আরাফাতে অবস্থানের পরবর্তী কর্তব্যাবলী


 আরাফাতে অবস্থানের পরবর্তী কর্তব্যাবলী (সপ্তম কর্তব্য)

        আরাফাতে অবস্থানের পরবর্তী কর্তব্য হল, মুযদালিফায় গমন ও অবস্থান, জমরা সমূহে প্রস্তর নিক্ষেপ, যবেহ করণ, মস্তক মুন্ডন এবং কা'বা প্রদক্ষিণ বা তাওয়াফ করণ।

         সূর্যাস্তের পর আরাফাত থেকে প্রত্যাবর্তন কালে ধীর স্থির ও গাম্ভীর্যের সাথে চলবে। কিছু লোকের অভ্যাস অনুযায়ী সবেগে অশ্ব অথবা উষ্ট্র হাঁকিয়ে যাবে না। কেননা হুযুরে পাক (দঃ) এরূপ করতে নিষেধ করেছেন। তিনি বলেছেন, তোমরা মনে আল্লাহর ভয় রাখ এবং উত্তমরূপে পথ চল। দুর্বলকে পদদলিত করো না ও মুসলমানকে কষ্ট দিও না।

        মুযদালিফায় পৌছে গোসল করবে। মুযদালিফা হেরেমের অন্তর্গত। তাই এখানে গোসল করে প্রবেশ করতে হয়। এখানে পদব্রজে প্রবেশ করলে বেশী ভাল হয়। এ স্থানকে হেরেমের মত সম্মান করতে হয়। পথিমধ্যে তালবিয়া উচ্চশব্দে পড়বে। মুযদালিফায় পৌঁছে নিম্নোক্ত দোয়াটি পড়বেঃ 

        আল্লাহুম্মা ইন্ন। হাযিহী মুযদালিফাতুন জামায়াত ফাঁহা আলসিনাতুম মুখতালিফাতুন নাসয়ালুকা হাওয়ায়িজা মু'তানিফাতান ফাজআলনী মিম্মানদাআকা ফাস্তাজাবতা লাহু অ তাওয়াক্কাল আলাইকা ফাকাফাইতাহু।

        অর্থাৎ হে মাবুদ। এ স্থানটি মুযদালিফা। এখানে বহু ভাষাভাষী লোক সমবেত হয়ে বিভিন্ন ভাষায় বিবিধ প্রয়োজনীয় বিষয় তোমার কাছে প্রার্থনা করে, এদের মধ্যে যাদের দোয়া তুমি কবুল করেছ ও তোমার প্রতি যে সব ভরসাকারীদেরকে তুমি যথেষ্ট দিয়েছ, আমাকেও তাদের শামিল কর।

        অতঃপর মুযদালিফায় এশার ওয়াক্তে এক আযানে ও দু' একামতে এশা ও মাগরিবের নামায আদায় করবে। উভয় ফরজের মাঝে কোন সুন্নত ও নফল নামায আদায় করবে না; বরং সে সব নামায এবং বেতেরের নামায উভয় ফরজের পরে পড়বে। এশার ফরজে কছর পড়বে। এ রাতটি মুযদালিফায়ই কাটিয়ে দেবে। এ রাত এখানে কাটানো হজ্জ্বানুষ্ঠানেরই অন্তর্ভুক্ত। কেউ অর্ধরাতের পূর্বে অর্থাৎ প্রথম রাতে এখান থেকে চলে গেলে তাকে একটি কুরবানী করতে হবে। এরাতে বেশী করে দরূদ ও অজিফা তেলাওয়াত করবে। এটা অধিক ছওয়াবের কাজ হবে। সম্ভব হলে রাতভর জেগে দোয়া দরূদ পাঠ করা বেশী উত্তম।

         অতঃপর অর্ধেক রাত্রি অতীত হয়ে গেলে সেখান থেকেই জমরায় নিক্ষেপের জন্য সত্তরটি কঙ্কর কুড়িয়ে নেবে। কিছু বেশী নিলেও কোন ক্ষতি নেই। অঙ্গুলির অগ্রভাগে ধরা যায়, কঙ্করগুলো এরূপ ছোট হওয়া চাই। অতঃপর সেখানে রাতের আঁধার বর্তমানেই ফজরের নামায আদায় করে সেখান থেকে রওয়ানা হবে। মুযদালিফার শেষপ্রান্ত মাশআরুল হারামে পৌছে কিছুক্ষণের জন্য সেখানে অবস্থান করবে; এবং চারদিক ফর্সা না হওয়া পর্যন্ত দোয়া কালাম পাঠ করবে। এখানে পড়ার জন্য এ দোয়াটি নিদিষ্ট রয়েছেঃ

        আল্লাহুম্মা বিহাক্কিল, মাশআরিল হারামি অলবাইতিল হারামি অশ শাহরিল হারামি অররুকনি অলমাকামি আবলাগ রূহা মুহাম্মাদিম মিন্নাত্তাহিয়‍্যাতা অস সালামা অ আদখিলনা দারাস  সালামি ইয়া যাল-জালালি অল ইকরাম। 

        অর্থাৎ হে মাবুদ। মাশআরুল হারাম, পবিত্র খানায় কা'বা, সম্মানিত মাকামের উসিলায় হযরত মুহাম্মদ (দঃ) এর পবিত্র রূহের প্রতি আমাদের সালাম ও সম্ভাষণ 'পৌছে দাও; এবং আমাদেরকে শান্তিময় গৃহে প্রবেশ করাও হে মহা মহিমান্বিত ও পরম সম্মানিত। 

        অতঃপর চারদিক কিছুটা ফর্সা হয়ে উঠলে সুর্যোদয়ের পূর্বেই সেখান থেকে রওয়ানা করবে এবং ওয়াদিয়ে মুহাসসর নামক উপত্যাকায় পৌঁছে যতদূর সম্ভব দ্রুত যানবাহন হাঁকিয়ে উক্তস্থান অতিক্রম করবে। পায়দল হলেও দ্রুতগতিতে চলবে। ঐদিন অর্থাৎ দশই যিলহজ্জ্ব কুরবানীর দিন সূর্যোদয়ের পর লাব্বাইকের সাথে তাকবীর মিশ্রিত করবে। অর্থাৎ কখনও লাব্বাইক এবং কখনও তাকবীর পাঠ করবে। এরূপ পাঠ করতে করতে মিনায় জমরার স্থানে পৌঁছবে। জমরার সংখ্যা তিনটি। প্রথম ও দ্বিতীয় জমরা কোন কাজ করা ব্যতীতই অতিক্রম করে যাবে। কুরবানীর দিন এখানে কোন কিছু করবার নেই। তারপর যখন তৃতীয় জমরা বা জমরায় আকাবায় পৌছবে এবং সূর্যও এক বর্শা পরিমাণ উপরে উঠবে, তখন এই জমরায় সাতটি কংকর নিক্ষেপ করবে। কিবলামুখী হয়ে দাঁড়ালে তার ডান দিকে পাহাড়ের নীচে এ জমরাটি পড়ে। কংকর নিক্ষেপকালে নিক্ষেপকারী কিবলামুখী কিংবা জমরামুখী হয়ে দাঁড়াবে এবং হাত তুলে তাকবীর বলে কংকর ছুড়ে মারবে। 

        এভাবে সাতটি কংকর নিক্ষেপ করবে এবং প্রত্যেকবার নিক্ষেপ করা কালে লাব্বাকের বদলে তাকবীর বলবে এবং এ দোয়াটি পড়বেঃ "আল্লাহু আকবারু আলা ত্বোয়াতির রাহমানি অ রাগামিশ শাইত্বোয়ানি আল্লাহুম্মা তাহুদীক্বাম বি কিতাবিকা অ ইত্তিবা আল্লি সুন্নাতি নাবিয়্যিকা।"

        অর্থাৎ আল্লাহ মহান। আমি আল্লাহর আনুগত্য এবং শয়তানের লাঞ্ছনা করার জন্য এই কংকর নিক্ষেপ করছি। হে মাবুদ। আমি তোমার কিতাবের সত্যায়ন এবং তোমার নবীর (দঃ) নীতি অনুসরণের জন্য এ কংকর নিক্ষেপ করছি। কংকর নিক্ষেপ শেষ হয়ে গেলে লাব্বাইক এবং তাকবীর পাঠ উভয়ই বন্ধ করে দেবে। কিন্তু আবার ঐ দিন (দশ তারিখ) জোহর থেকে প্রত্যেক ফরজ নামাযের পরে তের তারিখের ফজরের পর পর্যন্ত তাকবীর পাঠ জারী রাখবে। নামাযের পর এভাবে তাকবীর পড়বে:

        "আল্লাহ আকবারু আল্লাহু আকবারু আল্লাহ আকবারু কাবীরান অলমাহদু লিল্লাহি কাছীরান অ সুবহানাল্লাহি বুকরাতাও অ আছীলা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু অহদাহু লা শারীকা লাহু মুখলিছীন। লাহুদ্দীনা অলাও কারিহাল কাফিরুনা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু অহদাহু অ ছাদাক্বা ওয়া'দাহু অ নাছারা আবদাহু অহাযামাল আহযাবা অহদাহু লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু অল্লাহু আকবার।" এদিন জমরার কাছে দোয়া পাঠের জন্য অপেক্ষা করবে না; বরং নিজ বাসস্থানে গিয়ে দোয়া করবে। সঙ্গে কুরবানীর জন্তু থাকলে তা' যবেহ করবে। নিজ হাতে যবেহ করা উত্তম। যবেহ করা কালে এ দোয়াটি পাঠ করবে।

        "বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবারু আল্লাহুম্মা মিনকা অ বিকা অ ইলাইকা তাক্বাব্বাল মিন্নী কামা তাক্বাব্বালতা মিন খালীলিকা ইব্রাহীম।"

        অর্থাৎ শুরু আল্লাহুর নামে, আল্লাহ মহান। হে মাবুদ! এ কুরবানী তোমার পক্ষ থেকে আদায় হয়েছে। তোমারই জন্যে আদায় হয়েছে। তোমারই দিকে প্রত্যাবর্তন করবে। আমার পক্ষ থেকে এ কুরবানী কবুল কর, যেমন তুমি তোমার খলীল ইব্রাহীম (আঃ) এর পক্ষ থেকে কবুল করেছিলে।

        কুরবানীর জন্য সর্বোত্তম উট, তারপর গরু, তারপর ভেড়া, তারপর বকরী। তবে একটি উট বা গরু কুরবানীতে সাতজন অংশীদার হওয়ার চেয়ে বকরী কুরবানী করাই উত্তম। তবে বকরীর তুলনায় দুম্বা অধিক উত্তম। হুযুরে পাক (দঃ) এরশাদ করেছেন যে, নিখুঁত সাদা রংয়ের ভেড়া কাল রংয়ের ভেড়ার চেয়ে উত্তম। হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) বলেন, হুযুরে পাক (দঃ) এরশাদ করেছেন, কুরবানীতে কাল বর্ণের দুম্বার চেয়ে সাদা রংয়েরটাই অনেক ভাল। কুরবানী নফল হলে তার গোশত খাওয়া যেতে পারে। কোন রকমের দোষ আছে এমন জন্তু কুরবানী করবে না। যেমন লেংড়া, লুলা, নাক কাটা, কান কাটা, শিং কাটা বা জন্ম থেকেই শিং না থাকা। সামনের পা খাট হওয়া, কানের অগ্র-পশ্চাৎ ছিদ্র হওয়া বা এমনি কৃশ হওয়া যে, হাড়ের উপর মোটেই মাংস না থাকা ইত্যাদি। কুরবানী করা কালে কুরবানীর জন্তুকে কিবলারোখ করে নেবে। এটা সুন্নত। মস্তকের কেশ মুন্ডন করবে কুরবানী করার পর। কেশ মুন্ডন কালে এ দোয়াটি পড়বে:

        আল্লাহুম্মাছবাতলী বিকুল্লি শা'রাতিন হাসানাতান ওয়ামহু আন্নী বিহা সাইয়্যিয়াতান অরফা'লী বিহা ইন্দ্যকা দারাজাতান।

        অর্থাৎ হে মাবুদঃ আমার জন্য প্রত্যেক চুলের বদলে একটি নেকী লিখে দাও আর প্রত্যেক চুলের বদলে একটি গুনাহ মিটিয়ে দাও। আর প্রত্যেক চুলের বদলে তোমার দরবারে আমার একটি মর্তবা বাড়িয়ে দাও।

        স্ত্রীলোকগণ চুল মুন্ডন করবে না। তবে খুব অল্প কিছু কেটে নেবে। যাদের মস্তকে টাক রয়েছে তাতে খুর বুলিয়ে নেয়া মুস্তাহাব। মাথার কেশ মুন্ডনের সাথে সাথে এহরাম শেষ হয়ে যায়। তখন শুধুমাত্র নারী সম্ভোগ এবং শিকার করা ছাড়া অন্যান্য সব নিষিদ্ধ কাজ হালাল হয়ে যায়। অতঃপর মক্কায় গিয়ে তাওয়াফ করবে। এ সময়কার এ তাওয়াফটি হজ্জের রোকন বই কি। একে তাওয়াফে যিয়ারাতও বলা হয়। এ তাওয়াফের সময় দশই যিলহজ্জের অর্ধরাত্রি অতিবাহিত হওয়ার পর থেকে আরম্ভ হয়। সময় শেষ হওয়ার কোন সীমা নেই। সুতরাং যতক্ষণ ইচ্ছে বিলম্ব করেও এ তাওয়াফ করা যায়। কিন্তু এ তাওয়াফ না করা পর্যন্ত এহরামের কিছুটা প্রভাব অক্ষুণ্ণ থাকে। যেমন স্বামী-স্ত্রী সহবাস করা চলবে না। তাওয়াফে যিয়ারাত হয়ে গেলে তখন ওটা করা চলবে। অর্থাৎ তখন পুরোপুরি হালাল হয়ে যাবে। এরপর বাকী থেকে গেল শুধু আইয়্যামে তাশরীকে জমরার উপর কংকর নিক্ষেপ করা; এবং মিনায় রাত্রি অতিবাহিত করা। এ কাজ দুটো এহরাম শেষ হওয়ার পর হজ্জের অনুসরণে করা ওয়াজিব। তাওয়াফে কুদুমের ন্যায় এই তাওয়াফের পরও দু'রাকাত নামায পড়বে। নামায শেষ করার পর যদি তাওয়াফে কুদুম করার পরে সায়ী না করে থাকে, তাহলে পূর্ব বর্ণিত মতে সায়ী করে নেবে। যদি পূর্বে সায়ী করে থাকে, তাহলে আর তা' করতে হবে না। এহরাম থেকে হালাল হওয়ার তিনটি উপায়। যেমন (১) কঙ্কর নিক্ষেপ করা, (২) মস্তক মুন্ডন করা এবং (৩) তাওয়াফে যিয়ারত করা। কুরবানীসহ একাজ তিনটিকে অগ্র পশ্চাৎ করায় কোন দোষ নেই। তবে উত্তম হল, প্রথম কঙ্কর নিক্ষেপ করা, তারপর কুরবানী করা, তারপর মাথা মুন্ডন করা এবং সবশেষে তাওয়াফে যিয়ারাত করা।

        দশই যিলহজ্জ্ব সূর্য ঢলে পড়ার পর ইমামের জন্য খুৎবাহ দেয়া সুন্নত। এটা হুযুরে পাক (দঃ) এর বিদায়ী খুৎবাহ ছিল। হজ্জের মধ্যে খুৎবাহ মোট চারটি। একটি সাত তারিখে, একটি নয় তারিখে, একটি দশ তারিখে এবং আর একটি মিনা থেকে প্রথম বিদায়ের দিন অর্থাৎ যিলহজ্জ্বের বার তারিখে। এ চারটি খুৎবাহ দিতে হয় দ্বিপ্রহরে সূর্য ঢলে পড়ার পর। এর মধ্যে শুধু নয় তারিখে আরফার খুৎবাহ দুটি, আর বাকী সবগুলো একটি করে। আরফায় দু' খুৎবাহর তাওয়াফে যিয়ারত শেষে রাতে থাকার জন্য এবং কঙ্কর নিক্ষেপের জন্য মিনায় প্রত্যাবর্তন করবে। এগার তারিখে যখন সূর্য ঢলে পড়ে তখন কঙ্কর মারার জন্য গোসল করবে এবং প্রথম জমরার দিকে রওয়ানা হবে। এটা আরাফাতের দিক থেকে ঠিক রাস্তার উপর অবস্থিত। সেখানে সাতটি কঙ্কর নিক্ষেপ করবে। তারপর সম্মুখে অগ্রসর হয়ে রাস্তা থেকে অল্প কিছু দূরে গিয়ে কিবলামুখী হয়ে দাঁড়াবে এবং আল্লাহ তায়ালার হামদ ও তাকবীর পাঠ করে পূর্ণ আন্তরিকতা এবং অঙ্গ প্রত্যঙ্গের বিনম্রতার সমন্বয় সাধন করে ঠিক ততক্ষণ দোয়া কালাম পাঠ করবে, যতক্ষণ সময় সূরা বাকারাহ পড়তে লাগে। 

        অতঃপর সামনে অগ্রসর হয়ে দ্বিতীয় জমরার নিকট গিয়ে সেখানেও প্রথম জমরার ন্যায় কংকর নিক্ষেপ করবে। তারপর সামনে অগ্রসর হয়ে তৃতীয় জমরা অর্থাৎ জমরায় আকাবাতেও সাতটি কঙ্কর নিক্ষেপ করবে। তারপর কোন কাজ না করে নিজ বাসস্থানে এসে রাত্রিযাপন করবে। তারপর দিন অর্থাৎ বার তারিখের জোহরের নামাযের পর পূর্বদিনের ন্যায় একুশটি কঙ্কর তিনটি জমরায় নিক্ষেপ করবে। এরপর ইচ্ছে হলে মিনায় অবস্থান করবে, ইচ্ছে হলে মক্কায় ফিরে আসবে। সূর্যাস্তের পূর্বে মিনা থেকে চলে এলে তো ভাল, তবে যদি রাত্রি পর্যন্ত মিনা ত্যাগ না করে তবে তার জন্য সেখান থেকে বের হওয়া জায়েয হবে না বরং রাত্রে মিনায় অবস্থান করে তের তারিখে একুশটি কঙ্কর পূর্বানুরূপ তিন জমরায় নিক্ষেপ করতে হবে। রাত্রে না থাকলে কঙ্কর নিক্ষেপ করলে কুরবানী করতে হবে এবং তার গোশত ছদকাহ করে দেবে। যেসব রাত্রে মিনায় অবস্থান করবে, সেসব রাত্রে খানায় কা'বা যিয়ারাত করা যেতে পারে। তবে মিনাতেই গিয়ে থাকতে হবে। মিনায় অবস্থান কালে ফরজ নামায সমূহ মসজিদে খায়েফে গিয়ে ইমামের লাথে আদায় করবে। এতে অত্যধিক ছওয়াব অর্জিত হবে। মিনা থেকে মক্কা গমন কালে রাস্তায় মুহাসসাবে যাত্রা বিরতি করা উত্তম; এবং আছর, মাগরিব এবং এশার নামায সেখানেই পড়বে এবং সামান্য আরামও করবে। এটা করা সুন্নত বলে বিভিন্ন সাহাবী থেকে বর্ণিত আছে। অবশ্য এটা না করলে কোন কাফফারার প্রয়োজন হবে না।

Post a Comment

0 Comments