ)ও তাদের জন্য ক্ষমা চান, তবে তারা আল্লাহকে তাওবাহ কবুলকারী ও দয়ালু পেয়ে যাবে।

        মাবুদ। আমরা তোমার বাণী শুনেছি, তোমার আদেশানুযায়ী তোমার রাসূলের কাছে এসেছি এবং তোমার দরবারে আমাদের বেশুমার গুনাহর ব্যাপারে সুপারিশকারী করেছি। আমরা আমাদের গুনাহ থেকে তাওবাহ করেছি আর নিজেদের ভুল ত্রুটি স্বীকার করছি। মাবুদ! আমাদের তাওবাহ কবুল কর। নবীকরীম (দঃ) এর শাফায়াত আমাদের ব্যাপারে মঞ্জুর কর এবং তোমার দরবারে তাঁর মর্যাদার উসিলায় আমাদেরও উচ্চ মর্যাদাশীল করে দাও।

         তারপর আল্লাহর দরবারে বলবে, হে মাবুদ! তুমি মুহাজির ও আনছারদেরকে মার্জনা কর আর আমাদেরকে ও আমাদের সেই ভাইদেরকে যারা আমাদের আগে ঈমান সহ দুনিয়া থেকে বিদেয় নিয়েছে। হে মাবুদ। আমার এ উপস্থিতিকে তোমার নবীর কবরে ও তোমার হরমে আমার শেষ উপস্থিতিই সাব্যস্ত করো না হে পরম দয়ালু। 

        অতঃপর কবর এবং মিম্বরের মধ্যবর্তী স্থানে এসে দু'রাকাত নামায আদায় করবে এবং বেশী করে দোয়া কালাম পড়বে। কেননা হুযুর (দঃ) এরশাদ করেছেনঃ 

        "মা বাইনা কাবরী অ মিম্বারী রাওজাতুম মিন রিয়াজিল জান্নাতি, অ মিম্বারী আলা হাউজী" অর্থাৎ আমার কবর এবং মিম্বরের মধ্যস্থল বেহেশতের অন্যতম বাগিচা। আর আমার মিম্বর হাউজে কাওছারের উপর অবস্থিত। মিম্বরের নিকট এসে প্রার্থনা করবে। মিম্বরের নীচের স্তরে হাত রাখা মুস্তাহাব। হুযুরে পাক (দঃ)ও খুৎবাহ দেয়ার সময়ে তাঁর হাত তথায় রাখতেন। বৃহস্পতি বার শহীদগণের কবর ও অন্যান্য কবর যিয়ারাত করা মুস্তাহাব। ফজরের নামায মসজিদে নববীতে আদায় করে কবর যিয়ারাত করতে যাবে। তারপর ফিরে এসে জোহরের নামায মসজিদে আদায় করবে। মসজিদে ফরজ নামাযের জামাত ফওত হতে দেবে না প্রত্যহ হুযুরে পাক (দঃ) এর উপর দরূদ ও সালাম পাঠ করে জান্নাতুল বাকীতে গিয়ে যিয়ারাত করবে। এটাও মুস্তাহাব। হযরত ওসমান (রাঃ), হযরত হাসান (রাঃ), হযরত ইমাম যয়নুল আবেদীন, ইমাম বাকের এবং ইমাম জাফর ছাদেকের কবর যিয়ারাত করবে। হযরত ফাতেমা (রাঃ) এর মসজিদে নামায আদায় করবে। এছাড়া ইব্রাহীম ইবনে হযরত রাসূলে করীম (দঃ) ও হযরত ছফিয়া প্রমুখের কবরও যিয়ারাত করবে। এরা সবাই জান্নাতুল বাকীতেই সমাহিত হয়েছেন। মসজিদে কোবায় প্রত্যেক শনিবার এসে নামায আদায় করা মুস্তাহাব। হুযুরে পাক (দঃ) এরশাদ করেছেনঃ যে ব্যক্তি নিজ বাড়ী থেকে বের হয়ে কোবার মসজিদে এসে নামায পড়বে তার জন্য এক ওমর ওমরাহর সমান ছওয়াব লিখে রাখা হবে। মসতি কূপে তাঁ (দঃ) এ কা তাঁর পুধু করবে। হুযুরে পাক (দঃ । মসজিদে কোবা সংলগ্ন আরিস কুপের যিয়ারাত মুবারক নিক্ষেপ করেছিলেন। তিনি মসজিদে কোবায় থাকাকালীন একূপের পানি দ্বারা অজু করতেন এবং এ কূপের পানি পান করতেন। এরপর বিজয়ের মসজিদে আসবে। এ মসজিদ মদীনার খন্দকের উপর অবস্থিত। এভাবে প্রত্যেক মসজিদ এবং দর্শনযোগ্য স্থান সমূহ যিয়ারাত করবে। বর্ণিত আছে যে, মদীনার মসজিদ এবং দর্শনযোগ্য স্থান সর্বমোট ত্রিশটি। এগুলোতে যেতে যথাসাধ্য চেষ্টা করবে। হুযুরে পাক (দঃ) যে সব রূপে অজু করতেন, সেগুলোতে গিয়ে রোগ ব্যাধি মুক্তির জন্য তাবাররুকান সেগুলোর পানি দিয়ে গোসল করবে ও পান করবে। এরূপ রূপ সাতটি। মদীনার সম্মান যথোপযুক্ত ভাবে রক্ষা করে তথায় অবস্থান করলে তার ছওয়াব অনেক বেশী। হুযুরে পাক (দঃ) এরশাদ করেছেন।

        যে ব্যাক্তি মদীনায় কষ্ট ক্লেশ সহ্য করে তথায় বসবাস করে, আমি রোজ কিয়ামতে তার জন্য শাফায়াত করব। হুযুরে পাক (দঃ) আরও এরশাদ করেছেনঃ "মানিস তাত্বাআ আইয়্যামৃতা বিলমাদীনাতি ফালিয়ামুত ফাইন্নাহু লাইয়ামৃতা বিহা আহাদুন ইল্লা কুনতু লাহু শাফীআন আও শাহীদান ইয়াওমাল কিয়ামাতি" অর্থাৎ যে ব্যক্তি মদীনায় মৃত্যুবরণ করতে পারে, আমি তার জন্য রোজ কিয়ামতে সুপারিশকারী অথবা সাক্ষ্যদানকারী হব।

        যখন সব কাজ শেষ করে মদীনা থেকে বের হওয়ার মনস্থ করবে, সে তখন রাওজায়ে মুবারকে আগমন করবে এবং পূর্বোল্লিখিত দোয়া-যিয়ারাতের দোয়া পাঠ করবে, তারপর হুযুরে পাক (দঃ) এর কাছ থেকে বিদায় নেবে এবং পুনরায় যিয়ারাতে হাযির হওয়ার জন্য আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করবে। তারপর ছোট রওজায় দু' রাকাত নামায পড়বে। এ হল মসজিদের মধ্যে সেই স্থানটি, যেখানে হুযুরে পাক (দঃ) দাঁড়াতেন। মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় প্রথম বাম পা বাড়াবে, তারপার ডান পা, আর বলবে, হে মাবুদ। তুমি হযরত মুহাম্মদ (দঃ) এবং তাঁর পরিবারবর্গের উপর রহমত নাযিল কর। আর আমার এই উপস্থিতিকে তোমার গৃহে আমার শেষ উপস্থিতি করো না। এর যিয়ারাতের মাধ্যমে তুমি আমা থেকে পাপের বোঝা নামিয়ে দাও, সফরের নিরাপত্তা আমার সঙ্গী কর এবং নিরাপদে আমার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন সহজ করে দাও। হে পরম কৃপাময়।।

এর আরবী দোয়াটি এই:

"আল্লাহুম্মা ছাল্লি আলা মুহাম্মাদিও অ আ'লা আলি মুহাম্মাদিও অলা তাজমালহু আখিরাল আহদি বি নাবিয়্যিকা অ হাত্বিন আও যারী বি যিয়ারাতিহী অ আছহাবনী ফী সাফারিস সালামাতা অ বাশশির অজুই ইলা আহলী অ অত্বনী সালিমা ল্লিমান ইয়া আরহামার রাহিমীন।" 

Post a Comment

0 Comments