কোরআনের আংশিক অনুসরণ করা যাবে কি ?

        আল্লাহর দেয়া জীবন বিধান হিসাবে কোরআনের ওপরে ঈমান আনার অর্থ হলো, কোরআন পরিবেশিত বিধি-বিধান জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে নিষ্ঠার সাথে অনুসরণ করা। কারণ কোরআনই হলো একমাত্র নির্ভুল জীবন ব্যবস্থা। কোরআনের বিধান কিছুটা অনুসরণ করা হবে আর কিছুটা অনুসরণ করা হবে না, অর্থাৎ কোরআনের বিধান খন্ডিতভাবে অনুসরণ করা হবে, তাহলে মুমিন হওয়া যাবে না।

        নামায, রোজা, হজ্জ, যাকাত, তাসবীহ-তাহলীল, জানাযা, দাফন-কাফন ইত্যাদির ক্ষেত্রে কোরআনের বিধান অনুসরণ করা হবে আর জীবনের বিস্তীর্ণ অঙ্গন-রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষানীতি, যুদ্ধনীতি, শ্রমনীতি, পরিবার পরিচালনায়, সমাজ পরিচালনায়, বিচার কার্য পরিচালনায়, রাষ্ট্র পরিচালনায় কোরআনের বিধান ত্যাগ করে পৃথিবীর দার্শনিক-চিন্তাবিদ কর্তৃক রচিত মতবাদ-মতাদর্শ বা বিধি-বিধান অনুসরণ করলে কোনক্রমেই নিজেকে মুসলমান বলে পরিচয় দেয়া যাবে না।

        কোরআনের বিধান জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই বাস্তবায়িত করতে হবে। জীবনের সমগ্র ক্ষেত্রে রাসূলের নেতৃত্ব গ্রহণ করে কোরআনের বিধান অনুসরণ করতে হবে। কোরআন এ জন্য অবতীর্ণ হয়নি যে, তার কিছু নীতিমালা মানুষ অনুসরণ করবে আর অবশিষ্ট বিধি-বিধান শুধু . সুমধুর স্বরে তেলাওয়াত করা হবে তা ব্যক্তি জীবন থেকে শুরু করে পারিবারিক জীবন, সমাজ জীবন, রাষ্ট্রীয় জীবন ও আন্তর্জাতিক জীবনে অনুসরণ করা হবে না। মহান আল্লাহ বলেন-

أَفَتُؤْمِنُونَ بِبَعْضِ الْكِتٰبِ وَتَكْفُرُونَ بِبَعْضٍ فَمَا جَزَاءُ مَنْ يَفْعَلُ ذلِكَ مِنْكُمْ إِلا خِزْيٌ فِي الْحَيَوةِ الدُّنْيَا وَيَوْمَ الْقِيَمَةِ يُرَدُّونَ إِلَى أَشَدا لعَذَابِ - وَمَا اللهُ بِغَافِلٍ عَمَّا تَعْمَلُونَ - أُولَئِكَ الَّذِينَ اشْتَرَوُا الْحَيَوةَ الدُّنْيَا بِالْآخِرَةِ فَلَا يُخَفِّفُ عَنْهُمُ الْعَذَابُ وَلَاهُمْ يُنْصَرُونَ

        তবে তোমরা কি আল্লাহর কিতাবের একাংশ বিশ্বাস করো এবং অপর অংশকে অবিশ্বাস করো? জেনে রেখো, তোমাদের মধ্যে যারাই এধরনের আচরণ করবে তাদের এ ছাড়া আর কি শাস্তি হতে পারে যে, তারা পৃথিবীর জীবনে অপমানিত ও লাঞ্ছিত হতে থাকবে এবং পরকালে তাদেরকে কঠিনতম শাস্তির দিকে নিক্ষেপ করা হবে। তোমরা যা কিছু করছো, আল্লাহ সে সম্পর্কে মোটেও বেখবর নন। প্রকৃতপক্ষে এসব লোকেরা নিজেদের পরকাল বিক্রি করে পৃথিবীর জীবন ক্রয় করে নিয়েছে। সুতরাং, তাদের জন্য নির্দিষ্ট শাস্তি কিছুমাত্র হ্রাস করা হবে না এবং এরা নিজেরাও কোন সাহায্য পাবে না। 

(সূরা বাকারা-৮৫-৮৬)

        মুসলমানদের জীবন দুই ভাগে ভাগ করার কোন অবকাশ নেই। এক ভাগে থাকবে রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজনীতি, শিক্ষানীতি আর আরেক ভাগে থাকবে ধর্ম, এ বিভক্ত জীবন মুসলমানের হতে পারে না। আল্লাহর কোরআনের পূর্ণাঙ্গ বিধান অনুসরণ করতে হবে। ধর্মনিরপেক্ষ আদর্শ অনুসারে জীবন-যাপন করা যাবে না। যারা ধর্মনিরপেক্ষ আদর্শ অনুসরণ করবে, এ পৃথিবীতে তারা গোলামীর জীবন গ্রহণ করতে বাধ্য হবে। আর গোলামীর জীবন হয় অপমান ও লাঞ্ছনামূলক জীবন।

        বর্তমান পৃথিবীতে মুসলমানরা ঘৃণা ও লাঞ্ছনার জীবন অতিবাহিত করছে, এর একমাত্র কারণ হলো, এরা কোরআনের বিধি-বিধান আংশিক অনুসরণ করে। পৃথিবীতেও এরা লাঞ্ছিত হচ্ছে, কিয়ামতের ময়দানেও এরা কঠিন শাস্তি ভোগ করবে। মুসলিম বিশ্বে যারা এই ধর্মনিরপেক্ষ নীতি অবলম্বন করছে, তারা যে অমুসলিম শক্তির পক্ষে কাজ করছে এবং এ কাজের বিনিময়ে বৈষয়িক স্বার্থ উদ্ধার করে থাকে এতে কোন সন্দেহ নেই। আল্লাহর কোরআনের পূর্ণাঙ্গ বিধান মেনে নিলে পৃথিবীতে ভোগবাদী জীবন ধারা অনুসরণ করা যাবে না, এ জন্যই তারা দুনিয়ার জীবনের মোকাবেলায় আখিরাতের জীবন বিক্রি করে দিয়েছে।

        এই ধর্মনিরপেক্ষ নীতির অনুসারীদের জন্য আদালতে আখিরাতে কঠিন শাস্তি প্রস্তুত রয়েছে। সুতরাং, একমাত্র কোরআনের বিধানই অনুসরণ করতে হবে, এ ব্যাপারে কোন আপোস করা যাবে না। আল্লাহ তা'য়ালা সূরা আ'রাফের ৩ নম্বর আয়াতে বলেন-

اتَّبِعُ مَا أُنْزِلَ إِلَيْكُمْ مِّنْ رَّبِّكُمْ وَلَا تَتَّبِعُوا مِنْ دُونِهِ أَوْلِيَاءَ 

        হে মানুষ! তোমাদের রব্ব-এর পক্ষ থেকে তোমাদের প্রতি যা কিছু অবতীর্ণ করা হয়েছে, তাই অনুসরণ করো এবং তাঁকে বাদ দিয়ে অপরাপর পৃষ্ঠপোষকদের অনুসরণ ও অনুগমন করো না। 

(সূরা আ'রাফ-৩)

        পবিত্র কোরআনে সূরা বাকারায় বলা হয়েছে, তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ করো। আল্লাহ তা'য়ালা বলেন-

يَأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا ادْخُلُوا فِي السَّلْمِ كَافَّةً

        হে ঈমানদারগণ! তোমরা পরিপূর্ণরূপে ইসলামে প্রবেশ করো। (সূরা বাকারা-২০৬) উল্লেখিত আয়াতে 'ইসলামে প্রবেশ করো' বলতে বুঝানো হয়েছে, পরিপূর্ণভাবে কোরআনের বিধান অনসরণ করা। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন-

يَأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوْ أَطِيعُوا اللَّهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ -

        হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করো। (সূরা নেছা)

         এ আনুগত্য শুধু নামায-রোযার নয়, বরং তা জীবনের সকল ক্ষেত্রে। পৃথিবীতে নবী ও রাসূলদের আগমনের উদ্দেশ্যই ছিল সমাজ ও রাষ্ট্রের সকল স্তরে আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠা করা। এ উদ্দেশ্য পূরণের লক্ষ্যে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে রাজীনিত করেছেন। তাছাড়া সকল নবী-রাসূলগণ ও সাহাবায়ে কেরাম রাদিয়াল্লাহু তা'য়ালা আনহু রাজনীতি করেছেন। তাঁরা কেউ-ই ধর্মনিরপেক্ষ ছিলেন না। সুতরাং ইসলাম মানুষের জীবনের কোন খন্ডিত অংশকে নিয়ন্ত্রণ করে না বরং জীবনের সকল দিক ও বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করে।

        খন্ডিতভাবে রাসূলের নেতৃত্ব গ্রহণ করা এবং কোরআনের বিধান অনুসরণ করার কোন অবকাশ কোরআন দেয়নি। কোরআন তথা রাসূলের আদর্শ অনুসরণের ব্যাপারে যদি কারো মধ্যে কোন ধরনের দ্বিধা-দ্বন্দু থাকে, তাহলে মুসলমান হওয়া যাবে না। হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু তা'য়ালা আনহুর কাছে একজন লোক এসে একটি মামলার নিষ্পত্তি করে দেয়ার আবেদন পেশ করেছিল। সেই ব্যক্তি ঐ একই মামলা রাসূলের আদালতে পেশ করেছিল-কিন্তু রাসূলের দেয়া রায় তার মর্জি মাফিক ছিল না।

        এ কারণে সে পুনরায় মামলাটি হযরত ওমরের কাছে পেশ করেছিল। হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু তা'য়ালা আনহু লোকটির কাছে প্রশ্ন করলেন, 'তুমি এই মামলাটি প্রথম কার কাছে পেশ করেছিলে?'

        লোকটি জানালো, 'আমি মুসলমান, আমি নামায আদায় করি; রোযা পালন করি, ইসলামের পক্ষে জিহাদেও যোগদান করি। একজন ইহুদী রাসূলের আদালতে আমার বিরুদ্ধে মামলা করলো আর রাসূল সাক্ষী প্রমাণ নিয়ে আমার বিরুদ্ধে ইহুদীর পক্ষে রায় দিয়ে দিলেন। এ রায় সঠিক হয়নি। আপনি ঘটনার পূর্ণ বিবরণ শুনে সঠিক ফায়সালা করে দিন।'

        লোকটির কথাগুলো হযরত ওমরের কর্ণকুহরে প্রবেশ করা মাত্র তাঁর ধমনীর রক্ত দ্রুত বেগে প্রবাহিত হতে থাকলো। ক্রোধে তাঁরা চেহারা বিবর্ণ হয়ে গেল। তিনি জলদগম্ভীর কন্ঠে বললেন, 'তুমি অপেক্ষা করো, আমি তোমার মামলার ফায়সালা করে দিচ্ছি।'

        এ কথা বলে তিনি নিজের ঘরে প্রবেশ করে কোষমুক্ত তরবারী এনে বললেন, 'আল্লাহর বান্দা শোন, আল্লাহর রাসূল যে ফায়সালা করে দেন, তাঁর ফায়সালার সাথে যারা দ্বিমত পোষণ করে, তাদের ফায়সালা এভাবেই করতে হয়।'

        এ কথা বলে তিনি তরবারীর আঘাতে লোকটিকে দ্বিখন্ডিত করে দিলেন। রাসূলের দরবারে সংবাদ পৌঁছে গেল, হযরত ওমর একজন মুসলমানকে হত্যা করেছেন। চারদিকে এ সংবাদ জানাজানি হয়ে গেল। লোকজন বিরূপ মন্তব্য করতে থাকলো। আল্লাহর রাসূল স্বয়ং বিব্রতবোধ করতে থাকলেন, ওমর কেন এমন কাজ করলো। রাসূলের যাবতীয় দ্বিধা সংকোচ দূর করার লক্ষ্যে মহান আল্লাহ সূরা নিছার ৬৫ নং আয়াতে জানিয়ে দিলেন-

فَلَا وَرَبِّكَ لَا يُؤْمِنُوْنَ حَتَّى يُحَكِّمُوكَ فِيمَا شَجَرَ بَيْنَهُمْ ثُمَّ لَا يَجِدُوا فِي أَنْفُسِهِمْ حَرَجًا مِّمَّا قَضَيْتَ وَيُسَلِّمُوا تَسْلِيمًا -

        তোমার রবের শপথ! লোকেরা কোনক্রমেই ঈমানদার হতে পারবে না, যদি না তারা-হে নবী-আপনাকে তাদের পারস্পরিক যাবতীয় বিষয়ে বিচারক ও সিদ্ধান্তকারী হিসেবে মেনে নেয়, আপনার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে মনে কুণ্ঠাবোধ করে এবং তা সর্বান্তকরণে মেনে নেয়।

        অর্থাৎ হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু তা'য়ালা আনহু যাকে হত্যা করেছেন সে ব্যক্তি মুমিন নয়, সে ব্যক্তি হলো মুনাফিক। সুতরাং ইসলাম গ্রহণ করার পরে নিজেকে মুসলমান দাবী করে কোরআনের আংশিক অনুসরণ ও খন্ডিতভাবে নবীর নেতৃত্ব মানার কোন অবকাশ নেই, পরিপূর্ণভাবে নবীর নেতৃত্ব অনুসরণ করতে হবে। বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোরআনের যে বিধান পেশ করেছেন, সে বিধানের কোন একটি দিকও ত্যাগ করা যাবে না। কোরআনের বিধান পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। এই বিধান যেমন বাস্তবায়িত করতে হবে ব্যক্তি জীবনে, তেমনি বাস্তবায়িত করতে হবে দেশ-জাতি ও রাষ্ট্রের বিস্তীর্ণ অঙ্গনে।

        কোন মুসলমান যদি রাজনীতি করতে আগ্রহী হয়, তাহলে তাঁকে অবশ্যই কোরআনের রাজনীতি করতে হবে। ইসলাম কোন মুসলমানকে এ সুযোগ দেয়নি যে, সে কোরআনের বিধানের বিপরীত কোন মতবাদ মতাদর্শ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রাজনীতি করবে। এ ধরনের কোন রাজনীতির সাথে যে ব্যক্তি নিজেকে জড়িত করবে, নিজেকে মুসলমান বলে দাবী করার তার কোন অধিকার নেই। শাসন ক্ষমতায় যিনি অধিষ্ঠিত, তাকেও কোরআনের বিধান অনুসরণ করতে হবে।

        শাসক হিসাবে আল্লাহর রাসূল কিভাবে দেশ পরিচালিত করেছেন, সেভাবেই দেশ পরিচালনা করবেন। সেনাপ্রধান অনুসরণ করবেন আল্লাহর রাসূলকে। তিনি তাঁর বাহিনী পরিচালনার ক্ষেত্রে দেখবেন, আল্লাহর রাসূল সেনাপ্রধান হিসাবে কিভাবে তাঁর অধীনস্থ বাহিনী পরিচালিত করেছেন। অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধানের জন্য সর্বপ্রথমে অনুসন্ধান করতে হবে আল্লাহর কোরআনে। কোরআন কি ধরনের অর্থব্যবস্থা প্রবর্তন করে গোটা মুসলিম সাম্রাজ্য থেকে দরিদ্রতা দূর করেছিল। কোরআনের সেই অর্থব্যবস্থা বাস্তবায়িত করতে হবে।

        আল্লাহর কিতাবের দেয়া যে শিক্ষানীতি প্রবর্তন করে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিকৃষ্ট স্তরের মানুষগুলোকে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ চরিত্রবান মানুষে পরিণত করেছিলেন, সেই শিক্ষানীতি অনুসরণ করতে হবে। শিল্পপতিগণ তাদের অধিনস্থ শ্রমিকদের সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোরআনের দেয়া শ্রমনীতি অনুসরণ করবেন। এসব ব্যাপারে কোন দ্বিধা-দ্বন্দ্বে থাকা যাবে না। পৃথিবীর কোন মানুষ নির্ভুল বিধান দিতে পারে না।

        কারণ কোরআনের জ্ঞানহীন মানুষ নির্ভুল জ্ঞানের পরিবর্তে অমূলক ধারণা ও অনুমানকেই অনুসরণ করে থাকে। তাদের আকিদা-বিশ্বাস, চিন্তা-কল্পনা, নীতি-দর্শন, জীবন বিধান ও কর্ম পদ্ধতি সমস্ত কিছুই অনুমান নির্ভর-ধারণা আর অনুমানের ওপরে প্রতিষ্ঠিত। পক্ষান্তরে কোরআন প্রদর্শিত পথ-নির্ভুল পথ। এ সম্পর্কে যাবতীয় জ্ঞান ও সন্ধান সেই আল্লাহই দান করেছেন। মানুষ নিজেদের ধারণা-অনুমানের ভিত্তিতে যে পথ নির্ধারণ করে নিয়েছে, তা কোনক্রমেই নির্ভুল নয়। সুতরাং, পৃথিবীর অন্যান্য জাতি ও দেশসমূহ কোন পথে চলছে এবং কোন বিধান অনুসরণ করছে, তা কোন মুসলমানের কাছে বিবেচনার বিষয় নয়। মুসলমান একমাত্র কোরআন প্রদর্শিত পথে চলবে। এ পথের পথিক যদি সে একাও হয় তবুও সে একাকীই এ পথে দৃঢ় পদক্ষেপে অগ্রসর হবে। এ বিষয়টিই কোরআন স্পষ্ট করে ঘোষণা করেছে-

وَتَمَّتْ كَلِمَتُ رَبِّكَ صِدْقًا وَ عَدْلاً - لا مُبَدِّلَ لِكَلِمَتِهِ وَهُوَ السَّمِيعُ العَلِيمُ - وَإِنْ تُطِعْ أَكْثَرَ مَنْ فِي الْأَرْضِ يُضِلُّوكَ عَنْ سَبِيلِ اللهِ إِنْ يَتَّبِعُونَ إِلا الظَّنَّ وَإِنْ هُمْ إِلَّا يَخْرُصُونَ

        তোমার রব্ব-এর কালামসমূহ সত্যতা ও ইনসাফের দিক দিয়ে পূর্ণ পরিণত। তার বিধান পরিবর্তনকারী কেউ নেই। এবং তিনি সমস্ত কিছু শোনেন এবং জানেন। আর হে রাসূল! তুমি যদি এ পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষের কথা মতো চলো তাহলে তারা তোমাকে আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত করে দেবে। তারা তো নিছক ধারণা অনুমানের ভিত্তিতে চলে এবং কেবল ধারণা অনুমানই তারা করতে থাকে। 
(সূরা আল আন'আম-১১৫-১১৬)

Post a Comment

0 Comments