(১৭) মুসলমানের গোপনীয় বিষয়সমূহ গোপন রাখবে। হুযুরে পাক (দঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি মুসলমানের দোষ গোপন করে রাখে, আল্লাহতায়ালা ইহ পরকালে তার দোষ গোপন করে রাখবেন। তিনি আরও বলেছেন, ফোন লোক দুনিয়ায় অন্য লোকের দোষ ত্রুটি গোপন রাখলে আল্লাহতায়ালা রোজ কিয়ামতে তার সমস্ত পাপ গোপন রাখবেন। তিনি আরও বলেছেন, কোন মু'মিন তার মুসলমান জাতার কোন দোষ দেখে তা' গোপন করলে সে বেহেশতে যাবে। যখন মুওয়ায়েজ হযরত রাসূলে করীম (দঃ) এর নিকট নিজ ব্যভিচারের কথা বর্ণনা করলেন, তখন তিনি বললেন, এ ব্যাপার যদি তুমি তোমার বস্ত্রাভ্যন্তরে ঢেকে রাখতে তাহলে উত্তম হত। এর দ্বারা বুঝা যাচ্ছে মুসলমানের নিজের দোষত্রুটিও গোপন রাখা উচিত। কেননা কেউ মুসলমান হলে তার হক তোমার প্রতি যেরূপ ওয়াজিব তোমার হকও তার প্রতি তদ্রূপ ওয়াজিব। হযরত আবুবকর ছিদ্দীক (রাঃ) বলেছেন, যদি আমি কোন শরাবখোরকে দেখি, তবে আমি মনে মনে এই আশা পোষণ করি যে, আল্লাহতায়ালা তার এই পাপ গোপন রাখুন।
খলীফা ওমর (রাঃ) একরাত্রে ছদ্মবেশে নগর পরিভ্রমণে বের হয়ে একটি নর এবং একটি নারীকে অশ্লীল কাজে রত দেখতে পেলেন। পরদিন প্রত্যুষে তিনি লোকদের নিকট বললেন, যদি কোন আমীর স্বয়ং জনৈক পুরুষ ও জনৈক রমণীকে ব্যভিচারে লিপ্ত দেখতে পায় এবং সে যদি তাদেরকে কুরআন অনুযায়ী শাস্তি দেয়, তাতে তোমাদের মত কি? তারা বলল, এ ব্যাপারে আমীরের অধিকার রয়েছে। সুতরাং সে তাদেরকে শাস্তি দিতে পারে। কিন্তু হযরত আলী (রাঃ) বললেন, না, তাদেরকে শাস্তি দেয়া না-জায়েয হবে। এ ব্যাপারে আপনি নিজেই যদি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি হন তাহলে এক্ষেত্রে আপনাকে অপরাধের জন্য শাস্তিভোগ করতে হবে। কেননা এ বিষয়ে আল্লাহ কর্তৃক নির্দিষ্ট চারজন সাক্ষী না হলে সংশ্লিষ্ট লোকদেরকে শাস্তি দেয়া যায় না। হযরত ওমর (রাঃ) লোকদের থেকে এরূপ পরস্পর বিরোধী কথা শুনে কিছুদিন এ ব্যাপারে নিষ্ক্রিয় থাকলেন। তারপর আবার একদিন লোকদেরকে ঐরূপ প্রশ্ন করলেন। সব লোক এবারও পূর্বের ন্যায় সেই একই মন্তব্য করল। কিন্তু হযরত আলী (রাঃ) তাদের মতের বিপক্ষে এবারও পূর্বের মত সেই একই কথা বললেন যে, চারজন সাক্ষী ব্যতীত শাস্তি দেয়ার অধিকার শরীয়ত আপনাকে দেয় নি। খলীফা ওমর (রাঃ) ব্যাপারটি নিয়ে বহু চিন্তা-ভাবনা করলেন। শেষপর্যন্ত তিনি হযরত আলী (রাঃ) এর মতকেই সমর্থন করলেন। তিনি এক্ষেত্রে ব্যভিচারলিপ্ত লোক দুটিকে শাস্তি প্রদান করা শরীয়তের বিধানের বিপরীত হবে বলেই সাব্যস্ত করলেন।
উপরোক্ত ঘটনাটি একথাই প্রমাণ করে যে, ইসলামী শরীয়ত মানুষের দোষ-ত্রুটি যথাসাধ্য ঢেকে রাখ্যকেই সমর্থন করে। সমস্ত দোষ থেকে অশ্লীল ও জঘণ্য দোষ ব্যাভিচার! কিন্তু তা' প্রমাণিত হবার জন্য ইসলামী শরীয়ত চারজন প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীর শর্ত আরোপ করেছে।
সাক্ষীদের এভাবে বলতে হবে যে, আমি অমুকের ওয়াদ অনুকের ওয়াদে প্রবেশ করার দেখেছি। যেজপ সুরমাদানীর মধ্যে সুষমাকাটি প্রদেশ করে। সাধারণত। এন্ডপ ঘটনা সাক্ষীরের দ্বারা প্রত্যক্ষ করা সচরাচর সম্ভব হয় না এবং বিচারক একাকী নিজেও এ ঘটনা দেখলে কিন্তু সঙ্গে অন্য কোন সাক্ষী না থাকলে তার তা' প্রকাশ করা উচিত নয় এবং বাজিচারীরহকে শাস্তির হুকুম দেয়াও তার পক্ষে সিদ্ধ নয়। এখন এই অগ্নীপ প্যাপারটিতে শরীয়তের হেকমতের দিকে লক্ষ্য কর এবং বিবাহিত লোকের ব্যভিচারের কঠোরতম শান্তি প্রস্তরাঘাতে মৃত্যুর বিষয়ও চিন্তা কর। তারপর ভেবে দেখ, আল্লাহতায়ালা গুনাহগারকে কিভাবে গোপন রেখে তাদেরকে রক্ষা করতেছেন এবং কিভাবে তিনি ব্যভিচারের শাস্তিকে সংকীর্ণ সীমার মধ্যে এনে ফেলেছেন। এদিকে লক্ষ্য করেই আমরা এ আশা পোষন করতেছি যে, রোজ কিয়ামতেও আল্লাহতায়ালা যেন আমাদেরকে এভাবেই তার করুণা থেকে বঞ্চিত না করেন।
হযরত রাসূলে করীম (দঃ) বলেছেন, আল্লাহতায়ালা যেমন দুনিয়ায় তাঁর বান্দার দোষ ঢেকে রাখেন, আখেরাতে তদাপেক্ষাও বান্দার দোষ বেশী করে গোপন রাখবেন। যদি তিনি দুনিয়ায় বান্দার দোষ একবার প্রকাশ করেন, আখেরাতে তা' পুনর্বার প্রকাশ করতে লজ্জাবোধ করবেন। হযরত আবদুর রহমান ইবনে আওফ (রাঃ) থেকে বর্ণিত রয়েছে, আমরা একদা অন্ধকার রাত্রে হযরত ওমর (রাঃ) এর সাথে গোপনে নগর পরিভ্রমণে বের হয়ে পড়লাম। আমরা নগরীর সব এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম আর সবদিকে লক্ষ্য করতেছিলাম। সহসা আমরা একটি প্রদীপের আলো লক্ষ্য করে সেদিকে রওয়ানা হলাম। যে গৃহ থেকে আলো দেখা যাচ্ছিল, নিকটবর্তী হয়ে দেখা গেল, গৃহের দরজা বন্ধ। কিন্তু তার ভিতর থেকে মানুষের আওয়াজ পাওয়া গেল। হযরত ওমর (রাঃ) আমার হস্তধারণ করে জিজ্ঞেস করলেন, এই গৃহ কার তুমি বলতে পার? আমি বললাম, না, তখন তিনি বললেন, এ গৃহ রাবিয়া বিন উমাইয়ার। আমার মনে হয়, তারা এখন গৃহের মধ্যে মদপানে রত। তোমার কি মনে হয়? আমি বললাম, আমরা আল্লাহর নিষিদ্ধ কাজের মধ্যে এসে পড়েছি। আল্লাহ বলেছেন, তোমরা গোয়েন্দাগিরিতে লিপ্ত হয়ো না। আমার এ কথা শুনে হযরত ওমর (রাঃ) তখনই আমাকে নিয়ে সেস্থান থেকে প্রস্থান করলেন। এর দ্বারা মানুষের পাপ গোপন করা ও পাপের অনুসরণ না করা ওয়াজিব বলে অনুমান করা যায়। হুযুরে পাক (দঃ) একদা মুয়াবিয়াকে বলেছিলেন, যদি তুমি মানুষের গোপনীয় বিষয়ের অনুসন্ধান কর তবে তুমি তাদেরকে নষ্ট করবে অথবা নষ্ট করার উপক্রম করবে। তিনি আরও বলেছেন, হে লোকগণ। যারা মুখে ঈমান এনেছে কিন্তু অন্তরে ইসলামের জ্যোতি প্রবেশ করে নি, তাদেরকে নিন্দা করো না। তাদের গোপনীয় বিষয়ের অনুসন্ধান করতেও যেও না। কেননা যে ব্যক্তি মুসলমান ভ্রাতার গোপনীয় বিষয়ের অনুসরণ করে, আল্লাহতায়ালা তার গোপনীয় বিষয়ের অনুসরণ করবেন এবং তাকে অপমানিত করবেন।
হযরত আবুককর (রাঃ) বলেছেন, যদি কখনও আমি কাউকে কোন নির্দিষ্ট দোষ বা অন্যায় কাজ করতে দেখি, আমি তাকে পাকড়াও করব না এবং অন্য কাউকেও আমি তাকে পাকড়াও করতে নির্দেশ দেব না, যে পর্যন্ত অন্য লোক আমার সঙ্গে থাকে। জনৈক বিজ্ঞ ব্যক্তি বলেছেন,
একদা আমি হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) এর নিকট উপবিষ্ট ছিলাম। এ সময় একটি লোক অন্য একটি লোককে ধরে নিয়ে এসে বলল, এই ব্যক্তি শরাবখোর। তখন হযরত আবুহুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) উপস্থিত লোকদেরকে বললেন, লোকটির মুখ থেকে ঘ্রাণ নিয়ে পরীক্ষা কর। লোকগণ পরীক্ষা করে দেখল, সত্যি সে মদ পান করেছে। তখন হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) লোকটিকে আটক করলেন, কিছুক্ষণের মধ্যেই লোকটির শরাবের মেশা ছুটে গেল। তখন তার নির্দেশে চাবুক আনা হল। অতঃপর জল্লাদকে হুকুম দেয়া হল, একে চাবুক মার। জল্লাদ তার দায়িত্ব পালন করবার পর হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) মদখোর লোকটিকে যে ব্যক্তি ধরে নিয়ে এসেছিল তাকে জিজ্ঞেস করলেন, এই ব্যক্তি তোমার কোন আত্মীয় হয়? সে বলল, হাঁ, সে আমার ভ্রাতুষ্পুত্র। তখন হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) বললেন, একে ইলম ও আদব শিক্ষা দাও নি। আর দোষও গোপন করে রাখ নি। যখন ইমামের নিকট কারও নির্দিষ্ট দোষের কথা প্রকাশ করা হয়, তখন তার প্রতি শাস্তি প্রদান করা প্রয়োজন হয়ে পড়ে। তবে আল্লাহতায়ালা ক্ষমাশীল, তিনি ক্ষমা ভালবাসেন। অতঃপর তিনি এ আয়াতটি পাঠ করলেন। "তোমরা মাফ কর এবং ক্ষমা কর"। তরপর তিনি উল্লেখ করলেন, হুযুরে পাক (দঃ) প্রথম যে চোরের হস্ত কর্তন করতে আদেশ দিয়েছিলেন, সে ঘটনাটি শোন। তাঁর নিকট চোরটিকে আনা হলে, তিনি তার হস্ত কর্তনের আদেশ দিলেন।। যখন তার হস্ত কর্তন করা হল, তখন হুযুরে পাক (দঃ) এর পবিত্র মুখমন্ডলের জ্যোতি পরিবর্তিত হয়ে গেল। ছাহাবীগণ তা' দেখে আরজ করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি কি লোকটির হস্ত কর্তনে অসন্তুষ্ট হয়েছেন? তিনি বললেন, কেন হব না? তোমরা তোমাদের ভাতার বিরুদ্ধে শয়তানের সাহায্যকারী হয়ো না। ছাহাবীগণ আরজ করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তবে তাকে কেন ক্ষমা করে দিলেন না? তিনি বললেন, যখন শাসনকর্তার নিকট কোন নির্দিষ্ট দোষে দোষী ব্যক্তিকে উপস্থিত করা হয় তখন তার প্রতি শাস্তি প্রয়োগ করা শাসনকর্তার উপর ওয়াজিব হয়ে যায়। তবে আল্লাহতায়ালা ক্ষমাশীল। তিনি ক্ষমাকে ভালবাসেন। তারপর তিনি অত্র আয়াত পাঠ করলেন, "তারা যেন ক্ষমা এবং মার্জনা করে, তোমরা কি ভালবাসনা যে, আল্লাহতায়ালা ক্ষমা করুন? নিশ্চয়ই আল্লাহতায়লা ক্ষমাশীল ও করুণাময়।"
অন্য বর্ণনায় আছে, হুযুরে পাক (দঃ) এর পবিত্র মুখমন্ডলের জ্যোতি পরিবর্তিত হয়ে তা' বিবর্ণ হয়ে গিয়েছিল।
বর্ণিত আছে, একবার হযরত ওমর (রাঃ) রাত্রি বেলা ছদ্মবেশে মদীনায় পরিভ্রমণকালে একটি গৃহে গানবাজনার আওয়াজ শুনতে পেলেন। তখন তিনি উক্ত গৃহের নিকটবর্তী হয়ে, তার পিছন থেকে দেয়াল টপকিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে দেখলেন, একটি লোকের সম্মুখে একটি রমণী ও একপাত্র মদ। তিনি তখন লোকটিকে বললেন, হে আল্লাহর দুশমন। তুমি কি ভেবেছ, আল্লাহতায়ালা তোমার এই গুনাহ গোপন রাখবেন? লোকটি বলল, আমীরুল মুমিনীন! আপনি স্বয়ং এসে পড়েছেন। তবে অনুরোধ জানাচ্ছি, বিচারে দ্রুততা অবলম্বন করবেন না। আমি কেবল আজই একবার এই গুনাহে লিপ্ত হয়েছি। কিন্তু আপনি এই মুহূর্তে তিনটি গুনায় লিপ্ত হলেন। কেননা আল্লাহতায়ালা বলেছেন, "লা তাজাসসাস' অর্থাৎ অন্যের দোষ অনুসন্ধান কারো না। আপনি অন্যের দোষ অনুসন্ধান করে গুনায় লিপ্ত হলেন। আল্লাহতায়ালা বলেছেন, কোন গৃহের পিছন থেকে ভিতরে প্রবেশ করা ধর্মীয় নীতি নয়। যেমন কুরআনে পাকে এরশাদ হয়েছে, "ওয়া লাইসালধিরক্ত বিআন তা'তুল বুইযুতা মিন জুহূরিহাল" ক্রোইউতা মিন রুহুরীহা" অথচ আপনি (পিছন থেকে) গৃহের দেয়াল টপকে ভিতরে ঢুকেছেন। আল্লাহতায়ালা বলেছেন "লা তাদখুলু বুইয়ু তান গাইয়া দুইহূতিকূম হাতা তাসতানিস্ অতুসাল্লিম্ আলা আহলিহ্য" অর্থাৎ নিজ গৃহ ভিন্ন অন্য কারও গৃহে প্রবেশ করো না, যতক্ষণ পর্যন্ত না- গৃহস্বামীর অনুমতি পাও এবং গৃহের অধিবাসীদের সালাম কর। অথচ আপনি আমার অনুমতি ব্যতীত ও গৃহবাসীদেরকে সালাম করা ব্যতীত আমার গৃহে প্রবেশ করেছেন। হযরত ওমর (রাঃ) বললেন, আচ্ছা আমি যদি আজ তোমাকে ক্ষমা করে দেই তাতে তোমার কি মঙ্গল হবে? লোকটি বলল, আল্লাহর কসম, হে আমীরুল মুমিনীন নিশ্চয়ই মঙ্গল হবে। যদি আজ আপনি আমাকে ক্ষমা করে দেন, আমি জীবনে আর কখনও এ কাজ করব না। তখন হযরত ওমর (রাঃ) তাকে ক্ষমা করে দিয়ে তথা হতে প্রস্থান করলেন।
ঐ ব্যক্তি হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রাঃ)কে বলল, হে আবু আবদুর রহমান। গুপ্ত কথা সম্বন্ধে রোজ কিয়ামতে কি হবে সে বিষয় কিছু আপনি হুযুরে পাক (দঃ) থেকে শুনেছেন কি? তিনি বললেন, আমি তাঁকে বলতে শুনেছি যে, আল্লাহতায়ালা মুমিন ব্যক্তিকে নিজের কাছে ডেকে এনে তার উপর নিজের করুণার ছায়া স্থাপন করে তাকে লোকজনের নিকট থেকে গোপন রাখবেন। তিনি তাকে জিজ্ঞেস করবেন, তুমি এ গুনাহটিকে চিনতে পেরেছ? সে বলবে হাঁ প্রভু। চিনতে পেরেছি। যখন আল্লাহতায়ালা গুনাহটির কথা বার বার উল্লেখ করবেন, তখন লোকটি মনে মনে ভাববে তার ধ্বংস সুনিশ্চিত। তখন আল্লাহতায়ালা তাকে বলবেন, হে বান্দা। আমি দুনিয়ায় তোমার এ গুনাহকে গোপন রেখেছি। কেননা আমার ইচ্ছে ছিল যে, আজ আমি তোমাকে ক্ষমা করে দেব। তারপর তার নেক কাজের আমলনামা তার হাতে দেয়া হবে। কাফির ও মুনাফিকদের সম্বন্ধে সাক্ষী তখন বলবে, এসব লোকেরা তাদের প্রভুকে মিথ্যা জেনেছে। সতর্ক হও, নিশ্চয়ই অত্যাচারীদের প্রতি আল্লাহর অভিসম্পাত।
হযুরে পাক (দঃ) বললেন, মুজাহির ব্যতীত আমার প্রত্যেক উম্মতকে ক্ষমা করা হবে। মুজাহির ঐ ব্যক্তি যে গোপনে গুনাহ করে এবং তারপর তা' প্রকাশ করে দেয়। হুযুরে পাক (দঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি কোন লোকের গুপ্ত সংবাদ গোপনে শ্রবণ করে অথবা এরূপ শ্রবণ করা পছন্দ করে। রোজ কিয়ামতে সিসা গুলিয়ে তার দুকর্ণে ঢেলে দেয়া হবে।
0 Comments