নবুয়‍্যাত সম্পর্কিত জ্ঞান

        মহান আল্লাহ তা'য়ালা পৃথিবীতে মানুষ সৃষ্টি করেছেন এবং এ মানুষকে দিয়েই মানুষের বংশধারা বৃদ্ধি করছেন। আল্লাহ তা'য়ালা যাকে ইচ্ছা পুত্র সন্তান দান করছেন আবার যাকে ইচ্ছা কন্যা সন্তান দান করছেন। কাউকে আবার তিনি বন্ধ্যা বানিয়েছেন। আল্লাহ তা'য়ালা পবিত্র কুরআনে বলেছেন-

للهِ مُلْكُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ ط يَخْلُقُ مَا يَشَاءُ ط يَهَبُ لِمَنْ يَشَاءُ إِنَاثًا وَيَهَبُ لِمَنْ يَشَاءُ الذُّكُورَ لَا أَوْ يُزَوِّجُهُمْ ذُكْرَانًا وَإِنَاثًا جِ وَيَجْعَلُ مَنْ يَشَاءُ عَقِيمًا ط إِنَّهُ عَلِيْمٌ قَدِيرٌ -

        আকাশমন্ডলী ও যমীনের (সমুদয়) সার্বভৌমত্ব (একমাত্র) আল্লাহ তা'য়ালার জন্যে; তিনি যা ইচ্ছা তাই সৃষ্টি করেন; যাকে চান তাকে কন্যা সন্তান দান করেন, আবার যাকে চান তাকে পুত্র সন্তান দান করেন, যাকে চান পুত্র কন্যা (উভয়টাই) দান করেন, (আবার) যাকে চান তাকে তিনি বন্ধ্যা করে দেন; নিঃসন্দেহে তিনি বেশি জানেন, ক্ষমতাও তিনি বেশি রাখেন। (সূরা আশ শূরা-৪৯-৫০)

        এই মানুষকে মহান আল্লাহ তা'য়ালা পৃথিবীতে এমন এক অবস্থায় নিয়ে আসেন যখন সে মানুষের কোনো চেতনাই থাকে না। আল্লাহ তা'য়ালা বলেন-

وَاللَّهُ أَخْرَجَكُم مِّنم بُطُونِ أُمَّهَاتِكُمْ لاَ تَعْلَمُونَ شَيْئًا لَا وَجَعَلَ لَكُمُ السَّمْعَ وَالْأَبْصَارَ وَالْأَفْئِدَةَ لَا لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ

        আল্লাহ তা'য়ালা তোমাদের মায়ের পেট থেকে (এমন এক অবস্থায়) বের করে এনেছেন যে, তোমরা (তার) কিছুই জানতে না, অতপর তিনি তোমাদের কান, চোখ ও হৃদয় দিয়েছেন, যাতে করে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারো। (সূরা আন নাহল-৭৮)

        আল্লাহ তা'য়ালা বলেন, মানুষকে আমি এমন এক অবস্থায় তার মায়ের গর্ভ থেকে এই পৃথিবীতে নিয়ে এসেছি, যে সময় তার কোনো চেতনাই ছিল না। পেটের ক্ষুধায় প্রাণ ওষ্ঠাগত হলেও তার বলার ক্ষমতা ছিল না যে, তার ক্ষুধা পেয়েছে। সেই সাথে তাকে আমি তিনটি জিনিস দান করেছি। তাকে শ্রবণ ও দৃষ্টিশক্তি দান করেছি এবং চিন্তা করার মত মগজ দিয়েছি। তার শরীরের ত্বকের ভেতরে স্পর্শ অনুভূতি দান করেছি। নাক দান করেছি ঘ্রাণ গ্রহণ করার জন্য। এভাবে তাকে আমি সুন্দর করে সাজিয়েছি। তার যা যেখানে প্রয়োজন আমি দান করেছি। তার মাতা-পিতা এবং অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনের ভেতরে তার জন্য অসীম মায়া-মমতা সৃষ্টি করেছি। সে পৃথিবীতে চোখ খুলেই দেখতে পায়, এই পৃথিবীর সকলকিছুই তাকে প্রতিপালন করার জন্য প্রস্তুত হয়ে আছে। সৃষ্টির সকল কিছুই তার সেবায় নিয়োজিত করেছি। মানুষের জন্য যে যোগ্যতা প্রয়োজন আমি তা দান করেছি। মানুষের ভেতরে ভারসাম্য রক্ষার জন্য কোনো কোনো যোগ্যতা কারো মধ্যে বেশি দান করেছি। আবার তা কারো মধ্যে কম দান করেছি। এভাবে ভারসাম্য রক্ষা না করলে কেউ কারো মুখাপেক্ষী হতো না। একজন মানুষ আরেকজনের পরোয়া করতো না এবং মানুষের যোগ্যতার কোনো মূল্যায়ন হতো না।

        যে জিনিসের প্রয়োজন যতবেশি মহান আল্লাহ তা'য়ালা তা অধিক পরিমাণে সৃষ্টি করেছেন। এই পৃথিবীর জন্য কর্মীর প্রয়োজন অধিক, মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তা অধিক পরিমাণে সৃষ্টি করেছেন। বড় বড় বিজ্ঞানী, সেনাপতি, তাত্ত্বিক এবং বুদ্ধিবৃত্তিক যোগ্যতা সম্পন্ন মানুষের প্রয়োজন কম, সুতরাং আল্লাহ তা কম পরিমাণেই সৃষ্টি করেছেন। এ জাতিয় মানুষের সংখ্যা তিনি ঘরে ঘরে সৃষ্টি করেননি। কারণ এই ধরণের মানুষের অবদান এই পৃথিবীতে শতাব্দীর পরে শতাব্দী পর্যন্ত চলতে থাকে। সুতরাং এ ধরণের দুর্লভ যোগ্যতা সম্পন্ন মানুষ পৃথিবীর জন্য যে কয়জন প্রয়োজন মহান আল্লাহ তাই সৃষ্টি করেছেন। তাদের একজনের যে অবদান শতকোটি মানুষ ঐ একজন মানুষের চিন্তাধারা দ্বারাই উপকৃত হতে থাকে। আবার এ মানুষকে মহান আল্লাহ তা'য়ালা কোন্ স্তরে পৌঁছে দেন তা দেখুন-

وَاللَّهُ خَلَقَكُمْ ثُمَّ يَتَوَفَّاكُمْ قَفِ وَمِنْكُم مَّن يُرَدُّ إِلَى أَرْذَلِ الْعُمُرِ لِكَيْ لَا يَعْلَمَ بَعْدَ عِلْمٍ شَيْئًا طَ إِنَّ اللَّهَ عَلِيْمٌ قَدِيرٌ -

        আল্লাহ তা'য়ালাই তোমাদের সৃষ্টি করেছেন, অতপর তিনিই তোমাদের মৃত্যু দিবেন। তোমাদের কোনো ব্যক্তি (এমনও হবে যে, সে) বৃদ্ধ বয়সের দুর্বলতম স্তর পর্যন্ত পৌঁছে যাবে, এতে করে (কৈশোরের এবং যৌবনে কোনো বিষয়ে) জানার পর সে (পুনরায়) অজ্ঞ হয়ে যাবে, আল্লাহ তা'য়ালা অবশ্যই সর্বজ্ঞ, (তিনিই) সর্বশক্তিমান। (সূরা আন্ নাহল-৭০)

        এটাই হলো মানুষের প্রকৃত অবস্থা। অথচ এই মানুষকেই আল্লাহ রাব্বুল আলামীন নানা ধরনের বিদ্যায় পারদর্শী করে সৃষ্টি করেছেন। মানুষের জন্য প্রকৌশলী, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, বিজ্ঞানী, স্থপতি, শাসক, শিল্পী, অর্থনীতিবিদ, রাজনীতিবিদ, সেনাপতি, শিক্ষাবিদ, সমরবিদ, নানা ধরনের বিশেষজ্ঞ, সাহিত্যিক তথা যে ধরনের গুণাবলীসম্পন্ন ও যোগ্যতাসম্পন্ন মানুষের প্রয়োজন মহান আল্লাহ তা'য়ালা তা মানব জাতিকে দান করেছেন।

        কিন্তু এসবের তুলনায় মানুষের যেটা বড় প্রয়োজন, তাহলো মানুষের মধ্যে এমন ব্যক্তির জন্ম হতে হবে যিনি মানুষকে মহান আল্লাহর পথ প্রদর্শন করবেন। পৃথিবীর যে কোনো ধরণের বা যে কোনো যোগ্যতা সম্পন্ন মানুষকে তাদের যোগ্যতা যেন আল্লাহ তা'য়ালার দেখানো বা তাঁর পছন্দ অনুযায়ী পথে প্রকাশ হয়, সে পথ দেখানোর জন্য ব্যক্তির প্রয়োজন। পৃথিবীর খ্যাতিমান বিশেষজ্ঞদের কাজ হলো তারা পৃথিবীর ভেতরে কি কি বস্তু আছে এবং কোনটির গুণাবলী, উপকারিতা কি এবং কোনটি কিভাবে ব্যবহার করতে হয়, ব্যবহারে লাভ ক্ষতি কি ইত্যাদী বিষয় সম্পর্কে পৃথিবীর মানুষকে অবগত করা।

        কিন্তু সেই সাথে পৃথিবীর মানুষের জন্য এমন এক ব্যক্তির প্রয়োজন, যিনি এই মানব জাতিকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিবেন, এই পৃথিবীতে মানুষের আগমনের উদ্দেশ্য কি। কেনো তাকে অন্য সৃষ্টি হতে পৃথক করে সৃষ্টি করে পৃথিবীতে প্রেরণ করা হয়েছে। মানুষকে কোন্ শক্তির দাসত্ব করার জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে। মানুষ কার আইন-কানুন মেনে চলবে। যিনি পৃথিবীতে মানুষকে এত কিছু দান করেছেন, সেই দানকারীর ইচ্ছা কি। তিনি মানুষের কাছে কি চান। মানুষের জীবনের প্রকৃত সাফল্য কোন্ পথে আসতে পারে। ইত্যাদী বিষয় সম্পর্কে মানুষকে অবগত করবেন এমন ধরণের একজন ব্যক্তির সবচেয়ে বড় প্রয়োজন।

        মহান আল্লাহ তা'য়ালা মানুষের এই প্রয়োজন কি পূরণ করেছেন? মানুষের শরীর চুলকানের জন্য যে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মানুষের হাতে নখ দান করেছেন, এই নখ দিয়ে মানুষ অসংখ্য প্রয়োজন পূরণ করে, বিভিন্নভাবে উপকৃত হয়। এতটা ক্ষুদ্র বিষয় যিনি উপেক্ষা করেননি, সেই আল্লাহ মানুষের জীবনের সবচেয়ে বড় প্রয়োজনীয় দিক সম্পর্কে কি করে উপেক্ষা করতে পারেন? আল্লাহ তা'য়ালা যেমন প্রতিটি কর্ম এবং জ্ঞানের প্রতিটি শাখার জন্য যোগ্যতা ও গুণাবলীসম্পন্ন মানুষ সৃষ্টি করেছেন, তেমনি এমন মানুষও তিনি সৃষ্টি করেছিলেন যাদের ভেতরে আল্লাহকে চেনা-জানার সবচেয়ে উন্নত যোগ্যতা বিদ্যমান ছিল। আল্লাহ তা'য়ালা বিশেষ ব্যবস্থার মাধ্যমে তাদেরকে জীবন ব্যবস্থা সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান দান করেছিলেন। উন্নত চরিত্রের এবং মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় আইন-কানুন সম্পর্কে জ্ঞান দান করেছিলেন। পৃথিবীর সকল মানুষের শিক্ষক হিসেবে তাদেরকে প্রেরণ করেছিলেন। এই শ্রেণীর মানুষ যারা এসেছিলেন তাঁরাই হলেন নবী-রাসূল।

        পৃথিবীতে মানুষ পরিণত বয়সে যে বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হয়েছে, জন্মগতভাবে বা শৈশবকাল থেকেই তাদের মধ্যে ভিন্ন একটি প্রকৃতি পরিলক্ষিত হয়েছে বা হয়। দশটি শিশুর মধ্যে যে শিশুটি পৃথিবী বিখ্যাত কবি হিসেবে বয়সকালে আত্মপ্রকাশ করবে, সেই শিশুটি আর নয়টি শিশুর থেকে ভিন্ন প্রকৃতি ও অভ্যাস নিয়ে বড় হতে থাকে। নবীদের ক্ষেত্রেও ঠিক এমনি। তাঁরা জন্মগতভাবেই এই পৃথিবীতে ভিন্ন প্রকৃতি ও অভ্যাস নিয়ে আগমন করেন। একজন স্বভাব কবির কবিতা শুনে আমরা অনুভব করতে পারি যে, এই ব্যক্তি কাব্য ক্ষেত্রে বিশেষ যোগ্যতা নিয়ে এই পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করেছেন। অন্য মানুষ চেষ্টা করেও তার মতো একছত্র কবিতা লিখতে পারবে না।

        সুতরাং কোন্ মানুষ বয়সকালে কি ধরনের যোগ্যতাসম্পন্ন হবে শিশুকাল হতেই তার ভেতরে সে যোগ্যতার স্ফুরণ ঘটতে থাকে। তার চলাফেরা, আচার-আচরণ, ব্যবহার কথাবার্তায় মানুষ অনুমান করতে পারে, আজকের এই শিশু বড় হয়ে একদিন বিখ্যাত একজন হবে। তাদের কার্যাবলীর দ্বারা মানুষ সহজেই তাকে চিনে নেয়। কারণ এ সকল মানুষ তাদের কাজের মাধ্যমে এমন অসাধারণ যোগ্যতার প্রমাণ মানব সমাজে পেশ করেন যে, এ সকল কাজ অন্যদের দ্বারা সংঘটিত হবার সম্ভাবনা নেই।

        মহান আল্লাহ যে নবী এবং রাসূল প্রেরণ করেন, তাদের অবস্থাও ঠিক তেমনি। তাদের চিন্তার জগতে এমন সব কথা এবং চিন্তা-চেতনার উদ্ভব হয়, যা অন্য কোনো মানুষের কখনো হয় না। তিনি এমন সব কথা বলেন, অন্য মানুষ সে কথা সম্পর্কে কখনো কল্পনা করেনি। তিনি এমন বিষয় বর্ণনা করেন, যে বিষয় সম্পর্কে পৃথিবীর অন্য মানুষের পক্ষে বর্ণনা করা সম্ভব নয়। তাঁর দৃষ্টি এমন সুক্ষ্ম বিষয়ের ভেতরে সহজেই প্রবেশ করে, যে বিষয় সম্পর্কে বিশেষজ্ঞগণ যুগের পর যুগ ধরে গবেষণা করেও সমাধানে পৌঁছতে পারেননি। সাধারণ মানুষ তাঁর মতো কথা এবং কর্ম করতে ইচ্ছা করলেও পারে না।

        নবীর চরিত্র ও প্রকৃতি এতই পবিত্র এবং পরিচ্ছন্ন যে, তিনি প্রতিটি ব্যাপারেই ভদ্রজনোচিত ও সত্যনিষ্ঠ পদ্ধতি অবলম্বন করেন। তিনি কখনো ভুল কথা বলেন না। দৃষ্টিকটু কোনো কর্ম করেন না। মানুষকে তিনি সব সময় উত্তম কথা ও কর্ম করতে আদেশ দান করেন। তিনি মানুষকে যা করতে আদেশ দান করেন প্রথমে তা নিজে করেন। তিনি মুখে যা বলেন তাঁর কাজের সাথে মিল থাকে। তাঁর কথা ও কাজের মাধ্যমে এ কথা প্রমাণ হয় না যে, তিনি তাঁর ব্যক্তিস্বার্থ উদ্ধার করবেন।

        তিনি অন্যের ভালো করতে গিয়ে নিজের স্বার্থ ত্যাগ করেন। কিন্তু নিজের কোনো স্বার্থ আদায় করতে গিয়ে অন্যের সামান্য ক্ষতি করেন না। তাঁর সমগ্র জীবন প্রস্তুত হয় সত্যতা, ভদ্রতা, মনের পরিচ্ছন্নতা, উত্তম চিন্তা ও উন্নত পর্যায়ের মানবতার আদর্শে। শতকোটি চোখ দিয়ে অনুসন্ধান করলেও নবীর চরিত্রে সামান্যতম দোষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। সুতরাং তিনি যা বলেন, যা করেন মানুষের উচিত তা গ্রহণ করা এবং অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করা। কারণ পৃথিবীর অভিজ্ঞতা, নানা ধরণের পরীক্ষা পর্যবেক্ষণ, সৃষ্টি জগতের প্রত্যক্ষ নিরীক্ষণের মাধ্যমে নবী এবং রাসূলের প্রতিটি কথা ও কর্ম সত্য বলে প্রমাণিত।

        মানুষকে সঠিক পথে পরিচালিত করার জন্য মহান আল্লাহ যাকে দায়িত্ব দান করেছিলেন, আল্লাহর বিধান মানুষের মধ্যে প্রচার করার জন্য আল্লাহ তা'য়ালার পক্ষ হতে যাদেরকে মনোনীত করা হয়েছিলো, তাঁরাই ছিলেন নবী-রাসূল। এই দায়িত্বের অপর নামই হলো নবুয়্যাত বা রিসালাত। এই ধারা মহান আল্লাহ শেষনবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সা:) পর্যন্ত শেষ হয়েছে। কারণ, তাঁর নবুয়্যাত বিশ্বজনীন এবং তিনি হলেন বিশ্বনবী, সকল নবী-রাসূলদের মধ্যে তাঁকেই মহান আল্লাহ সর্বোচ্চ মর্যাদার সোপানে উপনীত করেছেন। এ কারণে তাঁর মর্যাদার সাথে সামঞ্জস্য রেখেই আল্লাহ তা'য়ালার পক্ষ থেকে সমগ্র মানবগোষ্ঠীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে কিয়ামত পর্যন্ত তাঁর আদর্শই সমগ্র পৃথিবীর মানুষকে অনুসরণ করতে হবে। তাঁর অতুলনীয় আদর্শ অনুসরণ ব্যতীত পৃথিবী ও আখিরাতে কোনো মানুষই মুক্তি পাবে না।

Post a Comment

0 Comments