অধিক কথা বলা
অধিক কথা বলা সর্বাবস্থায় নিন্দনীয়। অনর্থক এবং প্রয়োজনের অতিরিক্ত কথাও ইহার মধ্যে গণ্য। প্রয়োজনীয় কথা যেই ক্ষেত্রে সংক্ষেপেও হইতে পারে সেই ক্ষেত্রে একটি বাক্যের স্থলে যদি দুইটি বাক্য ব্যবহার করা হয়, তবে দ্বিতীয় বাক্যটি অতিরিক্ত হইবে। কোন গোনাহ ও ক্ষতি না হইলেও এই অতিরিক্ত কথন নিষিদ্ধ।
হযরত আতা বিন রাবাহ (রহঃ) বলেন, আমাদের পূর্ববর্তী বুজুর্গগণ অনর্থক কথা বলা পছন্দ করিতেন না। তাহাদের নিকট আল্লাহর কিতাব, রাসূলের সুন্নত, সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজের নিষেধ এবং অত্যাবশ্যকীয় কথা ব্যতীত অন্য সকল কথাই অতিরিক্ত কথার মধ্যে গণ্য ছিল। বস্তুতঃ এই কথা কেহই অস্বীকার করিতে পারিবে না যে, প্রতিটি মানুষেরই ডানে-বামে কিরামান কাতেবীন সদা সতর্ক অবস্থায় মানুষের ভাল-মন্দ সকল আমল লিপিবদ্ধ করিতেছে। কালামে পাকে এরশাদ হইয়াছে-
ما يلفظ مِنْ قَوْلٍ إِلَّا لَدَيْهِ رَقِيبٌ عَتِيدٌ
অর্থঃ "সে যেই কথাই উচ্চারণ করে, তাহাই গ্রহণ করার জন্য তাহার নিকট সদা প্রস্তুত প্রহরী রহিয়াছে।"
(সূরা ক্বাফ ১৮ আয়াত)
তোমরাকি এই বিষয়ে কিছুমাত্র লজ্জাবোধ কর না যে, হাশরের ময়দানে যখন তোমাদের আমলনামা খোলা হইবে, তখন উহাতে এমন অসংখ্য আমলের উল্লেখ পাওয়া যাইবে, যেই সকল আমলের সঙ্গে না দ্বীনের, না দুনিয়ার কোন সম্পর্ক আছে?
এক ছাহাবী বলেন, লোকেরা আমার নিকট যেইসব প্রশ্ন করে, সেইসব প্রশ্ন তাহাদের নিকট এমন ভাল লাগে যেমন তৃষ্ণার্ত ব্যক্তির নিকট ঠাণ্ডা পানি ভাল লাগে। আর আমার নিকটও তাহাদের প্রশ্নের জবাব দিতে অনুরূপ ভাল লাগে। কিন্তু আমি এই ভয়ে নীরব থাকি যে, আমার এই কথা আবার অতিরিক্ত কথার মধ্যে গণ্য না হয়।
হয়ত মুতরিফ বলেন, তোমরা আল্লাহ পাকের শান ও প্রতাপের প্রতি লক্ষ্য রাখিও। এমন কোন স্থানে তাঁহার উল্লেখ করিও না, যেখানে তাঁহার শান ক্ষুণ্ণ হওয়ার বিন্দুমাত্র সন্দেহও হইতে পারে। যেমন কুকুর বা গাধা দেখিয়া এইরূপ বলিও না যে, হে আল্লাহ! ইহাকে দূরে সরাইয়া দাও।
অতিরিক্ত কথার সীমাঃ
কোন্ কথাটি অতিরিক্ত ও অপ্রয়োজনীয় তাহা সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করা খুবই কঠিন। কেননা, উহার কোন সীমা-পরিসীমা নাই। অবশ্য পবিত্র কোরআনে প্রয়োজনীয় ও জরুরী কথার সীমা বর্ণিত হইয়াছে। বলা হইয়াছে-
لَا خَيْرَ فِي كَثِيرٍ مِّنْ تَجَوَاهُمْ إِلَّا مَنْ أَمَرَ بِصَدَقَةٍ أَوْ مَعْرُوفٍ أَوْ إِصْلَاحٍ بَيْنَ النَّاسِ
অর্থঃ "তাহাদের অধিকাংশ সলা-পরামর্শ ভাল নহে; কিন্তু যেই সলা-পরামর্শ দান-খয়রাত করিতে কিংবা সৎ কাজ করিতে কিংবা মানুষের মধ্যে সন্ধি স্থাপন কল্পে করিত তাহা স্বতন্ত্র।"
সরওয়ারে কায়েনাত ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেনঃ "সেই ব্যক্তির জন্য সুসংবাদ, যে নিজের জিহ্বাকে অতিরিক্ত কথা হইতে সংযত রাখে এবং অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করিয়া দেয়।"
কিন্তু পরিতাপের বিষয় হইল, আজকাল মানুষ হাদীসের এই বাণীর বিপরীতে অবস্থান লইয়াছে। তাহারা অতিরিক্ত অর্থ সঞ্চয় করিয়া রাখে এবং জিহ্বাকে বল্লাহীনভাবে ছাড়িয়া দেয়।
হযরত মুতরিফের পিতা বর্ণনা করেন, একদা তিনি আমের গোত্রের লোকদের সঙ্গে নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের খেদমতে উপস্থিত হন। এই সময় লোকেরা পেয়ারা নবীর খেদমতে আরজ করিল, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি আমাদের পিতা, আপনি আমাদের মনিব, আপনি সকলের শ্রেষ্ঠ এবং দয়ালু। আপনি এইরূপ, এইরূপ ইত্যাদি। তাহাদের এইসব মন্তব্যের জবাবে তিনি ফরমাইলেন-
قُولُوا بِقَوْلِكُمْ لَا يَسْتَهْرِيَنَّكُمُ الشَّيْطَانُ
অর্থঃ "তোমরা নিজেদের কথা (অবশ্যই) বল (কিন্তু এই বিষয়ে লক্ষ্য রাখিও যেন) শয়তান তোমাদিগকে বিভ্রান্ত করিতে না পারে।"
(ইবনে আবিদ্দুনয়া, আবু দাউ, নাসাঈ)
অর্থাৎ- মানুষ যখন কাহারো প্রশংসা করে, তখন যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন করার পরও কেমন করিয়া যে উহাতে অতিরঞ্জন ও বাড়াবাড়ি আসিয়া যুক্ত হয়, তাহা টেরও পাওয়া যায় না। আর সত্য প্রশংসার ক্ষেত্রেও শয়তান মানুষের মুখ দিয়া অতিরিক্ত কোন শব্দ বাহির করিয়া দিবার আশংকা তো লাগিয়াই থাকে।
হযরত আব্দুল্লহ বিন মাসউদ (রাঃ) বলেন, আমি তোমাদিগকে অতিরিক্ত কথার ব্যাপারে সতর্ক করিতেছি। কথা এই পরিমাণই বলা উচিত যাহা দ্বারা প্রয়োজন মিটিয়া যায়।
হযরত মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, মানুষের মুখ-নিসৃত প্রতিটি শব্দই লিখিয়া রাখা হয়। এমনকি শিশুকে চুপ করানোর জন্য যদি বলা হয়- "তোমাকে অমুক বস্তু আনিয়া দিব" আর প্রকৃতপক্ষে যদি তাহা আনিয়া দেওয়ার নিয়ত না থাকে, তবে তাহাকে মিথ্যাবাদী লেখা হইবে।
হযরত হাসান বসরী (রহঃ) বলেন, হে লোকসকল! তোমাদের আমলনামা খোলা আছে এবং দুইজন ফেরেশতা তোমাদের আমল লিপিবদ্ধ করার কাজে নিয়োজিত আছেন। এখন তোমাদের নিজেদের উপরই সব নির্ভর করে; তোমরা যাহা ইচ্ছা, তাহাই করিতে পার। ইচ্ছা হয় কম কথা বল, না হয় বেশী বল। রোজ কেয়ামতে এই আমলনামা তোমাদের পক্ষে কিংবা বিপক্ষে দলীল হইবে।
বর্ণিত আছে যে, একবার হযরত সোলাইমান আলাইহিস্ সালাম এক জ্বীনকে কোথাও পাঠাইলেন। অতঃপর তাহার গতিবিধি লক্ষ্য করার জন্য আরো কয়েক জন জ্বীন তাহার পিছনে পাঠাইলেন। তাহারা দেখিতে পাইল- সেই জ্বীন এক বাজারে গিয়া প্রথমে আকাশের দিকে মস্তক উত্তোলন করিয়া কি যেন তাকাইয়া দেখিল এবং পরক্ষণেই মস্তক নিম্নমুখী করতঃ মানুষের দিকে তাকাইয়া মাথা দুলাইল। অতঃপর সে সামনের দিকে আগাইয়া গেল। হযরত সোলাইমান (আঃ) পর্যবেক্ষক জ্বীনদের মাধ্যমে এই ঘটনা শুনিয়া বড় বিস্মিত হইলেন। পরে তিনি সেই জ্বীনকে ডাকাইয়া উহার কারণ জিজ্ঞাসা করিলে সে বলিল, আকাশের ফেরেশতাদের কর্মতৎপরতা দেখিয়া আমি বিস্মিত হইলাম যে, তাহারা মানুষের মাথার উপর বসিয়া কত দ্রুত তাহাদের আমলনামা লিপিবদ্ধ করিতেছে। আর মানুষের অবস্থা দেখিয়াও আমি অবাক হইলাম যে, তাহারা কত দ্রুত বিপথগামী হইতেছে।
হযরত ইবরাহীম তাইমী (রহঃ) বলেন, মোমেন ব্যক্তি কথা বলার পূর্বে চিন্তা করিয়া দেখে যে, এই কথা তাহার জন্য উপকারী, না ক্ষতিকর হইবে। যদি উপকারী হইবে বলিয়া সাব্যস্ত হয়, তবে কথা বলে অন্যথায় চুপ থাকে। আর পাপী লোকেরা কোনরূপ চিন্তা না করিয়াই কথা বলিতে শুরু করে।
হযরত হাসান (রহঃ) বলেন, যেই ব্যক্তি অধিক কথা বলে সে মিথ্যাবাদী। হয়। যার সম্পদ বেশী তাহার গোনাহ বেশী। যেই ব্যক্তির চরিত্র ভাল নহে, সে নিজের জন্য নিজের মুসীবত ডাকিয়া আনে।
হযরত আমর বিন দীনার বর্ণনা, করেন, এক ব্যক্তি রাসূল ছাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের দরবারে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত কথা বলিবার পর তিনি লোকটিকে জিজ্ঞাসা করিলেন, তোমার মুখের মধ্যে কয়টি পর্দা আছে? জবাবে সে বলিল, আমার মুখে কেবল জিহ্বা ও দাঁত আছে। তিনি বলিলেন, উহার একটিও কি তোমাকে কথা বলা হইতে বিরত রাখিল না? (ইবনে আবিদ্দুনয়া)
অন্য রেওয়ায়েতে আছে, এই কথা তিনি এমন ব্যক্তিকে বলিয়াছিলেন, যেই ব্যক্তি দীর্ঘ সময় পর্যন্ত তাঁহার প্রশংসা করিতেছিল। এই সময় তিনি ইহাও বলিয়াছিলেন যে, মানুষকে তাহার জিহ্বার অহেতুক কথাই অধিক বিপদে ফেলিয়াছে।
জনৈক প্রাজ্ঞ ব্যক্তি বলেন, কোন মজলিসে বসিবার পর যদি কথা বলিতে ভাল লাগে, তবে নীরব থাকা বাঞ্ছনীয়। পক্ষান্তরে যদি নীরব থাকিতে ভাল লাগে, তবে সেই ক্ষেত্রে কথা বলা উচিত
ইয়াজীদ ইবনে আবী হাবীব বলেন, আলেমদের পক্ষে কথা বলা অপেক্ষা কথা শোনা একটি পরীক্ষা বটে। সুতরাং যতক্ষণ কেহ কথা বলে, ততক্ষণ নীরব থাকা উচিত। কেননা, কথা শোনা নিরাপদ এবং কথা বলার মধ্যে যত অনিষ্টের আশংকা। হযরত ইবনে ওমর (রাঃ) বলেন, মানুষের যেই অঙ্গটি পাক করা অধিক আবশ্যক, উহা হইল তাহার জিহ্বা।
হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) একবার অতিরিক্ত কথা বলায় অভ্যস্ত এক মহিলাকে দেখিয়া মন্তব্য করিলেন, এই মহিলা বোবা হইলে ইহা তাহার জন্য ভাল ছিল। হযরত ইবরাহীম বিন আদহাম (রঃ) বলেন, মানুষ দুইটি বিষয়ের কারণে বরবাদ হয়। উহার একটি হইল অধিক কথন এবং অপরটি অতিরিক্ত সম্পদ।
অবৈধ কথা বলাঃ
যেইসব কথা গোনাহের সহিত সংশ্লিষ্ট উহাই অবৈধ কথা। যেমন নারীদের রূপ-লাবণ্য ও প্রেম-ভালবাসার আলোচনা করা, পাপের আসরের কথা বা ধনবানদের বিলাসিতার কথা আলোচনা করা কিংবা বাদশাহদের অনাচার ও পাপের কথা বলা ইত্যাদি সবই অবৈধ কথা। সুতরাং এই সবের সহিত সংশ্লিষ্ট হওয়া হারাম। অপ্রয়োজনীয় ও অতিরিক্ত কথা হারাম নহে; বরং উহা মোস্তাহাবের পরিপন্থী ও অপছন্দনীয়। কিন্তু বাতিল ও অবৈধ কথা বলা হারাম। তবে যেই ব্যক্তি অবৈধ কথা অতিরিক্ত বলিবে, তাহার পক্ষে সর্বদাই অবৈধ কথায় জড়াইয়া পড়ার ঝুঁকি থাকিবে।.
আজকাল তো বিশেষ গুরুত্বের সহিত বিনোদনমূলক আলোচনার আয়োজন করা হয়। এইসব আলোচনার আসরে সাধারণতঃ অবৈধ ও গোনাহের বিষয়ই আলোচনা করা হয়। অর্থহীন হাসি-তামাশা, মানুষের দোষ-ত্রুটি অন্বেষণ, গীবত-শেকায়েত, মানুষের দুর্নাম করা কিংবা কোন অপরাধকর্মের সলামরার্শ ইত্যাদিই হয় এইসব আসরের মূল আলোচ্য বিষয়।
মোটকথা, আজকাল আলোচনার আসরগুলির খুব কমই পাপাচার মুক্ত হয়। এইসব আসরে যেইসব অবৈধ ও গোনাহের বিষয় আলোচিত হয় উহার কোন সীমা পরিসীমা নাই। এই বিপদ হইতে মুক্তির একমাত্র উপায় হইল- দ্বীনী বিষয় এবং নেহায়েত আবশ্যকীয় বিষয় ব্যতীত অপর কোন আলোচনায় যুক্ত না হওয়া। অবৈধ আলোচনা এমনই বিপদজনক বিষয় যে, উহাতে জড়াইবার পর মানুষের ধ্বংস প্রায় অনিবার্য হইয়া পড়ে। অথচ এইসব বিষয়কে মানুষ নেহায়েতই মামুলী মনে করিয়া থাকে এবং উহার পরিণতি সম্পর্কে মানুষের ধারণা সুস্পষ্ট নহে। কিন্তু রোজ কেয়ামতে যখন মানুষের চোখের সামনে সকল কিছু সুস্পষ্ট হইয়া ধরা পড়িবে, তখন তাহারা অনুভব করিতে পারিবে যে, দুনিয়াতে যেইসব গোনাহকে তাহারা নেহায়েত তুচ্ছ ও মামুলী মনে করিয়াছিল আজ উহাই তাহাদের জন্য কত ভয়াবহ পরিণতি ডাকিয়া আনিয়াছে।
হযরত বিলাল ইবনুল হারিস নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এরশাদ নকল করেন যে, মানুষ আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টির একটি কথা বলে এবং সে মনে করে, ইহা দ্বারা আল্লাহ পাকের বিশেষ কোন সন্তুষ্টি হাসিল হইবে না। অথচ আল্লাহ পাক ঐ একটি কথার কারণে কেয়ামত পর্যন্ত আপন সন্তুষ্টি লিখিয়া দেন। মানুষ কখনো আল্লাহ পাকের অসন্তুষ্টির একটি কথা বলে এবং সে মনে করে, ইহা দ্বারা আল্লাহ পাক বিশেষ কোন অসন্তুষ্ট হইবেন না। কিন্তু আল্লাহ জাল্লাশানুহু এই একটি কথার কারণে কেয়ামত পর্যন্ত আপন অসন্তুষ্টি লিখিয়া দেন। (ইবনে মাজা, তিরমিজী)
হযরত আলকামা (রাঃ) বলেন, হযরত বিলাল ইবনে হারিসের উপরোক্ত হাদীস আমাকে অনেক কথা বলা হইতে বিরত করিয়াছে। হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) বলেন, মানুষ অনেক সময় বেপরওয়াভাবে এমন কথা বলিয়া ফেলে য়ে, উহার কারণে সে দোজখে পতিত হয়। আবার কোন সময় সে এমনু কথা বলিয়া বসে যে, উহার কারণে সে বেহেশতের উচ্চ মর্যাদার অধিকারী হয়।
কালামে পাকে এরশাদ হইয়াছে-
وَ كُنَّا نَخُوضُ مَعَ الْخَائِضِينَ
অর্থঃ "আমরা সমালোচকদের সঙ্গে সমালোচনা করিতাম।"
অন্যত্র এরশাদ হইয়াছে-
فَلَا تَقْعُدُوا مَعَهُمْ حَتَّى يَخُوضُوا فِي حَدِيثٍ غَيْرِهِ
অর্থঃ "তখন তোমরা তাহাদের সঙ্গে বসিবে না, যতক্ষণ না তাহারা প্রসঙ্গান্তরে চলিয়া যায়। তাহা না হইলে তোমরাও তাহাদেরই মত হইয়া যাইবে।" (সূরা মুদ্দাসির ৪৫ আয়াত)
0 Comments