রসূল (সাঃ) খবর পেয়ে সাহাবায়ে কিরাম-এর সাথে পরামর্শ করলেন। হযরত সিদ্দীকে আকবর (রাঃ) এবং অন্যান্য সাহাবায়ে কিরাম স্বীয় জান-মাল হুযুর (সাঃ)-এর খিদমতে পেশ করেন। উমায়র বিন ওক্কাস (রাঃ) ঐ সময় অপ্রাপ্তবয়স্ক ছিলেন। তাই হুযুর (সাঃ) তাঁকে জিহাদে অংশগ্রহণে নিষেধ করলে তিনি কাঁদতে থাকেন। এরপর হুযূর (সাঃ) তাঁকে অনুমতি দিলে তিনি জিহাদে অংশগ্রহণ করেন।
আনসারদের মধ্য হতে খাযরাজ গোত্রের নেতা সা'দ বিন উবাদা (রাঃ) উঠে বললেন, আল্লাহর শপথ, আপনি নির্দেশ দিলে আমরা সমুদ্রে ঝাঁপিয়ে পড়বো।
হযরত মিকদাদ (রাঃ) আরয করলেন, হে আল্লাহর রসূল! আমরা আপনার ডানে বামে এবং সামনে ও পেছনে যুদ্ধ করবো। এটা শুনে হুযুর (সাঃ) অত্যন্ত সন্তুষ্ট হলেন। তিনি তখন তাঁদের অগ্রসর হওয়ার জন্য নির্দেশ দিলেন। বদরের নিকট পৌঁছে জানতে পারলেন যে, আবু সুফিয়ান তার ব্যবসায়ী দল নিয়ে চলে গিয়েছে এবং কুরায়শদের এক বিরাট বাহিনী ঐ ময়দানে অন্য পার্শ্বে অবস্থান করছে। কাফেলা (আবু সুফিয়ানের দল) চলে যাওয়ার পরও আবূ জাহল লোকদেরকে এ পরামর্শ দিলো যে, যুদ্ধ স্থগিত রাখা যাবে না।
মুসলমান সৈন্যদল এ খবর শুনে অগ্রসর হয়ে দেখেন, কুরায়শ দল আগেই পৌছে এমন জায়গায় অবস্থান নিয়েছে যে, তা যুদ্ধ পরিচালনার জন্য খুবই উত্তম; পানির কূপ ও নহরগুলো ঐ দিকে ছিল। পক্ষান্তরে মুসলিম বাহিনী এমন বালুকাময় শুষ্ক জায়গা পেল যে, তাতে চলাফেরা করা খুবই কষ্টকর। এ ছাড়া সেখানে পানির চিহ্নমাত্রও ছিল না।
কিন্তু আল্লাহ্ তা'আলা তো বিজয় ও সাহায্যের অঙ্গীকার করেছেন। তিনি এরূপ উপায় উদ্ভাবন করে দিলেন যে, ঐ সময় বৃষ্টি বর্ষিত হওয়ায় বালুকাময় ভূমি শক্ত হয়ে গেল। সমস্ত সৈন্যবাহিনী তৃপ্তির সাথে পানি পান করলেন এবং সমস্ত পাত্রই পানিতে ভর্তি করে নিলেন। অবশিষ্ট পানি হাউজ বানিয়ে আটকিয়ে রাখা হলো। অপরদিকে ঐ বৃষ্টি কাফিরদের অবস্থানস্থল এরূপ কর্দমাক্ত করে ফেলল যে, চলাফেরা তাদের পক্ষে দুষ্কর হয়ে পড়ল। যখন উভয় দল সামনা-সামনি হল, তখন নবী করীম (সাঃ) যোদ্ধাদের কাতার ঠিক করার জন্য স্বয়ং উপস্থিত হলেন। সুতরাং আল্লাহর এ বাহিনী শক্তিশালী দেয়ালের ন্যায় দণ্ডায়মান হলো।
মুসলমানদের অঙ্গীকার পূরণ করা অত্যাবশ্যক
ঐ সময় তিনশত অস্ত্রশস্ত্রহীন লোকের মুকাবিলা বা প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছিল সমরোপকরণ ও অস্ত্রশস্ত্রে পরিপূর্ণভাবে সজ্জিত এক হাজার যুবকের সাথে। যদি এক ব্যক্তিও ঐ সময় তাদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসে, তাহলে তাকে কিরূপ সৌভাগ্য মনে করা হবে। কিন্তু ইসলামে অঙ্গীকার পূরণ ঐ সমস্ত ব্যাপারের উর্ধ্বে। ভীষণ যুদ্ধ চলাকালীন অবস্থায় হযরত হুযায়ফা ও আবু হাসান (রাঃ) নামক দু'জন সাহাবী জিহাদে অংশগ্রহণের জন্য পৌঁছেন। তাঁরা যুদ্ধক্ষেত্রে এসে পথের বর্ণনা প্রদান করে বলেন যে, পথে আমাদেরকে কাফিরগণ বাধা প্রদান করে বলে যে, তোমরা কি মুহাম্মদ (সাঃ)-এর সাহায্যে যাচ্ছ? আমরা তা অস্বীকার করি এবং যুদ্ধে অংশগ্রহণ না করার অঙ্গীকার করি। যখন হযরত ঐ অঙ্গীকারের কথা জানতে পারলেন তখন উভয়কেই জিহাদে অংশ গ্রহণ করা থেকে বিরত রাখলেন এবং বললেন, আমরা সর্বদা অঙ্গীকার পূরণ করব। আল্লাহ্ তা'আলার সাহায্যই আমাদের জন্য যথেষ্ট।
সৈন্যদের কাতার ঠিক হয়ে গেল। এরপর প্রথমে কুরায়শদের তিনজন বীর এগিয়ে আসল। মুসলমানদের মধ্য থেকে হযরত আলী (রাঃ), হযরত হামযা বিন আবদুল মুত্তালিব এবং হযরত উবায়দা বিন হারিস (রাঃ) তাদের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেন, তিনজন কাফির নিহত হল। মুসলমানদের মধ্যে উবায়দা (রাঃ) আহত হলেন। হযরত আলী (রাঃ) তাঁকে কাঁধে উঠিয়ে হুযূর (সাঃ)-এর নিকট পৌঁছিয়ে দিলেন। হযরত (সাঃ) স্বীয় পবিত্র উরুর উপর ঠেস দিয়ে তাঁকে শোয়ালেন এবং নিজ হাতে তাঁর শুশ্রূষা করলেন।
হযরত উবায়দা (রাঃ) বহু কষ্টে শ্বাস নিয়ে হযরত (সাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলেন, আমি শাহাদাত থেকে বঞ্চিত হলাম? হযরত (সাঃ) বললেন না, বরং তুমি শহীদ এবং আমি তার সাক্ষী।
যখন হযরত উবায়দা (রাঃ) ইনতিকাল করলেন, তখন স্বয়ং হুযুর (সাঃ) তাঁর কবরে নামেন এবং পবিত্র হাতে তাঁর দাফন সম্পন্ন করেন। এ বিশেষ মর্যাদা সমস্ত সাহাবা কিরামদের মাঝে শুধু হযরত উবায়দা (রাঃ)-ই লাভ করেছিলেন।
সাহাবীগণের আত্মত্যাগ
যে সময় উভয় দলের সৈন্য মুখোমুখি হয়, তখন দেখা যায় যে, অনেকেই তার স্নেহভাজন বা প্রাণপ্রিয় আত্মীয়স্বজনের তলোয়ারের নীচে। যখন হযরত সিদ্দীকে আকবর (রাঃ)-এর ছেলে (যিনি তখনও কাফির ছিলেন) ময়দানে আসে, তখন স্বয়ং সিদ্দীকে আকবর (রাঃ)-এর তলোয়ার তার দিকে উত্থিত হয়। উতবা সামনে অগ্রসর হলে তাঁর ছেলে হযরত হুযায়ফা (রাঃ)-কে তলোয়ার নিয়ে হামলা করে। হযরত উমর (রাঃ)-এর মামা ময়দানে আসলে ফারুকী তলোয়ার তার মীমাংসা করে তাকে হত্যা করে।
এরপর ভীষণ যুদ্ধ শুরু হয়। একদিকে যুদ্ধের ভয়াবহ অবস্থা অন্যদিকে সাইয়্যেদুর রসূল সিজদায় পড়ে আল্লাহর দরবারে সাহায্যের প্রার্থনা করছেন। অবশেষে গায়েবী সুসংবাদে হযরত (সাঃ) শান্ত হন।
আবু জাহেলকে হত্যা
আবু জাহেলের বর্বরতা ও ইসলামের সাথে শত্রুতা সবার নিকটই কুখ্যাত ছিল, তাই আনসারদের মধ্য থেকে হযরত মুআওয়েজ ও হযরত মু'আজ (রাঃ) এ দু'ভাই শপথ করলেন যে তারা যখন আবু জাহলকে দেখবে তখন হয় তাকে হত্যা করবেন, নয়তো নিজেরাই নিহত হবেন। এ সময় তাঁরা দু'ভাই নিজেদের অঙ্গীকার পূর্ণ করার জন্য অগ্রসর হন, কিন্তু তাঁরা আবু জাহলের পরিচয় জানতেন না। তাই আবদুর রহমান বিন আওফ (রাঃ)-এর নিকট তাঁরা জিজ্ঞেস করেন যে, আবু জাহল কে? তিনি ইঙ্গিতে জানিয়ে উভয়ে লেন। বলা মাত্র উভ দিলেন নিহত হলো। আবু জাহলের বাজপাখীর মত তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়লেন। আবু জাহল তৎক্ষণাৎ নিহত পুত্র আকরামা (যিনি পরে মুসলমান হয়েছিলেন) পেছন থেকে মাআজের উপর তলোয়ারের আঘাত করেন, ফলে তাঁর হাতের এক দিকের ঝুঁটি কেটে যায়, কিন্তু একটি চামড়া সংলগ্ন থাকে। হযরত মা'আজ (রাঃ) আকরামার পশ্চাদ্ধাবন করলেন। আকরামা পলায়ন করলেন। অতঃপর মা'আজ (রাঃ) ঐ অবস্থায় জিহাদে ব্যস্ত হয়ে যান, কিন্তু হাত ঝুলে থাকায় অসুবিধা হচ্ছে বলে হাত পায়ের নীচে রেখে ঐ চামড়াটুকু আলাদা। ফেলেন। এরপর পুনরায় জিহাদে লিপ্ত হয়ে যান। সুবহানাল্লাহ্।
আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেন, বদর যুদ্ধের দিন (আহত) আবু জাহল যখন মৃত্যুর করলে (অর্থাৎ আমাকে), তার চেয়ে অধিকতর নির্ভরযোগ্য (উত্তম) মুখোমুখি, সে সময় তিনি তার কাছে গেলেন। তখন আবু জাহল তাঁকে বলল, আজ যে লোকটিকে তোমরা। হত্যা আর কোন লোক আছে কি?
আনাস (রাঃ) বলেন, (বদরের দিন যুদ্ধ শেষে) নবী করীম (সঃ) বললেন, এমন কে আছ, দু'পু যে আবু জাহল এখন কি করছে তার খোজ ইবনে মাসউদ (রাঃ) চলে গেলেন। তিনি দেখতে মুআওয়েয কাতরাচ্ছে। আবু জাহল? আসতে পেলেন, পার। এ কথা শুনে আবদুল্লাহ আফরার সে মাটিতে ছে যে, সে আবু জাহলকে এমনভাবে জখম করেছে তখন আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) তার। ার দাড়ি দু'পুত্র মা'আয ও পড়ে মৃত্যু যন্ত্রণায় চেপে ধরে বললেন: তুমিই কি আবু জাহাল ?
বর্ণনাকারী সোলায়মান বলেন বদুল্লাহ ইবনে মাসউদ যখন তার দাড়ি চেপে ধরেন), তখন আবু জাহল বলল, সে ব্যক্তির চেয়ে আর বড় কেউ আছে কি যাকে তোমরা হত্যা করলে? অথবা বলল (বর্ণনাকারীর সে সন্দেহ), যাকে কে তার গোত্রের লোকেরা হত্যা করল, তার চেয়ে বড় আর কেউ আছে কি?
হযরত ওরওয়া (রাঃ) বলেন, ইয়ারমুক যুদ্ধে রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর সাহাবীগণ হযরত যোবায়র (রাঃ)-কে বললেন, হে যোবায়র, তুমি কাফেরদের উপর আক্রমণ রচনা কর। আমরাও তোমার সাথে একযোগে আক্রমণ করব। তখন যোবায়র (রাঃ) বললেন, আমার সন্দেহ হচ্ছে, আমি যদি আক্রমণ রচনা করি, হতে পারে তোমরা আমার সাথে থাকবে না। তাঁরা বললেন, আমরা নিশ্চয়ই তোমার সাথে থেকে তাদের উপর হামলা করব। এর পর হযরত যোবায়র (রাঃ) শত্রু সৈন্যদের উপর আক্রমণ করেন এবং তাদের ব্যূহ ভেদ করে অগ্রসর হয়ে গেলেন, কিন্তু তাঁর পাশে তখন কেউ ছিল না। তিনি ফিরে আসতে উদ্যত হলে শত্রুরা তাঁর ঘোড়ার লাগাম ধরে ফেলে এবং তাঁর কাঁধের উপর যেখানে বদর যুদ্ধের আঘাতের চিহ্ন ছিল, তার দু'পার্শ্বে দু'টি আঘাত করে। ওরওয়া (রাঃ) বর্ণনা করেন, আমি যখন ছোট ছিলাম, তখন সে আঘাত থেকে সৃষ্ট গর্তের মধ্যে আমার সবগুলো আঙ্গুল ঢুকিয়ে দিয়ে খেলা করতাম।
ওরওয়া (রাঃ) আরো বর্ণনা করেন, ইয়ারমুকের এ যুদ্ধে তাঁর সাথে তাঁর ছেলে আবদুল্লাহ ইবনে যোবায়র (রাঃ)-ও ছিলেন। তখন তিনি ছিলেন দশ বছরের বালক। হযরত যোবায়র (রাঃ) তাঁকে ঘোড়ায় উঠিয়ে নেন এবং এক ব্যক্তির উপর তাঁর তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব দেন।
আবু তালহা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, বদর যুদ্ধের দিন নবী করীম করীম (সঃ)-এর আদেশে চব্বিশ জন কোরায়শ নেতার লাশ বদর প্রান্তরের একটি নোংরা আবর্জনাপূর্ণ কংকরময় কূপে নিক্ষেপ করা হয়। নবী করীম (সঃ)-এর নিয়ম ছিল, কোন গোত্র কওমের বিরুদ্ধে বিজয় লাভ করলে সেখানে খোলা মাঠে তিন দিন তিন রাত অবস্থান করতেন। বদর প্রান্তরেও এরূপ অবস্থানের পর তৃতীয় দিন যাত্রার জন্য প্রস্তুতির নির্দেশ দেন। সওয়ারীসমূহের জিন কষে বাঁধা হল। তখন নবী করীম (সঃ) পায়ে হেঁটে কিছুদূর এগিয়ে গেলেন। সাহাবীগণও পেছনে পেছনে যান। তাঁরা মনে করেছিলেন, তিনি কোন প্রয়োজনে। কোথাও যাচ্ছেন। শেষ পর্যন্ত উক্ত কূপের পার্শ্বে গিয়ে দাঁড়ান এবং কূপে নিক্ষিপ্ত মরদেহ ও তাদের পিতার নাম ধরে ডাকতে শুরু করেন। বা
হে অমুকের পুত্র অমুক। হে অমুকের পুত্র অমুক! তোমরা কি এখন বুঝতে পারছ, মহান আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সঃ) এর আনুগত্য করলে খুশি হতে পারতে? মহান আল্লাহ আমাদের সাথে যে অঙ্গীকার করেছিলেন আমরা তা পুরোপুরিই সঠিক পেয়েছি। বল, তোমরা কি তোমাদের সাথে কৃত তোমাদের প্রভুর ওয়াদা সঠিক পেয়েছ?
আবু তালহা (রাঃ) বর্ণনা করেন, এ সময় হযরত ওমর (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল(সঃ) আপনি নিষ্প্রাণ দেহসমূহের সাথে কথা বলছেন। এতদ্ভবণে নবী করীম (সঃ) বললেন, সে মহান সত্তার শপথ যাঁর হাতে মুহাম্মদের প্রাণ, আমি যা বলছি তা তোমরা তাদের চেয়ে বেশি শুনতে পাচ্ছ না।
হযরত কাতাদা বলেন, মহান আল্লাহ তাঁর নবীর কথা শুনাবার জন্য কাফেরদেরকে তখন জীবিত করে দিয়েছিলেন। তারা যেন ধমক, লাঞ্ছনা, অপমান, দুঃখ কষ্ট ও লজ্জা অনুভব করে।
হেশাম তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন (আবদুল্লাহ ইবনে ওমর নবী করীম (সঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন), হযরত ওরওয়া (রাঃ) বলেন, মৃত ব্যক্তিকে তার প্রিয়জনদের কান্নাকাটি করার কারণে কবরে আযাব দেয়া হয়।
নবী করীম করীম (সঃ)-এর এ কথা হযরত আয়েশার কাছে উল্লেখ করা হলে তিনি বলেন, নবী করীম (সঃ) বলেছেন, মৃত ব্যক্তির অপরাধের কারণে তাকে কবরে আযাব দেয়া শুরু হয়। অথচ তার প্রিয়জন তখনো কাঁদছে।
হযরত আয়েশা (রাঃ) আরো বলেন, এ কথাও সে কথার অনুরূপ যা রাসূলুল্লাহ (সঃ) বদরে নিহত মুশরিকদের লাশ যে কূপে নিক্ষেপ করা হয়েছিল, সে কূপের ধারে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন। তিনি তাদেরকে লক্ষ্য করে যা বলার বলেন এবং জানালেন, আমি যা বলছি তারা তা সবই শুনতে পাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, তারা এখন বুঝতে পারছে, আমি তাদেরকে যা বলেছিলাম ছিল ন্যায়সঙ্গত।
0 Comments