রাহমানের দান থেকে কেউ বঞ্চিত থাকে না

        সমস্ত প্রশংসা সেই আল্লাহর যিনি সৃষ্টি জগতসমূহের রব্ব-তাঁর অসীম দয়া। তাঁর অনুগ্রহ ব্যতিত সমস্ত সৃষ্টি মুহূর্তকালও নিজের স্থানে অপরিবর্তিত থাকতে পারে না। মানুষ এই পৃথিবীতে বিচরণ করছে, এ পৃথিবী আপন ইচ্ছায় মানুষের জন্য বিচরণযোগ্য হয়নি। এখানে মানুষ জীবন ধারনের জন্য যে রিস্ক লাভ করছে, সে রিফও স্বতস্ফূর্তভাবে প্রস্তুত হয় না। এসবই ঐ আল্লাহর সৃষ্টি যিনি রাহমান-তাঁর অসীম অনুগ্রহেই এসব সৃষ্টি হয়েছে।

        যিনি তাঁর কর্মকুশলতা ও বিচক্ষণতার ভিত্তিতে এমনভাবে এসব নির্মাণ করেছেন যে, প্রাণীজগৎ এবং মানুষ যেন এখান থেকে রিস্ক লাভ করতে পারে এবং একটি নির্দিষ্ট সময় কাল পর্যন্ত তারা জীবিত থাকতে পারে। তিনি অনুগ্রহ করে এই বিশাল ভূ-গোলককে এমন অবিচল শান্ত ও ধীর স্থির করে নির্মাণ করেছেন যে, মানুষ যেন এখানে ভাবনাহীন চিত্তে বিচরণ করতে পারে। এই পৃথিবীকে তিনি দয়া করে এমন এক নিয়ামতের ভান্ডার হিসাবে গড়েছেন যে, এখানে মানুষের জীবন-যাপনের জন্য সীমা-সংখ্যা-পরিমাণহীন দ্রব্য-সামগ্রী পরিপূর্ণ হয়ে রয়েছে। মানুষ যেদিকেই অগ্রসর হয়, সেখানেই তার জন্য খাদ্য আর জীবন ধারনের উপকরণে পরিপূর্ণ দেখতে পায়। আল্লাহ বলেন-

هُوَ الَّذِي جَعَلَ لَكُمُ الْأَرْضَ ذَلُولاً فَامْشُوا فِي مَنَاكِبِهَا وَكُلُوا من رزقه

        সেই আল্লাহই তোমাদের জন্য ভূ-তলকে অধীন বানিয়ে রেখেছেন, তোমরা চলাচল করো এর বক্ষের ওপর এবং ভক্ষণ করো আল্লাহর দেয়া রিস্ক। (সূরা মূলক-১৫)

        এ পৃথিবীতে যা কিছু দৃশ্যমান এবং অদৃশ্যমান রয়েছে, এসব কিছুকেই তিনি অনুগ্রহ করে রক্ষা করছেন বলেই বর্তমান প্রতিটি বস্তুর অস্তিত্ব রক্ষার জন্য'যেসব দ্রব্য-সামগ্রী প্রয়োজনীয় তা ঐ রাহমানই সংগ্রহ করে দেন। তিনি যাকিছু সৃষ্টি করেছেন, এসব সৃষ্টির প্রয়োজন যথাযথভাবে পূর্ণ হচ্ছে কি না তার প্রতি রাহমানের সজাগ দৃষ্টি রয়েছে। আকাশ সাম্রাজ্যে মহাশূণ্যে উড়ন্ত প্রতিটি পাখিই উড়ছে, আল্লাহ রাহমান-তিনি দয়া না করলে এসব পাখি কখনো শূন্যে উড়তে সূক্ষম হতো না। যেসব প্রাণীকে তিনি ওড়ার জন্য সৃষ্টি করেছেন, সেগুলোকে তিনি শূন্যলোকে বাতাসে উড়ে বোড়ানোর উপযোগী দেহ-কাঠামো ও দেহসংস্থা দিয়েই সৃষ্টি করেছেন। পাখি কিভাবে উড়বে, সে নিয়ম-পন্থাও তিনিই শিখিয়েছেন। বাতাসকে তিনি এমন সব নিয়মের অনুসারী করেছেন যে, বাতাসের থেকেও অধিক ওজনের জিনিসের পক্ষে শূন্যে উড়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে। উড্ডয়নশীলকে শূণ্যলোকে ধরে রাখার দায়িত্বও সেই রাহমান-আল্লাহই পালন করছেন। তিনি যে নিয়মের মাধ্যমে এসব ব্যবস্থা চালু রেখেছেন, এসব নিয়ম যদি তিনি প্রত্যাহার করে নেন, তাহলে কোন কিছুর পক্ষেই আর মহাশূন্যে ওড়া সম্ভব হবে না। কোরআন বলছে-

أَوَلَمْ يَرَوْا إِلَى الطَّيْرِ فَوْقَهُمْ صَفْتِ وَيَقْبِضْنَ - مَا يُمْسِكُهُنَّ إِلَّا الرحمنُ أَنَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ بَصِيرٌ -

        এই লোকেরা কি নিজেদের ওপরে উড়ন্ত পাখিগুলোকে পাখা বিস্তার করতে ও গুটিয়ে নিতে দেখে না? একমাত্র রাহমান-করুণাময় ব্যতিত তাদেরকে অন্য কেউ ধরে রাখে না। তিনিই সমস্ত জিনিসের সংরক্ষক। (সূরা মূলক-১৯)...

        দূর আকাশে মহাশূন্যে বিশালাকারের পাখিগুলো ডানা ঝাপটায়-উড়তে থাকে। হঠাৎ করেই তারা ডানা ঝাপটানো বন্ধ করে সে দুটো দু'দিকে বিস্তার করে দিয়ে শূন্যে ভেসে বেড়াতে.. থাকে, কখনো বা ডানা দুটো নিজের দেহের সাথে গুটিয়ে নিয়ে শূন্যে অবস্থান করতে থাকে। এটা তাদের পক্ষে সম্ভব হয় শুধু রাহমানের অসীম অনুগ্রহের কারণেই। তাঁর কত দয়া, তা কারো পক্ষে কল্পনাও করা সম্ভব নয়। বিজ্ঞানীগণ বলছেন, প্রতি মুহূর্তে সূর্যে হাজার হাজার বিস্ফোরণ সংঘটিত হচ্ছে। এক একটি বিস্ফোরণ এক বিলিয়ন হাইড্রোজেন বোমার শক্তিতে উৎক্ষিপ্ত হয়ে সূর্যের চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে 'সে গ্যাস ধূলিকণায় মিশ্রিত হয়ে সৃষ্টি করছে সৌর বায়ু। এই সৌর বায়ু প্রতি সেকেন্ডে পাঁচ শত মাইল বেগে পৃথিবীর দিকে ধাবিত হতে থাকে। পরম করুণাময় রাহমান ঊর্ধ্বজগতে বায়ুমন্ডল সৃষ্টি করেছেন।

        এই বায়ুমন্ডল প্রচন্ড শক্তিতে সূর্য সৃষ্ট সৌর বায়ু বা সৌর ঝড়কে ওপরের দিকেই ফিরে যেতে বাধ্য করছে। সৌর ঝড় যদি পৃথিবীতে আঘাত হানার সুযোগ পেতো, তাহলে গোটা পৃথিবী এর ভেতরের সমস্ত কিছু নিয়ে মুহূর্তে ধ্বংস স্তূপে পরিণত হতো। আল্লাহ রাহমান-তিনি এ 'ব্যবস্থা করেছেন বলেই পৃথিবী সচল-সজীব রয়েছে।

        মহাশূন্য রয়েছে বিশালাকারের পাথরের সাম্রাজ্য। উত্তপ্ত উল্কা রয়েছে। এ কথা সপ্তম শতাব্দীতেই আল্লাহর কোরআন পৃথিবীবাসীকে অবগত করেছে। আধুনিক বিজ্ঞান এ তথ্য পৃথিবীর মানুষকে জানিয়েছে মাত্র কিছুদিন পূর্বে। মহাশূণ্য থেকে প্রতিদিন বিশ লক্ষ উল্কা পৃথিবীকে আঘাত হানার জন্য সেকেন্ডে ত্রিশ মাইল বেগে ছুটে আসছে। রাতের নিকষ কালো অন্ধকারে উল্কা পতনের দৃশ্য মনোমুগ্ধকর হয়ে ওঠে। একশ্রেণীর নির্বোধ মানুষ উল্কা পতনের দৃশ্য দেখে আনন্দে আত্মহারা হয়ে ওঠে। এই সুন্দরের মাঝেই যে নিহিত রয়েছে মৃত্যুগরল-এ কথা নির্বোধ মানুষগুলো ভুলে যায়।

         পৃথিবীতে মারাত্মক বিষধর সর্পগুলোই দেখতে অদ্ভূত সুন্দর হয়। কিন্তু এসব দৃষ্টিনন্দন সর্পগুলোই যদি একবার মাত্র ছোবল হানার সুযোগ পায়, তাহলে বাঁচার কোন আশাই থাকে না। উল্কা বৃষ্টি বর্ষণ হচ্ছে-অন্ধকারের বুক চিরে আলোর স্ফুরণ ঘটছে, দৃষ্টি নান্দনিক সৌন্দর্য সৃষ্টি করে আলোর রেখা তীর্ষক গতিতে এদিক-ওদিক ছুটে গিয়ে দুর্ভেদ্য অন্ধকারের গুহায় হারিয়ে যাচ্ছে। এই দৃশ্য দেখে সৌন্দর্যের পূজারিরা উল্লসিত হয়ে উঠছে। নির্বোধেরা জানে না, এসব উল্কাকে যদি দয়াময় রাহমান পৃথিবী পর্যন্ত এসে পৌছতে দিতেন, তাহলে গোটা পৃথিবী মুহূর্তে ধ্বংস স্তূপে পরিণত হতো। আকাশে তিনি সুরক্ষিত ছাদ-বাতাসের অদৃশ্য স্তর নির্মাণ করেছেন। এসফ অদৃশ্য প্রতিরোধক শক্তির সাথে সংঘর্ষ ঘটিয়ে মুহূর্তে উল্কাগুলো ভষ্মে পরিণত করার ব্যবস্থা করেছেন দয়াময় রাহমান।

        মাথার ওপরে তারাজুলা আকাশের সেই অদৃশ্য জগৎ থেকে প্রতি মুহূর্তে পৃথিবীর দিকে অবর্ণনীয় 'গতিতে মৃত্যু দূতের মতই ছুটে আসছে অসংখ্য ক্ষতিকর আলোক রশ্মি। পরম করুণাময় আল্লাহ যে অদৃশ্য প্রতিরোধক শক্তি মহাশূন্যে সৃষ্টি করেছেন, এসব রশ্মির গতি পথে তারা প্রচন্ড বাধার সৃষ্টি করে। কতকগুলো রশ্মি ফিল্টারে প্রবেশ করে। এভাবে ছেঁকে ক্ষতিকর কণাগুলো ধ্বংস করে কল্যাণকর কণাগুলোকে পৃথিবীতে আসার অনুমোদন দেয়া হয়। করুণার সাগর আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পৃথিবীতে চৌম্বক ক্ষেত্র সৃষ্টি করেছেন।:

        উর্ধ্বজগৎ থেকে ক্ষতিকর কণাগুলোর দু'চারটি যদিও বা পৃথিবীর দিকে ছুটে আসে, ঐসব চৌম্বক ক্ষেত্র তখন দয়াময়ের নিদের্শে সক্রিয় হয়ে ওঠে। চৌম্বককে দান করা প্রবল আকর্ষণী ক্ষমতা প্রয়োগ করে সেসব ক্ষতিকর কণাগুলোকে টেনে নিয়ে যায় মেরু অঞ্চলের দিকে-যেখানে কোন জীবনের স্পন্দন নেই। রাহমান তাঁর সৃষ্টির সুরুক্ষার জন্য এসব ব্যবস্থা পূর্ব থেকেই করে রেখেছেন।

        রাহমান হচ্ছে সমস্ত মানুষ এবং প্রাণী ও যাবতীয় সৃষ্টির জন্য। তাঁর দাম থেকে কেউ বৃঞ্চিত থাকে না। সবার জন্য তাঁর দানের দরোজা উন্মুক্ত-অবারিত। এই পৃথিবীর বুকে সচরাচর যে দৃশ্য মানব সমাজে দেখা যায়, তাহলো মানুষ প্রথমে তাদের নিকটাত্মীয়দের সর্বপ্রথমে প্রাধান্য দান করে। তারপর ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের দিকে দৃষ্টি দেয়। এরপর পরিচিতজনদের, তারপর নিজের থানা-জেলা এবং সর্বশেষে নিজের মাতৃভূমির লোকদেরকে প্রাধান্য দেয়। সাহায্য করার ক্ষেত্রে। ও দান করার ক্ষেত্রে মানুষ এ ধরনের নীতি অনুসরণ করে থাকে। এটা মানুষের সহজাত প্ৰৰণতা। এই প্রবণতা থেকে মুক্ত থাকা কারো পক্ষে সম্ভব হয় না।

        দান ও সাহায্য করার ক্ষেত্রে স্বয়ং আল্লাহও মানুষকে প্রথমে নিজের আত্মীয়দেরকে প্রাধান্য জান করতে আদেশ দিয়েছেন। দানের ক্ষেত্রে মানুষের আরেকটি দিক লক্ষণীয়-মানুষ কখনো তার শত্রুকে দান করে না। একজন মানুষ যদি আরেকজন মানুষের বিরোধিতা করতে থাকে, তার নিন্দাবাদ করতে থাকে, তার বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়াতে থাকে, তার প্রিয়জনদেরকে নির্যাতন করতে থাকে, হত্যা করতে থাকে তাহলে এই ব্যক্তিকে কোনক্রমেই সে কোন ধরনের সাহায্য করবে না।

        কিন্তু আল্লাহ হলেন রাহমান-তিনি তাঁর শত্রুকেও দান করেন, তাঁর প্রিয়জনদেরকেও দান করেন। নবী-রাসূলদেরকে যারা হত্যা করেছে, তাঁর কিতাবকে যারা অসম্মান অমর্যাদা করেছে এবং এখনো করে, তাঁর দেয়া জীবন বিধানকে যারা মৌলবাদ বলে গালি দেয়, তাঁর সৈনিক ইসলামী আন্দোলনের নেতা-কর্মীদেরকে শত্রু মনে করে তাদের ওপরে নির্যাতন চালায়, হত্যা করে, তাঁর অস্তিত্বকে যারা, অস্বীকার করে-তাদেরকেও তিনি দান করেন। বরং আল্লাহভীরু লোকদের তুলনায় এদেরকে বেশী দিয়ে থাকেন। পৃথিবীতে দেখা যায়, যারা ইসলামের বিধান অনুসরণ করে চলে, তারা অর্থনৈতিক দিক দিয়ে খুবই দুর্বল। এরা সুদ খায় না, ঘুষ খায় না, হারাম পথে উপার্জন করে না, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এদের পক্ষে দুর্বল হওয়াই স্বাভাবিক।

        আর যারা আল্লাহর বিধানের মোকাবেলায় বিদ্রোহীর ভূমিকা পালন করে, নামাজ আদায় করেনা, মুরতাদ, প্রতিটি পদক্ষেপে তারা ইসলামের সাথে শত্রুতা করে, তারা সবদিক দিয়েই শক্তিশালী। গোটা পৃথিবীর বিলাস সামগ্রী তাদের হাতের মুঠোয়। বিশাল বিশাল কলকারখানার মালিক, ব্যাংকের মালিক, শত শত একর ভূমির মালিক তারা। আল্লাহ রাহমান-এদেরকেও আল্লাহ দেন-তৰে এ দান শুধুমাত্র এই পৃথিবীতেই শেষ। আদালতে আখিরাতে এরা কিছুই পাবে না। আর পৃথিবীতে যারা আল্লাহর বিধান অনুসরণ করে চলার কারণে বঞ্ছিত থেকে যাচ্ছে, তারা আদালতে আখিরাতে অফুরন্ত নিয়ামত লাভ করবে।

        এই পৃথিবীতে যারা আল্লাহর সাথে বিদ্রোহীর ভূমিকা পালন করে, তারাই ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়, পৃথিবীর সমস্ত নিয়ামত তারাই ােগ করে। সর্বত্র তারাই সম্মান ও মর্যাদার অধিকারী। কিন্তু কেন? এর কারণ হলো, আল্লাহ তা'য়ালার কাছে এই পৃথিবীর কোন মূল্য নেই। ক্ষুদ্র প্রাণী একটি মশার পাখার যে মূল্য রয়েছে, এই পৃথিবীর সে মূল্য আল্লাহর কাছে নেই। আল্লাহর কাছে এই পৃথিবীর মূল্য যদি একটি মশার ডানার তূল্যও হতো, তাহলে আল্লাহর সাথে যারা বিদ্রোহীর ভূমিকা পালন করে, তাদেরকে তিনি একফোটা পানিও পান করার সুযোগ দিতেন না। আল্লাহর দৃষ্টিতে এ পৃথিবীর কোনই মূল্যই নেই। মশার ডানার যদি কোন মূল্য থেকেই থাকে, সেই মূল্যের সমপরিমাণ মূল্যও এই পৃথিবীর নেই। এ জন্য এই পৃথিবীতে তাঁর অবাধ্য বান্দারা জাগতিক সমস্ত নিয়ামত ভোগ করার সুযোগ লাভ করেছে। রোদ, বৃষ্টি, • আলো, পানি, বাতাসের উপকারিতা সবশ্রেণীর মানুষ লাভ করছে।

        পৃথিবীতে যেসব বন্ধু-উৎপন্ন হচ্ছে, তা ভোগ করার সুযোগ আল্লাহ মুমিন ও কাফিরকেও দিয়েছেন। কিন্তু যে মেয়াদকালের জন্য তা দিয়েছেন, মানুষের দৃষ্টিতে এই মেয়াদকাল দীর্ঘ বলে মনে হতে পারে। পঞ্চাশ বছর, একশত বছর, একশত বিশ-ত্রিশ বছর মানুষের কাছে অনেক বেশী বলে প্রতিয়মান হয়। কিন্তু আল্লাহর কোরআন এই সময়কে মাতাউ'ল কালিল-খুবই অল্প সময় বলে উল্লেখ করেছে। এই সময়কাল আল্লাহ তা'য়ালা তাঁর বিদ্রোহী বান্দাদেরকে দিয়ে থাকেন সংশোধন হবার জন্য। যেন কিয়ামতের ময়দানে তারা অভিযোগ করে বলতে না পারে যে, 'আমরা তো পৃথিবীতে কোন সময়ই পাইনি, সময় পেলে অবশ্যই তোমার বিধান অনুসরণ করতাম।' এই পৃথিবীর চাকচিক্য একটি ধোকা মাত্র। এর কোন মূল্য নেই। আল্লাহ বলেন-

وَمَا هَذِهِ الْحَيُوةُ الدُّنْيَا إِلا لَهو ولعب - وَإِنَّ الدَّارَ الْآخِرَةَ لَهِيَ الْحَيَوَنُ

        আর এ পৃথিবীর জীবন একটি খেলা ও মন ভুলানোর সামগ্রী ব্যতিত আর কিছুই নয়। প্রকৃত জীবনের গৃহ হলো পরকালীম গৃহ। (সূরা আল 'আনকাবূত-৬৪)

Post a Comment

0 Comments