১. যারা সম্পূর্ণ নির্বোধ বা বধির, যাদের কোন জ্ঞানবুদ্ধি নেই। ২. যাদের (ছোটদের) মধ্যে নারী ও পুরুষের পার্থক্যবোধ এখনও সৃষ্টি হয়নি। ৩. যারা এমন বৃদ্ধ যে, তাদের যৌন চেতনা সম্পূর্ণ শেষ হয়ে গেছে, তাদের কোন নারীর প্রতিই আর আসক্তি নেই। এমনকি নিজের স্ত্রীকেও আসক্তির নজরে দেখার মত। মন-মানসিকতা যাদের শেষ হয়ে গেছে। তবে বৃদ্ধদের মধ্যে কার কামশক্তি শেষ হয়ে গেছে আর কার শেষ হয়নি তা যখন বুঝা যায় না তখন উচিত বৃদ্ধদের থেকেও পর্দা করে চলা। ৪. আর যারা নপুংসক বা পুরুষও নয় নারীও নয় অর্থাৎ যারা সমাজে 'হিজড়া' নামে খ্যাত। তবে এদের ব্যাপারে সব মুফাস্স্সির একমত নন। ৫. কোন কোন মুফাস্স্সির লিঙ্গ কর্তিত ও খাসি করা পুরুষদেরকেও নপুংসকের মধ্যে শামিল করেছেন। ৬. বেগানা পুরুষ চাকর দিয়ে অনেক সময় মেয়েদের তরকারি কুটা এবং হলুদ-মরিচ বাটার কাজও করাতে দেখা যায় এবং ঐসব চাকর পুরুষদেরকে কেউই বেগানা মনে করে না। কিন্তু শরীয়তের দৃষ্টিতে এটা সম্পূর্ণ অনাচাঁর। এটা অবশ্যই বন্ধ করা উচিত।
যে বেপর্দা আল্লাহ মাফ করবেন
১. কোন পর্দানশীল স্ত্রীলোক যদি রিকশায় বা গাড়িতে ওঠার সময় হঠাৎ পায়ের কিছুটা অংশ বেরিয়ে যায় তবে তা যেহেতু সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত তাই আল্লাহ তা মাফ করবেন। ২. মাথা ঢেকে পথ চলার সময় যদি বাতাসে হঠাৎ তার মাথার কাপড় একটু সরে যায় আর সাথে সাথে যদি কাপড়টা টেনে আবার মাথা ঢেকে দেয় তাহলে অনিচ্ছাকৃতভাবে একটু কাপড় সরে যাওয়ায় কোন গুনাহ হবে না। ৩. পথ চলতে চলতে যদি হঠাৎ কোন পুরুষের কোন নারীর দিকে দৃষ্টি পড়ে যায় আর সঙ্গে সঙ্গে যদি নজর সরিয়ে নিয়ে আসে তবে তাতে তার কোন গুনাহ হবে না। অনুরূপভাবে কোন মহিলার কোন পুরুষের দিকে দৃষ্টি পড়ে যায় এবং সাথে সাথে নজর সরিয়ে নেয় তবে তাতে মহিলার কোন গুনাহ হবে না। কিন্তু যদি ইচ্ছাকৃতভাবে বার বার চায় অথবা চেয়েই থাকে তবে অবশ্যই গুনাহ হবে।
হিজাবের ব্যাপারে যাদের মৃত্যুতুল্য ভয় করতে হবে
১. নিজের ভগ্নিপতি। ২. স্বামীর ভগ্নিপতি। ৩. দেবর ও ভাশুর এবং ৪ নিকট আত্মীয়দের মাঝে যারা বেগানা পুরুষ। কারণ তাদের ব্যাপারে পিতা-মাতা, শ্বশুর-শাশুড়ী সবাই থাকে বেখেয়াল এবং এতে তারা প্রশ্রয় পায় শ্বশুর-শাশুড়ীর পক্ষ হতেও এবং পিতা-মাতার পক্ষ থেকেও। কাজেই এসব ক্ষেত্রে দুর্ঘটনা ঘটে বেশি।
কিন্তু এটা বর্তমান সমাজে মেনে চলা এত কঠিন যে মুষলধারায় যখন বৃষ্টি নামতে থাকে তখন ছাতা মাথায় দিয়েও বৃষ্টির পানি হতে বাঁচা যেমন কঠিন। কারণ এ ব্যাপারে সমাজে যে হিন্দুয়ানী রেওয়াজ চালু হয়ে রয়েছে তার মায়ে কোন বাধার সৃষ্টি করলে যেমন পারিবারিক অশান্তির ভয় রয়েছে তেমনি আত্মীয়তায় ফাটল ধরার বা আত্মীয়তা নষ্ট হয়ে যাওয়ারও আশংকা আছে। এজন্যই এদেরকে মৃত্যুতুল্য ভয় করতে হবে। কারণ আযরাঈল যখন আসে তখন কারোই কোন বাধা সে মানে না।
ঠিক তদ্রূপ উপরিউক্ত ক্ষেত্রে যদি কোন অঘটন ঘটে তবে তা কোন ব্যক্তিই ঠেকাতে পারে না। তাহলে এর মধ্যে মারাত্মক ভয় রয়েছে ভগ্নিপতি এবং স্বামীর ভগ্নিপতির মাঝে।
গৃহশিক্ষক থেকে হিজাব
গৃহশিক্ষক আর ছাত্রী যুবক-যুবতী হলে কত যে দুর্ঘটনা ঘটে তা আমাদের কারোই অজানা নেই। মেয়েদের গৃহশিক্ষক অবশ্যই মহিলা হওয়া অথবা বৃদ্ধলোক হওয়া উচিত। গৃহশিক্ষককে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, শেষ পর্যন্ত সে আর বেগানা থাকে না। সে ঘরের সদস্যদের মত হয়ে যায়। যুবক গৃহশিক্ষকের কাছে পড়াতে বাধ্য হলে সেক্ষেত্রে ছাত্রীকে পূর্ণ শরয়ী হিজাব পালন করে চলতে হবে, অপরদিকে অবিভাবককেও সদা সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। কোন নিভৃত কক্ষে একাকী বসতে দেয়া যাবে না। নিভৃত কক্ষে বসতে হলে সাথে কোন ভাই বা বোনকেও পড়ার টেবিলে বসাতে হবে। এক্ষেত্রে অভিভাবকদেরকেই পরিবেশ অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে হবে। গৃহশিক্ষক বৃদ্ধ হলেও তার থেকে যুবতী ছাত্রীর হিজাব করতে হবে।
0 Comments