স্বামীর উপর স্ত্রীর প্রচুর অধিকার রয়েছে। স্বামী স্ত্রীর সাথে সদা সদয় ও ন্যায়সঙ্গত আচরণ করবে। স্ত্রীর কোন আচরণ অপছন্দ হলে সবর করবে; কারণ বুদ্ধির দিক থেকে তারা অপূর্ণাঙ্গ। আল্লাহ্ তা'আলা এরশাদ করেন-
وعاشروهن بِالْمَعْرُوفِ .
-'আর তাদের সাথে সম্ভাবে জীবন যাপন কর।' -সূরা নেসা : ১৯
আল্লাহ্ তা'আলা স্ত্রীদের সাথে সদ্ব্যবহার ও তাদের অধিকার আদায়ের প্রতি গুরুত্বারোপ করে এরশাদ করেন-
وَأَخَذْنَ مِنْكُمْ مِيثَاقًا غَلِيظًا -
-'আর এ নারীরা তোমাদের থেকে এক দৃঢ় অঙ্গীকার নিয়ে রেখেছে।' -সূরা নেসা: ২১
আরও এরশাদ করেছেন-
وَالصَّاحِبِ بِالْجَنْبِ .
-'(তোমরা সদ্ব্যবহার কর) পার্শ্ব পা সহচরের সাথেও।' -সূরা নেসাঃ ৩৬
এর তাফসীরে 'সহচর' দ্বারা স্ত্রীদের বুঝানো হয়েছে।
নবী করীম (ছঃ) জীবনের অন্তিম সময়ে যখন তাঁর জবান মোবারক আড়ষ্ট ও আওয়াজ ক্ষীণ হয়ে আসছিল, তখন অসিয়ত করেছিলেন-
الصلوة الصلوةَ وَمَا مَلَكَتْ أَيْمَانَكُمْ لَا تُخْلِفُوهُمْ مَا لا يُطِيقُونَ الله الله فِي النِسَاءِ فَإِنَّهُنَّ عَوَانٌ فِي أَيْدِيكُمْ -
- নামায, নামায। কখনও তোমাদের অধীনস্থ দাস-দাসীদের উপর তাদের শক্তি-সামর্থ্যের অতিরিক্ত বোঝা চাপিয়ে দিও না। স্ত্রীদের সাথে সদ্ব্যবহার ও তাদের অধিকার আদায়ের বিষয়ে আল্লাহকে ভয় কর; তারা বস্তুতঃ তোমাদের হাতে বন্দী। তারা তোমাদের হাতে বন্দী জীবন যাপন করে। আল্লাহর বিধান ও আমানতের অধীনে তোমরা তাদের গ্রহণ করেছ এবং আল্লাহ্র দেয়া বাক্যের মাধ্যমেই তাদের গোপনাঙ্গ তোমাদের জন্য হালাল হয়েছে।
রাসূলে আকরাম (ছঃ) আরও বলেন, 'যে ব্যক্তি স্ত্রীর কষ্টদায়ক আচরণে সবর করবে, আল্লাহ্ তা'আলা তাকে বিপদ মসিবতে হযরত আইয়ুব (আঃ)-এর সমতুল্য নেকী দান করবেন। আর যে স্ত্রীলোক তার স্বামীর অসদাচরণে ধৈর্যাবলম্বন করবে, আল্লাহ্ তা'আলা তাকে ফেরাউনের স্ত্রী হযরত আছিয়ার সমতুল্য নেকী দান করবেন।'
স্মরণ রাখতে হবে, স্ত্রীকে শুধু কষ্ট দেয়া থেকে বিরত থাকার নাম তার সাথে সদ্ব্যবহার ও তার অধিকার আদায় নয়; বরং প্রকৃত অধিকার আদায় ও সদ্ব্যবহার হচ্ছে, স্ত্রীর পক্ষ থেকে কোনরূপ অসদাচরণ ও কষ্ট প্রদত্ত হলে তাতে ধৈর্যাবলম্বন করা, সে রাগান্বিত বা উত্তেজিত হলে তা অম্লান বদনে সয়ে নেয়া। এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (ছঃ)-এর আদর্শের অনুকরণ করতে হবে। তাঁর স্ত্রীরা কখনও কখনও তাঁর সাথে তর্ক করতেন কিংবা তাদের কেউ তাঁর থেকে পৃথক রাত যাপন করেছেন।
একদিন হযরত ওমর (রাঃ)-এর স্ত্রী তাঁর সাথে তর্কে লিপ্ত হলে তিনি যখন বললেন, কি হে। তুমি আমার সাথে তর্ক করছ? তিনি বললেন, নবী করীম (ছঃ)-এর স্ত্রীরা যে ক্ষেত্রে তাঁর সাথে তর্ক করেন; অথচ তিনি আপনার চেয়ে শ্রেষ্ঠ, সেক্ষেত্রে আমি কেন অপরাধী হব? হযরত ওমর (রাঃ) বললেন, বড় দুর্ভাগ্য হবে হাফসার, সে রাসূল (ছঃ)-এর সাথে তর্ক করে থাকে। অতঃপর তিনি হযরত হাফসা (রাঃ)-কে বললেন, 'আবু কোহাফার পুত্র আবু বকরের কন্যার (আয়েশার) প্রতি তোমার মনে যেন কোনরূপ হিংসার উদয় না হয়। স্মরণ রেখো, সে রাসূলুল্লাহ (ছঃ)-এর পরম প্রিয়, ভালোবাসার পাত্রী। এমনিভাবে তিনি হযরত হাফসাকে নবী করীম (ছঃ)-এর সাথে তর্ক না করতে সাবধান ও নসীহত করেন।
বর্ণিত আছে, একদা রাসূল (ছঃ)-এর কোন স্ত্রী তাঁর বুকে জোরে হাত মেরে ধাক্কার ন্যায় দিয়েছিলেন। এ জন্য স্ত্রীর মা তাকে শাসন করে ধমক দিচ্ছিলেন। নবী করীম (ছঃ) বললেন, তাকে ছেড়ে দিন; তারা তো আমার সাথে এর চেয়ে আরও বেশি বাড়াবাড়ি করে থাকে।
একদিন হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রাঃ) এবং রাসূলে আকরাম (ছঃ)-এর মাঝে বাদানুবাদ হয়। তাঁরা দু'জনেই হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রাঃ)-কে খবর দিলে তিনি হাজির হন। রাসূল (ছঃ) বললেন, হে আয়েশা। তুমি আগে বলবে না আমি আগে বলব? হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রাঃ) বললেন, আপনিই আগে বলুন এবং দেখুন, সত্য ছাড়া কিছু বলবেন না। এ কথা শুনে হযরত আবু বকর (রাঃ) ক্রোধ সংবরণ করতে না পেরে তাঁকে পদাঘাত করেন, ফলে তাঁর মুখ থেকে রক্ত বের হয়। বললেন, ওহে নিজের দুশমন। নবী করীম (ছঃ) কি কখনও অসত্য বলতে পারেন? হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রাঃ) ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে রাসূলুল্লাহ (ছঃ)-এরই আশ্রয় নেন এবং তাঁর পেছনে গিয়ে বসে থাকেন। তখন রাসূলে আকরাম (ছঃ) বললেন, 'হে আবু বকর। তোমাকে আমরা এ কাজ করার জন্য ডাকিনি এবং এটা আমার পছন্দও নয়।'
একদিন হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রাঃ) রাগান্বিত হয়ে কথার মাঝে বলে ফেলেন, আপনি তো ভাবেন, খুব আল্লাহর নবী হয়ে গেছেন। এ কথা শুনেই নবী করীম (ছঃ) হেসে ফেললেন। এ ছিল স্ত্রীর সাথে তাঁর উত্তম ব্যবহার ও উন্নত চরিত্রের আদর্শ।
নবী করীম (ছঃ) হযরত আয়েশা (রাঃ)-কে বলতেন, তুমি কখন সন্তুষ্ট আর কখন রাগান্বিত থাক তা আমি বুঝতে পারি। হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রাঃ) আরজ করলেন, আপনি কিভাবে তা বুঝতে পারেন হে আল্লাহর রাসূল! তিনি বললেন, তুমি যখন সন্তুষ্ট থাক তখন বল, না, মুহাম্মদের প্রভুর শপথ, আর যখন রাগান্বিত থাক তখন বল, না, ইবরাহীমের প্রভুর শপথ। হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি ঠিকই বলেছেন, রাগের সময় আপনার নাম উচ্চারণ করি না।
রাসূলুল্লাহ (ছঃ)-এর অন্তরে তাঁর স্ত্রীদের মধ্যে প্রথম হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রাঃ)-এর মহব্বত ভালোবাসা সৃষ্টি হয়। তিনি বলতেন, 'হে আয়েশা! আবু যারা' তার স্ত্রীর জন্য যেমন ছিল, আমিও তোমার জন্য তদ্রূপ। তবে আমি তোমাকে তালাক দিব না।'
নবী করীম (ছঃ) তাঁর অন্যা স্ত্রীদের বলতেন, তোমরা আয়েশার ব্যাপারে আমাকে কোনরূপ কষ্ট দিও না। কেননা, আল্লাহর শপথ, তোমাদের মধ্যে একমাত্র তাঁর সাথে শয্যা গ্রহণকালেই আমার উপর ওহী অবতীর্ণ হয়েছে।
হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছঃ) স্ত্রীলোকদের এবং ছোটদের প্রতি সকল মানুষ অপেক্ষা দয়ার্দ্রচিত্ত ছিলেন।
নবী করীম (ছঃ) তাঁর স্ত্রীদের সাথে খুবই সরল-সহজ ও সাদাসিধা আচার-ব্যবহারে অভ্যস্ত ছিলেন। তিনি তাঁদের সাথে কথা, কাজে উদার নীতি গ্রহণ করে চলতেন, তাঁদের সাথে কৌতুক-আনন্দও করতেন। একবার তিনি হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রাঃ)-এর সাথে দৌড় প্রতিযোগিতা করেছিলেন। এ প্রতিযোগিতায় হযরত আয়েশা (রাঃ) আগে চলে যান। পরবর্তীতে পুনরায় যখন প্রতিযোগিতা হয়, তখন রাসূল (ছঃ) আগে চলে যান। এবার রাসূল (ছঃ) বললেন, দেখ হে আয়েশা, আমি কিন্তু পূর্বেরটা শোধ করে দিলাম। স্ত্রীদের মনে আনন্দ দেয়ার জন্য তিনি এরূপ করতেন। বর্ণিত আছে, তিনি স্ত্রীদের সাথে সকলের চেয়ে বেশি কৌতুকী ছিলেন।
হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রাঃ) বর্ণনা করেন, হাবশার কিছু লোক আশুরার দিন খেলাধুলা করছিল। রাসূলুল্লাহ (ছঃ) আমাকে বললেন, তুমি কি এদের খেলা দেখতে আগ্রহী? আমি সম্মতিসূচক জবাব দিলে তিনি তাদের ডেকে পাঠান। তিনি দরজায় দাঁড়িয়ে দু'দিকে দু'হাত প্রসারিত করে তা ধরে রাখেন। আমি তাঁর এক হাতের উপর চিবুক রেখে তাদের খেলা দেখছিলাম। কিছুক্ষণ পর তিনি বললেন, তোমার দেখা শেষ হয়েছে কি? আমি বললাম, না, আরও কিছুক্ষণ দেখব। এভাবে দুতিন বারই তিনি আমাকে বললেন। অবশেষে আরও একবার যখন বললেন, তখন আমি ক্ষান্ত করতে বললে তিনি তাদের যেতে বলেন।
রাসূলুল্লাহ (ছঃ) ছিলেন সব মোমেনদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা পূর্ণ ঈমানের অধিকারী, সর্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ চরিত্রের অধিকারী এবং স্ত্রীদের সাথে সর্বাপেক্ষা অমায়িক ও বিনম্র ব্যবহারের অধিকারী।
তিনি বলেন-
خَيْرُكُمْ خَيْرُكُمْ لِنِسَائِهِ وَأَنَا خَيْرُكُمْ لِنِسَانِي .
-'তোমাদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা উত্তম তারা, যারা তাদের স্ত্রীদের সাথে সদ্ব্যবহারে উত্তম।আমি আমার স্ত্রীদের সাথে সদ্ব্যবহারে তোমাদের মধ্যে সর্বোৎকৃষ্ট।
' হযরত ওমর (রাঃ) কঠোর স্বভাবের হওয়া সত্ত্বেও বলেন, তোমরা ঘরে স্ত্রীদের সাথে শিশুসুলভ মন নিয়ে থাক; পুরুষোচিত যোগ্যতার বহিঃপ্রকাশ সেখানে নিষ্প্রয়োজন।
হযরত লোকমান (আঃ) বলেন, 'বুদ্ধিমানের উচিত সে যেন ঘরের পরিবেশে বাচ্চার ন্যায় আর সমাজে পুরুষের ন্যায় আচরণ করে।'
হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, 'আল্লাহ্ তা'আলা রুক্ষ স্বভাব এবং পাষাণ অন্তঃকরণের লোককে পছন্দ করেন না।' এর অর্থ হচ্ছে, যারা স্ত্রীদের সাথে এরূপ আচরণ করে এবং মনের দিক থেকে দাম্ভিক অহংকারী হয়, তাদের পছন্দ করেন না।
কোরআনে ব্যবহৃত عثل শব্দের মর্মও তাই, অর্থাৎ স্ত্রীদের সাথে রুক্ষ আচরণকারী।
হযরত জাবের (রাঃ) জনৈকা বিধবা স্ত্রীলোককে বিবাহ করলে পর রাসূলুল্লাহ (ছঃ) তাঁকে বলেন, 'তুমি কুমারী বিবাহ করলে না কেন? তা করলে তুমি তার সাথে কৌতুক করতে পারতে, আর সেও তোমার সাথে কৌতুক করতে পারত।'
এক বেদুঈন স্ত্রীলোক তার মৃত স্বামীর প্রশংসা করে বলছিল: গৃহে তিনি সদা হাসিমুখে থাকতেন আর বাইরে সমাজে থাকতেন স্বল্পভাষী ও গাম্ভীর্যের অধিকারী। গৃহে সামান্য যা কিছু হত খেয়ে নিতেন। গৃহের কোন বস্তু হারিয়ে গেলে এ ব্যাপারে তেমন কোন খেয়াল করতেন না।
স্ত্রীর প্রতি সদ্ব্যবহার সদাচরণে যেন সীমালঙ্ঘন না হয়, সে দিকে লক্ষ্য রাখা জরুরী। কেননা, এতে তাদের নৈতিক চরিত্র বিনষ্ট হয়ে ভক্তি-প্রযুক্ত ভয় দূর হয়ে যেতে পারে; বরং ন্যায়পরায়ণ ও মধ্যপন্থী থাকা চাই যাতে ভক্তি-শ্রদ্ধা বহাল থাকে। তাদের থেকে শরীয়ত পরিপন্থী কার্যকলাপ সংঘটিত হলে সাথে সাথে প্রতিবাদ ও শাসন করা উচিত।
হযরত হাসান (রাঃ) বলেন, আল্লাহর শপথ, সর্ববিষয়ে যে ব্যক্তি স্ত্রীর কামনা-বাসনার আনুগত্য অনুসরণ করে, পরিণামে সে জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে। হযরত ওমর (রাঃ) বলেন, 'কখনও কখনও স্ত্রীদের কথা বা পরামর্শের বিপরীত করার মাঝেও কল্যাণ নিহিত থাকে।'
জনৈক তত্ত্বজ্ঞানী বলেছেন, স্ত্রীদের সাথে তোমরা পরমার্শ কর, আবার কোন কোন ক্ষেত্রে বিপরীতও কর।
রাসূলে আকরাম (ছঃ) বলেন, 'স্ত্রী-বশীভূত পুরুষ ধ্বংস হয়ে যায়। কেননা, এতে সে ক্রমান্বয়ে তার দাসে পরিণত হয় এবং আজ্ঞাবহ হয়ে হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ধ্বংসের গহ্বরে গিয়ে পড়ে। অথচ আল্লাহ্ তা'আলা পুরুষকে নারীর উপর কর্তৃত্ব দান করেছেন; কিন্তু সে তা উল্টিয়ে দেয়, ফলে সে শয়তানের অনুসারী হয়। যেমন পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে-
وَلَا مُرَنَّهُمْ فَلْيُغَيِّرُنَّ خَلْقَ اللَّهِ .
-'আর (শয়তান) নিশ্চয়ই তাদের আরও শিক্ষা দিবে, যেন তারা আল্লাহর সৃষ্ট আকৃতি বিকৃত করে দেয়।' -সূরা নিসা: ১১৮
আল্লাহ্ তা'আলা পুরুষদের সম্বন্ধে এরশাদ করেন-
الرِّجَالُ قَوَّامُونَ عَلَى النِّسَاءِ .
-'পুরুষরা নারীদের শাসক।' -সূরা নিসাঃ ৩৪
আল্লাহ্ তা'আলা সূরা ইউসুফে স্বামীকে 'সর্দার' বলে অভিহিত করেছেন। এরশাদ হয়েছে
- والْفَيَا سَيِّدَهَا لَدَى الْبَابِ -
-'এবং উভয়ে সে রমণীর সর্দার (স্বামী)-কে দরজার নিকট দণ্ডায়মান পেল।' -সূরা ইউসুফ: ২৫
ইমাম শাফেয়ী (রঃ) বলেন, 'তিন শ্রেণী এমন রয়েছে, তাদের সম্মান করলে তারা তোমাকে হেয় করবে, ১. স্ত্রী, ২. খাদেম, ৩. ঘোড়া।'
এ উক্তির মাধ্যমে হযরত ইমামের উদ্দেশ্য হলো, যদি কেবল সম্মান আর সদয় ব্যবহারই করা হয়, সময় সময় প্রয়োজনে কোনরূপ প্রতিবাদ ও শাসন না করলে পরিণতি এমনিই হয়।
0 Comments