মক্কায় যারা ইসলাম বিরোধী নেতা হিসাবে পরিচিত ছিল, তাদের অধিকাংশ নেতৃবৃন্দই বদরের প্রান্তরে নিহত হয়েছিল। যুদ্ধ শুরুর পূর্বে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কয়েকজন সাহাবায়ে কেরামকে প্রেরণ করেছিলেন, কুরাইশ সৈন্য সংখ্যা এবং কোন কোন নেতা যুদ্ধে এসেছে, তাদের সংবাদ সংগ্রহ করার জন্য। তাঁরা অনুসন্ধান করে এসে আল্লাহর নবীকে জানানোর পতে তিনি সাহাবায়ে কেরামকে লক্ষ্য করে বলেছিলেন, 'মক্কা তার কলিজার টুকরাগুলোকে তোমাদের সামনে প্রেরণ করেছে।' এরা প্রায় সবাই নিহত হয়েছিল।
বদর যুদ্ধের ব্যাপারে ইউরোপের গবেষকরা শুধু বিস্ময়ই প্রকাশ করেন, প্রকৃত সত্যের দিকে তাদের ভোগবাদী দৃষ্টি নিপতিত হয় না। অর্থবল নেই, জনবল নেই, যুদ্ধের রসদ নেই, তেমন কোন প্রস্তুতি নেই, সৈন্য সংখ্যা সামান্য, সৈন্যদের হাতে পর্যাপ্ত অস্ত্র নেই, যুদ্ধ সম্পর্কে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কোন পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই, মক্কার কুরাইশদের ছিল তিনগুন বেশী সৈন্য, তাদের একশত অশ্বারোহী বাহিনী ছিল, প্রচুর উট ছিল, তাদের সাথে ছিল বড়বড় ধনী ব্যক্তি, তারা প্রচুর রসদ পত্র যোগান দিয়েছিল। মুসলমানদের অশ্ব ছিল মাত্র দুটো। কুরাইশরা প্রায় সবাই ছিল লৌহ বর্মে অচ্ছাদিত। মুসলমানদের তেমন কোন বর্ম ছিল না।
সুতরাং কিভাবে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বদর যুদ্ধে বিজয়ী হলেন, এটা ইউরোপের গবেষকদের কাছে বিস্ময়ের বিষয়। অথচ মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেছেন, কিভাবে তিনি বদরের প্রান্তরে ইসলামের বাহিনীকে সাহায্য করেছেন। নাস্তিক্যবাদ আর বস্তুবাদী দৃষ্টিতে বিচার করলে বিস্ময়ই শুধু জাগবে, আল্লাহর সাহায্য কিভাবে এসেছিল তা দেখা যাবে না। যুদ্ধে যাত্রা করার সময় থেকেই নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মহান আল্লাহর কাছে বারবার আকুল আবেদন করছিলেন, আজ যদি তুমি সাহায্য না করো তাহলে তোমার এই যমীনে তোমার দাসত্ব করার মত একটি লোকও অবশিষ্ট থাকবে না।
তাঁর দোয়া আল্লাহ কবুল করলেন। একদিকে ফেরেশতা প্রেরণ করলেন। ইসলামের শত্রুদের দৃষ্টিতে মুসলিম বাহিনীর সংখ্যা তাদের তুলনায় কয়েক গুন বৃদ্ধি করে দিলেন। তারা যখন মুসলিম বাহিনীর দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করতো, তখন তাদের কাছে মনে হত, মুসলিম বাহিনীর সংখ্যা কয়েক হাজার। এই বাহিনীর দিকে তাকালে তাদের বুকের ভেতর কেঁপে উঠতো। তারা ভীত বিহ্বল হয়ে পড়তো।
তারা অবস্থান গ্রহণ করেছিল এমন এক স্থানে, সামরিক দিক দিয়ে সে স্থানের গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। মুসলমানদের অবস্থান ছিল বিপদজনক। তাদের পা বালুর ভেতরে ধ্বসে যাচ্ছিল। আল্লাহ সাহায্য হিসাবে বৃষ্টি বর্ষণ করলেন। কুরাইশদের পায়ের নীচে কাদা হয়ে গেল। এ কারণে তাদের উট আর ঘোড়া এবং স্বয়ং তারা চলতে ফিরতে পারছিল না। আর মুসলমানদের পায়ের নীচে বালু জমে শক্ত হয়ে গিয়েছিল। ফলে মুসলমানদের চলা ফেরা হয়ে পড়েছিল আরামদায়ক।
প্রথম থেকেই তাদের ভেতরে মতানৈক্য দেখা দিয়েছিল। স্বয়ং সেনাপতি ওৎবা যুদ্ধ করতে ইচ্ছুক ছিল না। অনেকে যুদ্ধ না করে ফেরৎ গিয়েছিল। তাদের নিজেদের বিশৃংখলার কারণেই তাদের ভেতর মানসিক শান্তি ছিল না। ফলে যুদ্ধের পূর্ব রাতে তাদের কারোই ভালো ঘুম হয়নি। মুসলিম বাহিনী রাতে ছিল ঘুমে বিভোর। এ কারণে যুদ্ধের ময়দানে মুসলমানদের শরীরকে আল্লাহ সতেজ রেখেছিলেন। এভাইে মহান আল্লাহ তাঁর নবীকে সাহায্য করেছিলেন।
যুদ্ধ অবসানে দেখা গেল, মুসলমানদের পক্ষে শাহাদাতবরণ করেছেন মাত্র ১৪ জন। মক্কা থেকে হিজরতকারী মুসলমান অর্থাৎ মোহাজের ৬ জন এবং মদীনার আনসার ৮ জন। আর কুরাইশদের বিখ্যাত যোদ্ধা এবং বড়বড় বীরগণ প্রথমেই ধরাশায়ী হয়েছিল। তারা একে একে কাটা কলা গাছের মতই ধূলি শয্যা গ্রহণ করেছিল। মক্কার কুরাইশরা যাদের নিয়ে গর্ব অহংকার করতো, তারা সবাই নিহত হবার পরে তাদের মানসিক শক্তি আর কিছুই অবশিষ্ট ছিল না।
তাদের প্রায় ৭০ জন নিহত হয়েছিল এবং ৭০ জন বন্দী হয়েছিল। এই বন্দীদের মধ্যে অধিকাংশ ছিল হিজরতকারী মুসলমানদের ঘনিষ্ঠ আত্মীয় স্বজন। স্বয়ং আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মেয়ের স্বামী ও তাঁর চাচা আব্বাস। আপন চাচাত ভাই আকিল। তিনি হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু তা'য়ালা আনহুর বড় ভাই এবং আবু তালিবের সন্তান। বন্দীদের মাঝে আরেকজন ছিল, তার নাম হলো সুহাইল ইবনে আমর। এই লোকটি ছিল উঁচু স্তরের বাগ্মী এবং কবি। সে জনসমাবেশ আহ্বান করে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিরুদ্ধে নানা ধরণের বাজে কথা বলতো। হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু তা'য়ালা আনহু তাকে দেখে প্রচন্ড রেগে গেলেন। তিনি বললেন, 'হে আল্লাহর রাসূল! ঐ লোকটির নীচের মাড়ির দাঁত উপড়ে ফেলা হোক, যেন তার জিহ্বা বের হয়ে আসে এবং সে ভালোভাবে কথা বলতে না পারে।'
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জবাব দিলেন, 'আমি নবী, আমি নবী হয়ে যদি কারো চেহারা বিকৃত করে দিই, তাহলে আল্লাহ আমার চেহারা বিকৃত করে দিবেন।'
ক্ষমার কি অপূর্ব দৃষ্টান্ত! পরম শত্রুকে হাতের মুঠোয় পেয়েও নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে কিছুই বললেন না। 'আমার বিরুদ্ধে তুমি কেন কুৎসা ছড়াতে' সামান্য এই কথাটিও তিনি জিজ্ঞাসা করলেন না। ইসলাম শক্তি প্রয়োগ করে তরবারীর জোরে আসেনি, ইসলাম এসেছে তার অনুপম আদর্শ দিয়ে, নিজের আপন বৈশিষ্টের কারণে।
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবায়ে কেরামকে নিয়ে যুদ্ধবন্দীদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য বসলেন। হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু তা'য়ালা আনহু ছিলেন ইসলামী নীতিমালার ব্যাপারে অত্যন্ত কঠোর। তিনি ন্যায়ের খাতিরে সামান্যতম অনুকম্পা প্রদর্শন করতেন না। তিনি পরামর্শ দিলেন, 'সবাইকে হত্যা করা হোক। যার যে আত্মীয় সে তাকেই হত্যা করবে।'
হযরত আবু বকর রাদিয়াল্লাহু তা'য়ালা আনহু পরামর্শ দিলেন, 'বন্দীদের সবাই আমাদেরই আত্মীয়-স্বজন। সুতরাং তাদের কাছ থেকে মুক্তিপণ গ্রহণ করে মুক্তি দেয়া হোক।' তারপর নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবায়ে কেরামের মধ্যে যুদ্ধবন্দীদের ভাগ করে দিয়ে বললেন, 'এদের সাথে মমতাপূর্ণ ব্যবহার করবে। তাদেরকে আরামের সাথে রাখবে।'
আল্লাহর নবী হযরত আবু বকরের মতামত গ্রহণ করলেন। বন্দীদের কাছ থেকে এক হাজার দিনার থেকে চার হাজার দিনার পর্যন্ত গ্রহণ করে মুক্তি দেয়া হলো। যারা মুক্তিপণ দিতে অপারগ ছিল, তাদেরকে এমনিতেই মুক্তি দেয়া হয়েছিল। এই ধরণের অপারগ ব্যক্তিদের মধ্যে যারা লেখাপড়া জানতো, তাদেরকে শর্ত দেয়া হয়েছিল, তারা দশজন মুসলমানকে লেখাপড়া শিখাবে তারপর তারা মুক্তি পাবে। হযরত যায়েদ ইবনে সাবিত রাদিয়াল্লাহু তা'য়ালা আনহু বদরের যুদ্ধবন্দীদের কাছ থেকেই লেখাপড়া শিখেছিলেন।
প্রথমে সমস্ত বন্দীদের এনে বেঁধে রাখা হয়েছিল। রাসূলের চাচা বা আত্মীয় বলে কারো প্রতি স্বজন প্রীতি দেখানো হয়নি। রাসূলের চাচা বাঁধনের কারণে যন্ত্রণায় বোধ হয় মাঝে মাঝে কাতর শব্দ করছিলেন। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চাচার সে কষ্ট কাতর ধ্বনি শুনে রাতে ঘুমাতে পারলেন না। চাচার জন্য মনটা তাঁর ব্যথা কাতর হয়ে উঠলো। সাহাবায়ে কেরাম তাঁর মনের অবস্থা অনুভব করে হযরত আব্বাসের বাঁধন শিথিল করে দিয়েছিলেন।
যুদ্ধ বন্দীদের সাথে যে অপূর্ব ব্যবহার করেছিল মুসলমানগণ, ইতিহাসে তার কোন দৃষ্টান্ত নেই। বন্দীদের মধ্যে হযরত মুসআব ইবনে ওমায়ের রাদিয়াল্লাহু তা'য়ালা আনহুর আপন ভাই আবু আজীজও ছিলেন। তার দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল এক আনসারীর ওপর। তিনি বলেন, 'আমাকে যে আনসারের তত্বাবধানে দেয়া হয়েছিল, তার ব্যবহারে আমি নিজেই লজ্জিত হতাম। তিনি নিজে না খেয়ে আমাকে খাওয়াতেন। তিনি নিজে খেজুর খেতেন আর আমাকে রুটি খাওয়াতেন। আমি তাঁর হাতে রুটি দিলে তা তিনি আমাকে ফেরৎ দিতেন। কারণ নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নির্দেশ দিয়েছিলেন, বন্দীদের সাথে ভালো ব্যবহার করার জন্য।'
আল্লাহর নবীর চাচার ব্যাপারে মদীনার আনসাররা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে-নিবেদন করলেন, 'হে আল্লাহর রাসূল। আপনার চাচার মুক্তিপণ আমরা ত্যাগ করছি। আমরা এমনিতেই তাকে মুক্তি দিতে ইচ্ছুক।'
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের কথায় রাজী হননি। অন্যান্য বন্দীদের ব্যাপারে যে সিদ্ধান্ত ছিল, নবীর চাচা হবার কারণে হযরত আব্বাসের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হলো না। আল্লাহর নবীর আইন সবার জন্যই ছিল সমান। তাঁর কাছে থেকেও মুক্তিপণ আদায় করে তবেই তাঁকে ছাড়া হয়েছিল। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মেয়ের স্বামী অর্থাৎ নবীর জামাই আবুল আসকেও মুক্তিপণ ব্যতীত মুক্তি দেয়া হয়নি। তাঁর কাছে সে সময় মুক্তিপণের অর্থ ছিল না। তিনি মক্কায় সংবাদ দিয়ে মুক্তিপণ নিয়ে আসার ব্যবস্থা করলেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মেয়ে যয়নাব তখন মক্কায়। তিনি তাঁর স্বামীর জন্য মুক্তিপণের যে সম্পদ প্রেরণ করেছিলেন, তার মধ্যে হযরত খাদিজা রাদিয়াল্লাহু তা'য়ালা আনহার গলার হার ছিল। তিনি মেয়ের বিয়ের সময় তাঁকে উপহার দিয়েছিলেন। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেই হার দেখে চিনতে পারলেন। এই হার তাঁর দুঃখের দিনের জীবন সঙ্গিনী হযরত খাদিজা রাদিয়াল্লাহু তা'য়ালা আনহার।
আল্লাহর নবী তাঁর প্রিয় স্ত্রীর কথা স্মরণ করলেন। ইসলামের জন্য খাদিজা রাদিয়াল্লাহু তা'য়ালা আনহা কি ত্যাগই না স্বীকার করেছেন। গোটা মক্কার সম্পদশালী নারী, ইসলামের জন্য শিয়াবে আবু তালিবে দিনের পর দিন না খেয়ে থেকেছেন। সমস্ত কথাই নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মনে পড়লো। তিনি চোখের পানি ধরে রাখতে পারলেন না। আজ খাদিজা তাঁর সামনে নেই, খাদিজার ব্যবহার করা কণ্ঠহার তাঁর সামনে। শত সহস্র স্মৃতি নবীর বুকের ভেতরটা নাড়া দিয়ে গেল। অদম্য অশ্রুধারা বিশ্বনবীর দু'চোখ থেকে ঝরতে থাকলো।
আল্লাহর নবী তাঁর সাহাবায়ে কেরামের কাছে আবেদন করলেন, 'যদি তোমাদের মনে চায় তাহলে যয়নাবের মায়ের এই স্মৃতি তাঁর কাছেই ফেরৎ পাঠিয়ে দাও।' সাহাবায়ে কেরাম সন্তুষ্ট চিত্তে হযরত খাদিজা রাদিয়াল্লাহু তা'য়ালা আনহার সেই হার তাঁরই মেয়ে হযরত যয়নাবের কাছে ফেরৎ পাঠালেন। আবুল আস মুক্তি লাভ করে মক্কায় এসে হযরত যয়নাব রাদিয়াল্লাহু তা'য়ালা আনহাকে মদীনায় নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে প্রেরণ করেছিলেন। আবুল আস ছিলেন মক্কার বিখ্যাত ব্যবসায়ী। বিভিন্ন ব্যক্তি তাঁর কাছে অর্থ দিত সিরিয়া থেকে মালামাল নিয়ে আসার জন্য।
একবার তিনি সিরিয়া থেকে নিজের এবং অন্যান্য লোকদের মালামাল নিয়ে আসার পথে মুসলিম বাহিনীর মুখোমুখি হলেন। তিনি কোন রকমে রাতের অন্ধকারে পালিয়ে মদীনায় নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মেয়ে হযরত যয়নাবের শরণাপন্ন হলেন। হযরত যয়নাব তাকে আশ্রয় দিলেন। তিনি তাঁর স্ত্রী হযরত যয়নাবের কাছে তাঁর মালামাল ফেরৎ পাবার ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ করলেন।
তাঁর ব্যাপারে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন পর্যন্ত কিছুই জানতেন না। আল্লাহর নবী ফজরের নামাযে মসজিদে আগমন করলেন। নামায আদায় শেষ হলে নারীদের স্থান থেকে হযরত যয়নাব রাদিয়াল্লাহু তা'য়ালা আনহা ঘোষনা করলেন, 'উপস্থিত জনমন্ডলী! আমি আবুল আস ইবনে রাবীকে আশ্রয় দিয়েছি।' নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবায়ে কেরামের দিকে তাকিয়ে বললেন, 'আমি যে কথা শুনলাম তোমরা কি তা শুনতে পেয়েছো?'
0 Comments