১ হিজরী: প্রিয়নবী (সাঃ) ২টি সারিয়া প্রেরণ করেন। (১) সারিয়ায়ে হামযা (রাঃ) এবং (২) সারিয়ায়ে উবায়দা (রাঃ)।
২ হিজরী: ৫টি গাযওয়া সংঘটিত হয়ঃ (১) গাযওয়ায়ে আবওয়াহ; যেটাকে গাযওয়ায়ে বেদানও বলা হয় (২) গাযওয়ায়ে বদরে কুবরা, (৪) গাযওয়ায়ে বনী কায়নুকা, (৫) গাযওয়ায়ে সাবীক। এ ছাড়া ৩টি সারিয়া প্রেরণ করেন: (১) সারিয়ায়ে আবদুল্লাহ বিন জাহাশ (রাঃ), (২) সারিয়ায়ে উমায়র (রাঃ) (৩) সারিয়ায়ে সালেম (রাঃ)। এ বৎসরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গাযওয়া হলো গাযওয়ায়ে বদর।
৩ হিজরী : ৩টি গাযওয়া সংঘটিত হয়ঃ (১) গাযওয়ায়ে গাতফান (২) গাযওয়ায়ে ওহুদ, (৩) গাযওয়ায়ে হামরাউল আসাদ এবং ২টি সারিয়া প্রেরণ করেনঃ (১) সারিয়ায়ে মুহাম্মদ বিন মুসলিমা (রাঃ), (২) সারিয়ায়ে যায়েদ বিন হারিসা (রাঃ)। এ বৎসরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গাযওয়া হলো গাযওয়ায়ে ওহুদ।
৪ হিজরী : ২টি গাযওয়া সংঘটিত হয়ঃ (১) গাযওয়ায়ে বনু নাজীর, (২) গাযওয়ায়ে বদরে সুগরা এবং ৪টি সারিয়া প্রেরিত হয়ঃ (১) সারিয়ায়ে আবু সালমা (রাঃ), (৩) সারিয়ায়ে রাঃ), (৪) সারিয়ায়ে মুরহিদ (রাঃ)।
৫ হিজরী : ৪টি গাযওয়া সংঘটিত হয়। এগুলোতে হুযুর (সাঃ) স্বয়ং অংশ গ্রহণ করেছিলেনঃ (১) গাযওয়ায়ে জাতুর রেকা, (২) গাযওয়ায়ে দাওমাতুল জন্দল, (৩) গাযওয়ায়ে মরীসীয়াহ্ এটাকে (গাযওয়ায়ে বনী মুসতালাকও বলা হয়), (৪) গাযওয়ায়ে খন্দক। এগুলোর মধ্যে গাযওয়ায়ে খন্দক সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রসিদ্ধ।
৬ হিজরীঃ ৩টি গাযওয়া সংঘটিত হয়ঃ (১) গাযওয়ায়ে বনী লিহইয়ান (২) গাযওয়ায়ে গাবা (এটাকে জি-কারদ বলা হয়), (৩) গাযওয়ায়ে হুদায়বিয়া এবং ১১টি সারিয়া প্রেরণ করা হয়ঃ সারিয়ায়ে মুহাম্মদ বিন মুসলিমা (রাঃ), কারতা অভিমুখে (২) সারিয়ায়ে আকাশা, (৩) সারিয়ায়ে মুহাম্মদ বিন মুসলিমা, জিল কিসসা অভিমুখে (৪) সারিয়ায়ে যায়েদ বিন হারিসা (রাঃ), বনী সোলাইমা অভি মুখে, (৫) সারিয়ায়ে আবদুর রহমান বিন আউফ (রাঃ) (৬) সারিয়ায়ে আলী (রাঃ), (৭) সারিয়ায়ে যায়েদ বিন হারিসা, উম্মে কারফা অভিমুখে, (৮) সারিয়ায়ে আবদুল্লাহ বিন আতীক (রাঃ) (৯) সারিয়ায়ে আবদুল্লাহ বিন রাওয়াহা (রাঃ) (১০) সারিয়ায়ে কুরজ বিন জাবর (রাঃ), (১১) সারিয়ায়ে আমরুদ দমরী। এ বৎসরের গাযওয়াসমূহের মধ্যে সবচেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ হুদায়বিয়ার ঘটনা।
0 Comments