আল্লাহ উদ্ভিদকে কিভাবে সৃষ্টি করেছে

আল্লাহ্ বলেনঃ

        সেই আল্লাহ্ যিনি আকাশমণ্ডলী আর জমিন সৃষ্টি করেছেন এবং তোমাদের জন্য আসমান থেকে পানি বর্ষণ করেন। অতঃপর তদ্‌দ্বারা জঙ্গল সদৃশ বাগিচা সৃষ্টি করেন, যা তোমাদের পক্ষে সম্ভব ছিল না, বলো! আল্লাহ্ ছাড়া আছে কি আর কোনো মা'বুদ? বরং তারা এমন কওম যাহারা সত্য হইতে বিচ্যুত।

(সূরা নমলঃ আয়াত নং ৬০)

        জমিনের প্রতি লক্ষ্য কর, কি শ্যামল সবুজ বাগ-বাগিচা। তাতে মানুষ আর পশু-পাখির জন্য রয়েছে কতো উপকারিতা আর রহস্য। এর উৎপত্তির ব্যবস্থা এভাবে করা হয়েছে যে, এর মূলে রয়েছে বীজ আর দানা। সেই বীজ আর দানার ভিতর উদ্ভিদের অংকুর এভাবে প্রচ্ছন্ন রয়েছে যা দেখে বিস্মিত হতে হয়। এই উদ্ভিদের মধ্যে রয়েছে খাদ্য শস্য আর ফুলের গাছ। আর রয়েছে তরি-তরকারী যা মানুষের নিত্য প্রয়োজন। এই উদ্ভিদের মধ্যে রয়েছে তৃণ আর পশুর আহার, এতে রয়েছে জ্বালানি আর ঘর দরজা তৈরীর কাঠ। জাহাজ আর নৌকা তৈরীর কাঠও পাওয়া যায় এ উদ্ভিদ থেকে; এর উপকারিতা আর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বর্ণনাতীত। সব উদ্ভিদের এক একটি অংশ-ফল-ফুল, শাখা-প্রশাখা, পত্র পল্লব এমনকি এর জড়-শিকড় পর্যন্ত কাজে লাগে। অবশ্যই খোদা কোনো কিছুই বৃথা সৃষ্টি করেন নি। এই উদ্ভিদ দিয়ে পাচন, মোদক আর নানা প্রকার আরক তৈরী হয়। উদ্ভিদ না হলে মানুষ বাঁচতেই পারতো না। ইহা না হলে শস্য-ফসল, জ্বালানি, ঘর-দরজা, ইমারত নৌকা, জাহাজ তৈরীর উপাদান জুটতো না। মোটকথা, মানব সভ্যতাই গড়ে উঠতো কিনা সন্দেহ। আল্লাহর কুদরত দেখ। একটি দানা মাটিতে পুঁতে ফেল আর শত শত দানা তার বিনিময়ে লাভ কর। তার চেয়েও বেশী লাভ করতে পার। এটা আল্লাহর দান আর প্রাচুর্য। এর দ্বারা নিজের উপস্থিত প্রয়োজন মিটাও এবং ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করে রাখ; এ যেন বাদশার ন্যায়। কোন স্থান আবাদ করার জন্য বাসিন্দাদের কিছু শস্য দানা দিয়ে দেয় এবং তা বুনে কেটে তাদের জীবিকা আর প্রয়োজন মিটাতে বলে। আল্লাহ্ও তেমনি তাঁর বান্দাদের প্রতি অনুগ্রহ করেছেন। মানুষকে জমিনে বসবাস করতে দিয়েছেন, উদ্ভিদ সৃষ্টি করেছেন, সেগুলি ক্রমান্বয়ে বাড়ছে, ফল-ফুল দিচ্ছে। বীজ বুনে ফসল জন্মাচ্ছে আবার বুনছে। এই ধারা অব্যাহতভাবে চলছে। এভাবেই উদ্ভিদ জগত টিকে আছে। যদি তা না হতো তবে একবার জন্মেই শেষ হয়ে যেত। এতে রয়েছে আল্লাহর অসীম কুদরত আর হিকমতের নিদর্শন।


        আবার উদ্ভিদের দানাগুলির সৃষ্টির প্রতি লক্ষ্য কর। তার গঠন দেখ। একটি আবরণের মধ্যে কি সুন্দর ও নির্মল ভাবে তা রক্ষিত। দানাভর্তি খোসা বা থলিটি বীজ পরিপক্ক না হওয়া পর্যন্ত সেগুলি সংরক্ষণ করে। যেমন প্রাণীর বাচ্চাদানী, বাচ্চা পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত থলিটি তাকে সযত্নে রক্ষা করে থাকে।

        দানাগুলি বিশেষ ধরনের সিলকার আবরণে আবৃত থাকে, যার শীর্ষদেশে সূচালো আর ধারালো আবরণ থাকে। যেন পাখীর হাত থেকে ভিতরের বীজ রক্ষা করার জন্যই এর সৃষ্টি। আল্লাহর কুদরত লক্ষ্য কর। তিনি উদ্ভিদের দানা পাখী প্রভৃতির হাত থেকে রক্ষা করার কেমনভাবে ব্যবস্থা করেছেন। যদিও এই সকল বীজ পাখীরও আহার, কিন্তু মানুষের প্রয়োজন আগে।

        উদ্ভিদও মানুষ ও পশু-পাখীর ন্যায় খাদ্যের মুখাপেক্ষী। তবে আল্লাহ্ উদ্ভিদকে চলাফেরার শক্তি দান করেন নি, যাতে সে নিজের খাদ্য খুঁজে নিতে পারে। এ কারণে তার শিকড় মাটির ভিতর প্রবেশ করে যাতে সে সর্বক্ষণ মাটি আর পানি লাভ করতে পারে। এভাবে শিকড়গুলি মাটি থেকে রস আহরণ করে শাখা-প্রশাখা ফল-ফুল পর্যন্ত পৌঁছে দেয়। জমিন যেন উদ্ভিদকে প্রতিপালন করার জন্য করুণাময়ী মায়ের স্থলবর্তী। শিকড়গুলি উদ্ভিদের মুখস্বরূপ, সে জমিন থেকে রস চুষে বৃক্ষের সারা দেহে পৌঁছায়, শিশু যেমন মাতৃস্তন্য থেকে দুধ চুষে শক্তি লাভ করে।

        তোমরা তাঁবু খাটাতে নিশ্চয়ই দেখেছ। তার চারদিকে খুঁটি। আর রশি বাঁধা থাকে। যাতে এক দিকে ঝুঁকে না পড়ে আর পুরো তাঁবুটি সোজা থাকে। বৃক্ষের অবস্থাটি তেমনি। তার শিকড় মাটির চারদিকে এমনভাবে ছড়ানো যে, যাতে গাছটি একদিক হেলে ঝুঁকে না পড়ে। এমন না হলে বড়ো বড়ো বৃক্ষগুলি কিভাবে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতো-বিশেষতঃ ঝড়ের প্রবল বাতাসে। এভাবে উদ্ভিদের ফুল রক্ষা করার মধ্যে রয়েছে স্রষ্টার অসীম হিকমত আর কুদরত। মানুষও এই সৃষ্টি থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে নিজের বিগড়ে যাওয়া কাজকে ঠিক করে নিতে পারে। গাছের একটি পাতা লও, তার বিষয় গবেষণা কর। দেখতে পার তাতে চিকন আর মোটা তারের মত রয়েছে। কতক লম্বালম্বি আর কতক আড়া-আড়ি। যেন শিরার জাল বিছানো রয়েছে। মানুষের পক্ষে এমন একটি কাজ করার শক্তি কোথায়? একটি পাতার কারুকার্য তৈরী করতে দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হবে এবং তাও নকল, আসল হবে না। এসব কুদরতেরই কাজ। তার একটি ইশারায় কোটি কোটি 'পাতা-পুষ্পে ফুটে উঠে। এতে নেই কোনো শিল্পীর প্রয়োজন, নেই কোনো হাতিয়ারের দরকার। আর জংগল, পাহাড়, ময়দান-কোথাও এই কারিগরি পূর্ণ পাতার অভাব নেই। আর এই নকশা শুধু পাতার সৌন্দর্যই বাড়ায় না, এটা পাতার বেঁচে থাকার জন্য কাজে লাগে। এই রঙের সাহায্যে পাতা 'রস আহরণ করে। যেমন মানুষ আর অন্যান্য প্রাণীর দেহে শিরা আর উপশিরা এক একটি জাল বিছানো রয়েছে। তা দেহের সর্বত্র খাদ্য পৌঁছাতে কাজে আসে।

        পাতার মধ্যে যে মোটা শিরাগুলি পাতাটিকে ঘিরে রাখে, তাতে পাতাটি নিজ গঠনে টিকে থাকে। নতুবা নরম আর হালকা হওয়ার কারণে পাতাটি বায়ু ঝাপ্টার টুকরো টুকরো হয়ে যেত।

        এবার ফলের বিচি আর তার সৃষ্টিনৈপুণ্যের প্রতি লক্ষ্য কর। বিচিটি ফলের ভিতরে সংরক্ষিত থাকে। যদি কোন নৈসর্গিক আপদ বিপদে বৃক্ষটি নষ্ট হয়ে যায় তবে বিচিটিই গাছের স্থলবর্তী হয়। নতুন করে গাছটি লাগানো আর জন্মানোর ব্যবস্থা হয়। এই দিক থেকে হিসাব করলে ফলের বিচিটি ভারী মূল্যবান আর রক্ষণযোগ্য। যদিও বিচিটি প্রায়ই শক্ত হয়ে থাকে, তথাপি নরম ফলের মধ্যেও তা এঁটে সেঁটে থাকে। যদি তা না হতো তবে ফল পাকার আগেই তা নষ্ট হয়ে ফল নষ্ট করে দিত। কোনো ফলের বিচি উত্তম খাদ্য। কোনটি হতে তৈল বের করা হয়। আর তা খাদ্য ও অন্যান্য কাজে ব্যবহৃত হয়। এতে রয়েছে অনেক স্বাদ আর উপকারিতা। এতে রয়েছে সৃষ্টিকর্তার অসীম নৈপুণ্যের পরিচয়।

        এই বিচির মধ্যে যে প্রকৃতি আর গুণাগুণ আল্লাহ্ নিহিত রেখেছেন, যেমন মানুষের বীর্যতে মানব সৃষ্টির রহস্য নিহিত রয়েছে। এসব রহস্য আর হিকমত জানেন সেই আল্লাহ্, যিনি তা সৃষ্টি করেছেন।

        বিচির উপর একটা শক্ত আবরণ সৃষ্টি করার মধ্যে রয়েছে স্রষ্টার কৌশল আর নৈপুণ্য। কেননা বিচিটি কোথাও পড়ে গিয়ে সেই আবরণের খাতিরে নষ্ট হতে পারে না। যদি তা রেখে দেওয়া হয় তবুও তা নষ্ট হয়ে যায় না। বরং সেই আবরণ বা খোসার ফলে বিচিটি কিছুদিন টিকে থাকে। খোসাটি যেন একটি বাক্স যাতে মূলবান সামগ্রী রক্ষিত থাকে।

        বিচি যখন জমিনে বপন করা হয় আর পানি সেচ করা হয় তখন তা ফেটে অংকুর বের হয়, কাণ্ডও গজায়। যতই এটি বাড়তে থাকে ততই মাটির শিকড় ছাড়তে থাকে। এর ফলে গাছটি মাটির উপর টিকে যায়। তার এই শিকড়ের সাহায্যে বৃক্ষটি মাটি থেকে রস আহরণ করে। এভাবে মাটির রস গাছের শাখায়, প্রশাখায়, পাতায় ও ফুলে গিয়ে পৌঁছে। আর এটা বন্টন হয় খুব পরিমিত পরিমাণে। এতে লাভ করে সবাই প্রয়োজনীয় খাদ্য, যার জন্য যতটা খাদ্য প্রয়োজন আল্লাহ্ তাকে ততটুকুই পৌঁছাচ্ছেন। মাটির এ রস থেকে ফুলে আসে রং খুশবু, ফলে স্বাদ, মিষ্টতা এসবই আল্লাহর সৃষ্টির নৈপুণ্যে নিয়মিত বিধানেই পূর্ণতা লাভ করে।

        ফল জন্মাবার পূর্বে শাখায় পাতা জন্মে। নতুন কোমল ফলগুলি রক্ষার জন্য পাতায় সাহায্যের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকে। যাতে প্রবল বাতাসে আর সূর্যের প্রখর তাপ থেকে কচি ফলগুলির রক্ষা পায়। গরম আর ঠাণ্ডা থেকে পাতার সাহায্যে ফলগুলি রক্ষা পায়। আবার শৈত্য, উষ্ণতা, বাতাস, রোদ সবই পাতা থেকে ফুলে পৌঁছে আর ফল পাকতে সাহায্য করে। ফলের পুষ্টি আর পরিপক্কতার জন্যও সব প্রয়োজন আর ফলগুলি পরে গেলে নষ্ট হওয়া থেকেও এসব প্রাকৃতিক জিনিসের প্রয়োজন।

        দেখ; আল্লাহ্ বৃক্ষ, ফল আর ফুল কি চমৎকারভাবে বিন্যাস করেছেন। এদের ভিন্ন ভিন্ন রং, রকমারি গঠন আর আকৃতি, নানা প্রকার স্বাদ আর বিভিন্ন রকমের সুগন্ধ রয়েছে। কোনটা বড়, কোনটা ছোট, কোনটা মধ্যমাকৃতির, কোটা লাল, কোনটা সবুজ, কোনটা বা সাদা, কোনটা বা গাঢ় সবুজ আর কোনটা হালকা, কোনটা মাঝামাঝি। এই বিভিন্নতার হিসাবে এগুলির স্বাদ মিঠা, কটা আবার কোনটা তিক্ত। আবার এগুলির ঘ্রাণ মধুর আর প্রাণ মাতানো। প্রতিটি ফল ও ফুলের গন্ধ আর ঘ্রাণ ভিন্ন ভিন্ন। এর বিস্তারিত বিবরণ পূর্বে লিখেছি, যাতে একজন জ্ঞানী ব্যক্তির দৃষ্টি প্রসারিত হতে পারে। আর আল্লাহর কুদরতের প্রতি দৃঢ় আস্থা আসতে পারে। আর এসব দেখে শুনে অন্তরে অপার আনন্দ সৃষ্টি হয়। আল্লাহর সৃষ্ট উদ্ভিদরাজির শ্যামল সবুজ রূপ দেখে প্রাণ সজীব হয়ে উঠে আর এর ভিতরে যে রহস্য ও উপকারিতা নিহিত রয়েছে, তা গণনা করার সাধ্য কারো নেই। উদ্ভিদের ভিতর রয়েছে জীবনের উপাদান আর খাদ্যে এমন স্বাদ আর যুগ্ম যা মনকে উৎফুল্ল করে তোলে। উদ্ভিদের বিচি শুষ্ক হলে তা আবার বপন করা হয়। আর ফলে রেখেছেন আল্লাহ্ অপূর্ব স্বাদ আর উপকারিতা।

        আল্লাহ্ বলেনঃ

وَ شَجَرَةً تَخْرُجُ مِنْ طُورِ سَيْنَاءَ تَنْبُتُ بِالدُّ هُنِ وَصِبْغ را يلا كلين .

        সে পানি দ্বারা আমি যয়তুন বৃক্ষ সৃষ্টি করেছি যা সিনাই পাহাড়ে প্রচুর পাওয়া যায়, যা তেলসহ জন্মে আর আহরণকারীদের জন্য বাঞ্জন।

(সূরা মোমেনুন আয়াত নং ২০)

        আল্লাহ্ পাথর আর পাথরের মধ্যে পরিশুদ্ধ সুস্বাদু যয়তুন তেল সৃষ্টি করেছেন। যেমন আল্লাহ্ গোবর আর ময়লার ভিতর পয়দা করেন সাদা পুষ্টিকর দুধ। আর মৌমাছির দ্বারা উৎপন্ন করান মধু যার রং বিভিন্ন হয়ে থাকে আর তাতে অপূর্ব স্বাদ ছাড়াও রয়েছে বহু রোগের প্রতিকার।

        শিকড়ের সাহায্যে গাছের উঁচু শাখা পর্যন্ত পানি আর রস পৌঁছে-কুদরতের কি বিস্ময়কর ব্যাপার। আবার বৃক্ষের শাখা-প্রশাখায়, ফলে-ফুলে যেখানে যে পরিমাণে খাদ্য প্রয়োজন সেখানে সে পরিমাণে তাহাও পৌঁছে যায়। গাছের যে ডালে আনার রয়েছে তৎপ্রতি লক্ষ্য কর, যতদিন আনারটি পরিপক্ক না হয় ততদিন শাখা ফলটিকে ধরে রাখবে।

        খেজুরের পুরুষ আর স্ত্রী জাতীয় বৃক্ষ রয়েছে। যেখানে দুই জাতীয় গাছ নেই সেখানে ফল জন্মাবে না। এটা আল্লাহর কুদরতের এক লীলা যে, তিনি প্রাণী জগতের ন্যায় উদ্ভিদ জগতেও স্ত্রী আর পুরুষ জাতীয় বৃক্ষ তৈরী করেছেন, যাতে আল্লাহ্ কুদরত আরো প্রকাশ পায়। এই উদ্ভিদের মধ্যে রয়েছে লতা-গুল্ম এবং তাতে রয়েছে অসীম উপকারিতা। এগুলির গুণাগুণ আর কার্যকারিতার প্রতি লক্ষ্য করলে আল্লাহ্র কুদরত দেখা যায়। প্রকাশ্যতঃ মনে হয় এগুলি বন জংগলের ঘাস-পাতা। যে পরিমাণ অংশ দরকার তা ঠিকভাবে সরবরাহ হয়।

        খেজুর (খুরমা) দেখ! প্রথমে সেগুলি খুবই নাজুক থাকে। সেগুলি পরস্পর একটি ছড়ায় জড়িত থাকায় সংরক্ষিত থাকে। তার উপর একটি খোসা সৃষ্টি হয়। যখন খেজুর পরিপক্ক হয় তখন খোসা ফেটে যায়। এটাই হচ্ছে কুদরতের বিধান।

        আনার দেখ! বিস্ময়কর কৌশলে দানাগুলি ভিন্ন ভিন্ন ভাগে বিভক্ত। এর উপর হালকা পর্দার আবরণ রয়েছে। একটি পুরু অথচ নরম আবরণের মধ্যে দানাগুলি স্তরে স্তরে রক্ষিত, যাতে সবগুলি দানা একত্রে থেকে পরিপক্ক হতে পারে। আল্লাহ্ মানুষের উপকারের জন্যই এগুলির সৃষ্টি করেছেন। এটা একাধারে খাদ্য আবার রোগীর পথ্যও। আবার এগুলি সংরক্ষিত করে রাখার উপযোগী অমুল্য ঔষধের সমষ্টি। কোনটা জুলাপ, কোনটা পিত্তরোধক, কোনটা বায়ুনাশক, কোনটা শান্তিদায়ক, কোনটা পাচক, কোনটা বা রোধক, কোনটা বা ভেদক, দেখ! আল্লাহ্ এদের মধ্যে কত রহস্য নিহিত রেখেছেন। এ সবই মানুষের উপকারের জন্য।

Post a Comment

0 Comments