তৎকালীন আরবে রাহমান শব্দের প্রচলন

 


        বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক আল্লাহর পরিচয় উপস্থাপন করতে গিয়ে যখন তাঁর গুণবাচক নাম 'রাহমান' শব্দটি উল্লেখ করেছিলেন, তখন ইসলাম বিরোধী শক্তি বিদ্রুপ করে প্রশ্ন করেছিল, এই রাহমান আবার কে? ঠিক অনুরূপ প্রশ্ন এসেছিল ফেরাউনের পক্ষ থেকে। হযরত মুছা আলাইহিস্ সালাম যখন তাকে বলেছিল, তুমি তোমার রব্ব-এর আনুগত্য স্বীকার করো। সেও তখন বিদ্রুপ করে বলেছিল, 'ওয়া মা রাব্বুল আলামীন?' রাব্বুল আলামীন আবার কে? তার পক্ষ থেকে এ প্রশ্নটি এসেছিল এ কারণে নয় যে, সে রব্ব সম্পর্কে অবগত ছিল না। বরং সে জানতো, গোটা সৃষ্টিজগতের একজন রব্ব আছেন। এ জন্য সে বলেছিল, 'আমিই সমস্ত রব্ব-এর মধ্যে শ্রেষ্ঠ রব্ব।'

        তেমনিভাবে রাসূলের সামনে যারা 'রাহমান' সম্পর্কে প্রশ্ন তুলেছিল, সে প্রশ্ন অজ্ঞতার কারণে নয়। এমনটি নয় যে, তারা কখনো কোনদিন এই রাহমান শব্দটি শোনেনি। বরং বিদ্রূপ করেই তারা এ প্রশ্ন উত্থাপন করেছিল। কেননা, ইতিহাস বলে-আরবে বহুপূর্ব থেকেই 'রাহমান নামের প্রচলন ছিল এবং এর অর্থও তারা অবগত ছিল। প্রাচীন ধ্বংসাবশেষ খনন করে যে সমস্ত উপাসনালয় পাওয়া গিয়েছে এবং এসবের গাত্রে যে শিলালিপি রয়েছে, তাতে 'ইলাহ্ এবং রাহমান' শব্দ স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। আধুনিক প্রত্নতত্ববিদগণ এ কথার প্রমাণ পেয়েছেন যে, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আগমনের বহুপূর্বেও লোকজন তাওহীদবাদী ছিল, তারা এক আল্লাহকেই দাসত্বের অধিকারী বলে মনে করতো। তারা সে আল্লাহর গুণবাচক নাম রাহমান শব্দের সাথেও পরিচিত ছিল এবং সে নামে তাঁর কাছে প্রার্থনা করতো। ইসলাম চির পুরাতন এক শ্বাশত আদর্শের নাম।

        আর বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লামও ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক নন, তিনি হলেন ইসলামী জীবন ব্যবস্থার পূর্ণতা দানকারী। বিদায় হজ্জের সময়ে কোরআনের যে আয়াত অবতীর্ণ হয়েছিল, সে আয়াতেও স্পষ্ট ভাষায় বলা হয়েছে, আজ আপনার আদর্শকে পরিপূর্ণ করে দেয়া হলো। যদিও ইসলাম বৈরী মহল বিশ্বব্যাপী প্রচার করেছে এবং তাদের প্রচারিত কথাই মুসলিম রাষ্ট্রসমূহের শিক্ষাঙ্গণে শিক্ষাদান করা হচ্ছে যে, ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম। অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে, মুসলিম জাতির ভেতরে এই কথাটা প্রতিষ্ঠিত হয়ে গিয়েছে-ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম। কিন্তু কোরআন-হাদীস ও ইতিহাসের মোকাবেলায় ঐ কথার কোন ভিত্তি নেই।

        আদম আলাইহিস্ সালামের থেকে ইসলামের যাত্রা শুরু। সে কারণে প্রতিটি নবী এবং রাসূলও ইসলামের দিকেই মানুষকে এই কথা বলে ডেকেছেন যে, হে আমার জাতির লোকেরা ! তোমরা এক আল্লাহর দাসত্ব করো, তিনি ছাড়া আর কেউ দাসত্ব লাভের যোগ্য নয়। মুসলিম জাতির পিতা হযরত ইবরাহীম আলাইহিস্ সালামও মানুষকে নির্ভেজাল ইসলামের দিকে আহ্বান করেছেন। কিন্তু তাঁর প্রচারিত ও প্রতিষ্ঠিত ইসলামী আদর্শ, তাওহীদের শিক্ষা মহাকালের ঘূর্ণায়মান চক্রের আবর্তন ও বিবর্তনে একশ্রেণীর মানুষের ভ্রান্তির কারণে বিকৃত হয়ে যায়। নির্ভেজাল একত্ববাদের মধ্যে তারা অংশীবাদের মিশ্রণ ঘটায়।

        যে কা'বাঘর হযরত ইবরাহীম আলাইহিস্ সালাম তাঁর সন্তান ও আল্লাহর নবী হযরত ইসমাঈল আলাইহিস্ সালামকে সাথে করে পুনঃনির্মাণ করেন, সেই কাবাঘরের মাথায় পৌত্তলিকগণ মূর্তি স্থাপন করে। তাওহীদের অমীয় আদর্শ পৌত্তলিকতার ঘৃণ্য আবরণে ঢাকা পড়ে যায়। এক সময়ে তাওহীদের প্রজ্জ্বলিত আলোক শিখা গোটা আরবকে আলোকিত করেছিল, সে আলোক শিখা জোনাকীর আলোর ন্যায় মিটমিট করে জ্বলতে থাকে। মুশরিকদের শত অপচেষ্টাতেও তাওহীদের শিখা নির্বাপিত হয়নি।

        তদানীন্তন সমাজে কিছু সচেতন সতর্ক দৃষ্টির অধিকারী, সত্যানুসন্ধিৎসু মানুষ ছিলেন, যারা মনে প্রাণে মূর্তিপূজা ঘৃণা করতেন। কালের মহাস্রোতে এই শ্রেণীর মানুষ বিলুপ্ত হয়ে যায়নি। বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম যে সময়ে ইসলামী দাওয়াতের কাজ শুরু করেছিলেন, সে সময় পর্যন্ত তাদের অস্তিত্ব ছিল। হযরত ইবরাহীম আলাইহিস্ সালামের আদর্শের অনুসারী বা নির্ভেজাল তাওহীদের অনুসন্ধানকারীদেরকেই সে সময়ে হানিফী বলা হতো। হযরত ইবরাহীম আলাইহিস্ সালামের আদর্শকে সে যুগে কেন হানিফী বলা হতো? এ সম্পর্কে গবেষণালব্ধ জ্ঞান আমাদের কাছে নেই। তবে কোরআন-হাদীস, ইতিহাস ও গবেষকদের গবেষণা থেকে যতটুকু জানা যায়, যারা সে যুগে মূর্তিপূজা বর্জন করেছিল তাদেরকে হানিফী বলা হতো।

        পবিত্র কোরআনেও এই 'হানিফ' শব্দের ব্যবহার দেখতে পাওয়া যায়। হযরত ইবরাহীম আলাইহিস্ সালামের বলা কথাটি মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে এভাবে বলেছেন, হানিফাঁও ওয়া মা আনা মিনাল মুশরিকিন-আমি মুশরিকদের দলভুক্ত নই। এখানে হানিফ শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে বিরত থাকার অর্থে। পবিত্র কোরআনের তাফসীরকারদের মধ্যে এই শব্দের অর্থ নিয়ে কিছুটা মতান্তর লক্ষ্য করা যায়। একদল তাফসীরকার বলেন, হানিফ শব্দের অর্থ হলো-বর্জন করা, ত্যাগ করা বা বিরত থাকা।

        কারণ, আরবে যারা মূর্তিপূজা ত্যাগ করেছিল তাদেরকে হানিফা বলা হতো। আরেক দল তাফসীরকার বলেন, হানিফ শব্দটা সুরিয়ানী এবং ইবরানী ভাষায় কপটতার অর্থে, মোনাফেকীর অর্থে, কাফের হবার অর্থে ব্যবহৃত হয়। কারণ একদল মানুষ মূর্তির সাথে বিদ্রোহ করেছিল, সুতরাং আরবের পৌত্তলিকদের ভাষায় তারা মোনাফিক, কাফের হয়ে গিয়েছিল। এ কারণে পৌত্তলিকরা হযরত ইবরাহীম আলাইহিস্ সালামের আদর্শের অনুসারীদেরকে হানিফা উপাধি দান করেছিল। সুতরাং তাওহীদের অনুসারীগণও গর্বের সাথে নিজেদেরকে হানিফা হিসাবে পরিচয় দান করতো।

        গোটা আরবে মূর্তিপূজার প্লাবন বয়ে গেলেও একশ্রেণীর মানুষের অস্তিত্ব সেখানে ছিল যারা মূর্তিকে সমস্ত অন্তর দিয়ে যে শুধু ঘৃণাই করতো তা নয়, তারা বিরোধিতাও করতো। প্রতি বছরের শেষে মূর্তিপূজকরা মূর্তির সমাবেশ ঘটাতো। এই ধরণের এক সমাবেশে জায়েদ ইবনে আমর, ওয়ারাকা ইবনে নওফেল, ওসমান ইবনে হুওয়াইরেস, আব্দুল্লাহ ইবনে জাহাশ প্রমুখ বিখ্যাত নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। কোরায়েশ গোত্রের সম্মানিত ব্যক্তি ছিলেন তাঁরা। ওসমান ছিলেন আব্দুল উজ্জার নাতি, আব্দুল্লাহ ছিলেন হযরত হামজার ভাইয়ের সন্তান, জায়েদ ছিলেন হযরত ওমরের চাচা আর ওয়ারাকা ছিলেন হযরত খাদিজা রাদিয়াল্লাহু তা'য়ালা আনহার চাচাত ভাই। মূর্তির সমাবেশে তারা অজস্র মূর্তির দিকে তাকিয়ে ছিলেন। হঠাৎ করেই তাদের মনের জগতে গুঞ্জন আরম্ভ হলো, 'আমরা কেন নিষ্প্রাণ পাথরের সামনে নিজেদের মাথানত করি? কেন আমরা এই জড়পদার্থের আরাধনা করি? এসব কাজ তো অনর্থক! এসব পাথরের মূর্তি তো কারো কোন উপকার বা ক্ষতি করার ক্ষমতা রাখে না, তাহলে কেন আমরা এসব পাথরের আরাধনা করবো?'

        বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম নবুওয়াত লাভ করার অনেক পূর্ব থেকেই তাঁর সাথে জায়েদের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিদ্যমান ছিল। জায়েদ মূর্তিকে ঘৃণা করে মহাসত্যের অনুসন্ধানে সে সময়ে সিরিয়া গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি ইহুদী ও খৃষ্টান ধর্মের ধর্মীয় নেতাদের সাথে মিলিত হয়েছিলেন। কিন্তু তিনি ঐসব ধর্মে সত্যের সন্ধান পেলেন না বিধায় তাঁর মনের অস্থিরতা দূর হলো না। তিনি পুনরায় মক্কায় ফিরে এলেন। পরিচিতদের কাছে তিনি বলতেন, 'আমি হযরত ইবরাহীম আলাইহিস্ সালামের আদর্শকে বিশ্বাস করি। হানিফী ধর্ম মেনে চলি।' হযরত আছমা রাদিয়াল্লাহু তা'য়ালা আনহা বলেন, আমি জায়েদকে দেখেছি, সে কা'বাঘরের দেয়ালে হেলান দিয়ে বসে সমবেত কোরাইশদের লক্ষ্য করে আক্ষেপের স্বরে বলতেন, 'হে কোরাইশের দল! আমি ছাড়া আর কেউ তোমাদের মধ্যে হযরত ইবরাহীম আলাইহিস্ সালামের আদর্শের ওপরে প্রতিষ্ঠিত নেই।' তদানীন্তন আরব সমাজে কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করলে তাকে জীবন্ত কবর দেয়া হতো। এই ধরণের অমানবিক প্রথার জায়েদই প্রথম বিরোধিতাকারী ব্যক্তি। তিনি এধরণের অনেক কন্যা সন্তানকে নিয়ে নিজে প্রতিপালন করেছেন। (বোখারী)

        মক্কার গোত্রপতি ওতবা ছিল হযরত মোয়াবিয়া রাদিয়াল্লাহু তা'য়ালা আনহুর নানা এবং উমাইয়ার মামাত ভাই। উমাইয়া দেওয়ানের অস্তিত্ব বর্তমানেও আছে। সে ছিল উঁচু স্তরের কবি। এই উমাইয়াও মূর্তি পূজার বিরোধিতা করতো। এসবের বিরোধিতা করে সে কাব্য রচনা করেছিল। বদর যুদ্ধ যখন অনুষ্ঠিত হয় সে সময়েও সে জীবিত ছিল। বদরের যুদ্ধে ওতবা নিহত হলে সে খুবই ব্যথিত হয়েছিল। কবিতার মাধ্যমে সে তাঁর শোক প্রকাশ করেছিল। হাদীস শরীফে এসেছে, বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম একদিন তাঁর এক সাহাবীকে নিয়ে ভ্রমণে ছিলেন। পথে উক্ত সাহাবী কবি উমাইয়ার কবিতা আবৃত্তি করলো। নবী সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম তাকে আরো উৎসাহিত করলেন কবিতা পাঠ করার জন্য এবং তিনি অনেক বড় একটা কবিতা আবৃত্তি করলেন। সমস্ত কবিতা শুনে আল্লাহর রাসূল মন্তব্য করলেন, 'উমাইয়া মুসলিম হবার কাছাকাছি এসেও সে মুসলমান হতে পারেনি।'

        কায়েস ইবনে নুশবাহ নামক এক ব্যক্তি মূর্তিপূজার ঘোর বিরোধী ছিল। সেই মূর্তির যুগেও সে এক আল্লাহর ওপরে বিশ্বাসী ছিল। আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম যখন দাওয়াতী কাজ শুরু করলেন, তখনই সে ইসলামে শামিল হয়েছিল। আরবের বিখ্যাত বাগ্মী কায়েস ইবনে ছায়েদাল আইয়াদিও নিজেকে মূর্তিপূজা হতে বিরত রেখেছিল। এ ধরণের অনেকেই তদানীন্তন আরবে মূর্তিপূজার বিরোধিতা করতো।

        ওয়ারাকা ইবনে নওফেল এবং আব্দুল্লাহ ইবনে জাহাশ মূর্তিপূজা ত্যাগ করে খৃষ্টান ধর্ম গ্রহণ করেছিল। বনী আমের ইবনে সা'সায়া বংশের একজন ব্যক্তি-তাঁর নাম ছিল আন্না বিগাতুল জা'য়াদী। তিনি মূর্তিপূজার কঠোর বিরোধী ছিলেন। তিনি পরকাল, জান্নাত ও জাহান্নামের প্রতি বিশ্বাস করতেন। জীবনের সমস্ত কর্মকান্ডের জবাব আদালতে আখেরাতে দিতে হবে তা তিনি বিশ্বাস করতেন এবং মানুষের কাছে বলতেন। তিনি রোজা পালন করতেন এবং আল্লাহর কাছে তওবাহ করতেন। বনী আদী ইবনে নাজ্জার বংশের সিরমা ইবনে আনাসও ছিলেন মূর্তিপূজার ঘোর রিরোধী। মহানবীর আগমনের পূর্বে তিনি অত্যন্ত সহজ সরলভাবে জীবন-যাপন করতেন। কোন ধরণের মাদকদ্রব্য তিনি ব্যবহার করতেন না। নিজের স্ত্রীর মাসিক হলে তিনি স্ত্রীর সাথে মিলিত হতেন না। স্ত্রীর সাথে মিলিত হলে তিনি গোসল ফরজ হয়েছে মনে করতেন। খৃষ্টধর্ম গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কিন্তু পরে তা গ্রহণ করেননি। তিনি বিশ্বাস করতেন আল্লাহর কোন শরীক নেই। ইসলামী পদ্ধতিতে তিনি পাক-নাপাক বুঝে চলতেন। রাসূলের দরবারে তিনি যখন এসে ইসলাম গ্রহণ করেন তখন তিনি বয়সের শেষ প্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিলেন। সুতরাং তারা আল্লাহর গুণবাচক নাম রাহমান শব্দের সাথে পরিচিত ছিল। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁর রাসূলের মাধ্যমে তাদেরকে যখন আদেশ দিয়েছিলেন-

وَإِذَا قِيلَ لَهُمُ اسْجُدُوا لِلرَّحْمَنِ قَالُوا وَمَا الرَّحْمَنُ

        তাদেরকে যখন বলা হয়, এই রাহমান-পরম করুণাময়কে সিজদা করো তখন তারা বলে, রাহমান আবার কি? (সূরা আল ফুরকান-৬০)

        তাদের এই প্রশ্নের উত্তরে আল্লাহর পক্ষ থেকে রাহমান কি এবং তাঁর গুণ-বৈশিষ্ট কি তার ব্যাখ্যা দেয়া হলো। বলা হলো-

تَبْرَكَ الَّذِي جَعَلَ فِي السَّمَاءِ بُرُوجًا وَجَعَلَ فِيهَا سِرَاجًا وَقَمَراً منيرا - وَهُوَ الَّذِي جَعَلَ الَّيْلَ وَالنَّهَارَ خِلْفَةً لِمَنْ أَرَادَ أَنْ يُذْكَرَ أَوْ آراد شُكُوراً -

        অসীম বরকত সম্পন্ন তিনি-যিনি আকাশে বুরুজ নির্মাণ করেছেন এবং তার মধ্যে একটি প্রদীপ ও একটি আলোকময় চাঁদ উজ্জ্বল করেছেন। তিনিই রাত ও দিনকে পরস্পরের স্থলাভিষিক্ত করেছেন এমন প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য যে শিক্ষা গ্রহণ করতে অথবা কৃতজ্ঞ হতে চায়। (সূরা আল ফুরকান-৬১-৬২)

Post a Comment

0 Comments