সফর থেকে প্রত্যাবর্তনকালীন সুন্নত

 সফর থেকে প্রত্যাবর্তনকালীন সুন্নত


        হযরত রাসূলে করীম (দঃ) যখনই কোন জিহাদ, হজ্জ্ব বা ওমরাহ প্রভৃতির সফর থেকে প্রত্যাবর্তন করতেন, তখন প্রত্যেক উচ্চস্থানে পৌঁছে তিনবার তাকবীর বলতেন এবং এ দোয়াটি পাঠ করতেনঃ

        "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু অহদাহু লা শারীকা লাহু লাহুল মুলকু অ লাহুল হামদু অহয়া আ'লা কুল্লি শাইয়িন জ্বামীর আয়িবৃনা, তায়িনা সাজিদূনা লি রাব্বিনা হামিদুনা ছাদাক্বাল্লাহু আ'দাহু অ নাছারা আবদাহু আহাযামাল আহযাবা অহদাহু।"

        অর্থাৎ আমরা আল্লাহর দিকে মুখ ফিরিয়েছি প্রত্যাবর্তনকারী, তাওবাহকারী, ইবাদাতকারী, সিজদাহকারী ও প্রতিপালকের প্রশংসকারীরূপে। আল্লাহ স্বীয় ওয়াদাহকে সত্য করেছেন। তাঁর বান্দাকে সাহায্য করেছেন এবং একাকীই শত্রুদলকে পরাজিত করেছেন।

        কোন কোন বর্ণনায় এরূপ বাক্যও রয়েছে, যেমন "কুল্লু শাইয়িন হালিকুন ইল্লা অজহাহু লাহুল হুকমু অ ইলাইহি তুরজাউন"। 

        অর্থাৎ আল্লাহ ব্যতীত সমস্ত কিছুই ধ্বংসশীল। হুকুমত সে আল্লাহ দিকে প্রত্যাবৃত হবে। সফর থেকে প্রত্যাবর্তন কালে এই রীতি অনুযায়ী আমল করবে। দূর থেকে নিজ শহর দৃষ্টিগোচর হলে সওয়ারীকে দ্রুত হাঁকাবে। অতঃপর শহরে পৌছে সওয়ারী থেকে নেমে এ দোয়াটি পড়বেঃ 

        "আল্লাহুম্মাজআল লানা বিহা কারারাও অ রিযক্বান।"

        অর্থাৎ হে মাবুদ। আমাদের জন্য এর মাধ্যমে স্থিতি এবং উত্তম রুজি নছীব কর। এরপর তোমার আগমন বার্তা কারও মাধ্যমে তোমার গৃহে পৌঁছাবে।

        কেননা পূর্বাহ্নে প্রত্যাবর্তন সংবাদ পৌছে দেয়া সুন্নত। রাত্রিবেলা গৃহে আগমন করা উচিত নয়। শহরে প্রবেশ করে প্রথম মসজিদে চলে যাবে ও দু' রাকাত নামায পড়বে। হুযুরে পাক (দঃ)- এর নীতি এরূপই ছিল। অতঃপর গৃহে প্রবেশ করে বলবেঃ আমি তাওবাহ করছি আল্লাহর দরবারে সফর থেকে প্রত্যাবর্তন করে। যাতে আমার কোন গুনাহ বাকী না থাকে। অতঃপর গৃহে বসবাস কালে আল্লাহ প্রদত্ত এই যিয়ারাতে কা'বা ও যিয়ারাতে রওজাহর অমূল্য নিয়ামতকে কখনও বিস্মৃত হবে না। এ নিয়ামতের প্রতি উদাসীন হয়ে কোনরূপ ক্রীড়া কৌতুক, অবাঞ্ছিত কাজকর্ম বা কোন গুনাহর কার্যে লিপ্ত হবে না। কেননা মকবুল হজ্জ্বের পরিচায়ক তা' নয়; বরং তা' হল, হজ্জ্ব করে ফিরে এসে হাজী তারেকে দুনিয়া এবং আশেকে আখেরাত হয়ে যাবে। আর সে যে গৃহের যিয়ারাত করে এসেছে এরপর সে সে গৃহের মালিকের যিয়ারাতের জন্য প্রস্তুত হতে থাকবে।

Post a Comment

0 Comments