স্বামীর ও স্ত্রীর কর্তব্যসমূহ


        (১) হযরত ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) বলেছেন, বিবাহের মূল অর্থ দাসত্ব স্বীকার করা। বিবাহের পর স্ত্রী (স্বামীর) দাসত্বে চলে যায়। স্বামীর আদেশ পালন করা স্ত্রীর জন্য একান্ত কতর্ব্য। স্বামী স্ত্রীর দেহ উপভোগ করার প্রস্তাব দিলে তা' দিতে স্ত্রীর কোন গুনাহ নেই। এ সম্পর্কে বহু সংখ্যক হাদীস আছে। হযরত রাসূলে করীম (দঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তির স্ত্রীর মৃত্যু হয় এবং স্বামী তার উপর সন্তুষ্ট থাকে নিশ্চয় সে স্ত্রী বেহেশতে যাবে। এক ব্যক্তি বিদেশ যাত্রাকালে তার স্ত্রীর নিকট থেকে এরূপ প্রতিশ্রুতি নিল যে, সে কখনও উচ্চস্থান থেকে নিম্নস্থানে যাবে না। কিন্তু স্ত্রীলোকটির পিতা নিম্নস্থানেই বাস করত। ঐ স্ত্রীলোকটির পিতা সহসা রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ল, তখন স্ত্রীলোকটি নিম্নস্থানে গিয়ে পিতাকে দেখার জন্য হুযুরে পাক (দঃ)এর অনুমতি চাইল। কিন্তু তিনি বললেন, তোমার স্বামীর আদেশ পালন কর। ইতিমধ্যে স্ত্রীলোকটির পিতা মারা গেল এবং তখন সে হুযুরে পাক (দঃ) এর নিকট তার পিতাকে একবার দেখার জন্য অনুমতি চাইল। কিন্তু এবারও তিনি অনুমতি না দিয়ে বললেন, তোমার স্বামীর কথা পালন কর। পিতার দাফন-কাফন যথারীতি সম্পন্ন হয়ে গেল। তারপর হুযুরে পাক (দঃ) ঐ স্ত্রীলোকটির নিকট সংবাদ পাঠালেন যে, তোমার পিতাকে আল্লাহতায়ালা ক্ষমা করেছেন। কেননা, তুমি তার কন্যা স্বামীর বাক্য পূর্ণরূপে মান্য করেছ।

        হযরত রাসূলে করীম (দঃ) এরশাদ করেছেন, যখন কোন স্ত্রীলোক যথারীতি পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়ে, রমযানের রোযা রাখে, স্বীয় গুপ্ত অঙ্গ রক্ষা করে এবং স্বীয় স্বামীর উপদেশানুযায়ী চলে, নিশ্চয়ই সে তার প্রভুর বেহেশতে প্রবেশ করবে। স্বামীর আনুগত্যকে নারীদের ক্ষেত্রে ইসলামের ভিত্তিসমূহের অন্তর্গত করা হয়েছে। হুযুরে পাক (দঃ) স্ত্রীলোকদের বিষয় উল্লেখ করে বলেছেন, তারা গর্ভধারিণী, সন্তান উৎপাদনকারিণী এবং সন্তানদের প্রতি শ্লেহশীলা। যদি তারা তাদের স্বামীর নিকট না আসে তবু যথারীতি নামায আদায় করলে (রোযা রাখলে )আপনি খোদ হযরত রাসূলে করীম (দঃ)এর একখন্ড মাংস। যদি আপনি আমার সহিত এই শর্ত করতে পারেন যে, আপনি আমার কন্যাকে তালাক দিবেন না, তাহলে আমি তাকে আপনার নিকট বিবাহ দিতে পারি। একথা শুনে হযরত হাসান (রাঃ) সেখান থেকে উঠে নীরবে চলে গেলেন। হযরত আলী (রাঃ) হযরত হাসান (রাঃ) এর অতিরিক্ত তালাকপ্রিয়তার জন্য তাঁতে তিরস্কার করেছিলেন। ঘটনাটি বলার উদ্দেশ্য এই যে, তালাক যত নিকৃষ্টই হোক না কেন, তা' হারাম নয়; বরং হালাল। আল্লাহ বলেছেন, "তোমাদের মধ্যে যারা বিধবা এবং তোমাদের দাস-দাসীদের মধ্যে যারা সৎ, তাদেরকে বিবাহ কর। তারা যদি দরিদ্র হয় আল্লাহ তাদেরকে তাঁর নিজ ভাণ্ডার থেকে যথেষ্ট দান করবেন।" আল্লাহ আরও বলেন, "যদি তারা উভয়ে পরস্পরে পৃথক হয়ে যায় আল্লাহ তাদের প্রত্যেককেই তাঁর ভান্ডার হতে যথেষ্ট দান করবেন"।

        (৪) বিবাহ এবং তালাকের সময় স্ত্রীর গোপনীয় বিষয়সমূহ প্রকাশ করবে না। বিশুদ্ধ হাদীসে এ সম্পর্কে নিষেধ এসেছে এবং এ সম্পর্কে বিশেষভাবে সতর্ক করা হয়েছে। জনৈক ধার্মিক ব্যক্তি তার স্ত্রীকে তালাক দিতে চাইলে এক ব্যক্তি তাকে জিজ্ঞেস করল, আপনার স্ত্রীর কোন দোষ আপনাকে এত বিব্রত করছে? তিনি বললেন, কোন জ্ঞানী ব্যক্তিই তার স্ত্রীর গোপন কথা প্রকাশ করে না। অতঃপর যখন তিনি তাঁর স্ত্রীকে তালাক দিলে, তাঁকে জিজ্ঞেস করা হল, আপনি তাকে কেন তালাক দিলেন? তিনি জবাবে বললেন, কোন বেগানা স্ত্রীর গুপ্ত বিষয় আমি কিরূপে বলব?

স্বামীর প্রতি স্ত্রীর কর্তব্যসমূহ

        (১) হযরত ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) বলেছেন, বিবাহের মূল অর্থ দাসত্ব স্বীকার করা। বিবাহের পর স্ত্রী (স্বামীর) দাসত্বে চলে যায়। স্বামীর আদেশ পালন করা স্ত্রীর জন্য একান্ত কতর্ব্য। স্বামী স্ত্রীর দেহ উপভোগ করার প্রস্তাব দিলে তা' দিতে স্ত্রীর কোন গুনাহ নেই। এ সম্পর্কে বহু সংখ্যক হাদীস আছে। হযরত রাসূলে করীম (দঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তির স্ত্রীর মৃত্যু হয় এবং স্বামী তার উপর সন্তুষ্ট থাকে নিশ্চয় সে স্ত্রী বেহেশতে যাবে। এক ব্যক্তি বিদেশ যাত্রাকালে তার স্ত্রীর নিকট থেকে এরূপ প্রতিশ্রুতি নিল যে, সে কখনও উচ্চস্থান থেকে নিম্নস্থানে যাবে না। কিন্তু স্ত্রীলোকটির পিতা নিম্নস্থানেই বাস করত। ঐ স্ত্রীলোকটির পিতা সহসা রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ল, তখন স্ত্রীলোকটি নিম্নস্থানে গিয়ে পিতাকে দেখার জন্য হুযুরে পাক (দঃ) এর অনুমতি চাইল। কিন্তু তিনি বললেন, তোমার স্বামীর আদেশ পালন কর। ইতিমধ্যে স্ত্রীলোকটির পিতা মারা গেল এবং তখন সে হুযুরে পাক (দঃ) এর নিকট তার পিতাকে একবার দেখার জন্য অনুমতি চাইল। কিন্তু এবারও তিনি অনুমতি না দিয়ে বললেন, তোমার স্বামীর কথা পালন কর। পিতার দাফন-কাফন যথারীতি সম্পন্ন হয়ে গেল। তারপর হুযুরে পাক (দঃ) ঐ স্ত্রীলোকটির নিকট সংবাদ পাঠালেন যে, তোমার পিতাকে আল্লাহতায়ালা ক্ষমা করেছেন। কেননা, তুমি তার কন্যা স্বামীর বাক্য পূর্ণরূপে মান্য করেছ।

        হযরত রাসূলে করীম (দঃ) এরশাদ করেছেন, যখন কোন স্ত্রীলোক যথারীতি পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়ে, রমযানের রোযা রাখে, স্বীয় গুপ্ত অঙ্গ রক্ষা করে এবং স্বীয় স্বামীর উপদেশানুযায়ী চলে, নিশ্চয়ই সে তার প্রভুর বেহেশতে প্রবেশ করবে। স্বামীর আনুগত্যকে নারীদের ক্ষেত্রে ইসলামের ভিত্তিসমূহের অন্তর্গত করা হয়েছে। হুযুরে পাক (দঃ) স্ত্রীলোকদের বিষয় উল্লেখ করে বলেছেন, তারা গর্ভধারিণী, সন্তান উৎপাদনকারিণী এবং সন্তানদের প্রতি শ্লেহশীলা। যদি তারা তাদের স্বামীর নিকট না আসে তবু যথারীতি নামায আদায় করলে (রোযা রাখলে)

Post a Comment

0 Comments